গল্প: ভালোবাসা হারিয়ে আজ বড় অসহায়।(২য় পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আজ আবারও চলে আসলাম নতুন পোস্ট নিয়ে। আজ গল্পের ২য় অংশ শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। প্রথম পর্বে বলেছিলাম তানিম তিশা পালিয়ে গিয়েছে আর তিশা যাবার সময় চিঠি লিখে রেখে গিয়েছে। যখন তিশার বাবা মা এই চিঠি পায় তখন তারা খুব কষ্ট পায় আর চিন্তা করে মেয়েকে এত স্বাধীনতা দেওয়া ঠিক হয়নি। তারজন্যই আজ এই দিন দেখতে হয়েছে। যেহেতু তিশার পরিবার স্বনামধন্য ছিল তাই এই ঘটনা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কথায় বলে গোপন খবর কখনো চেপে থাকে না। এই কথা আস্তে আস্তে সবাই জেনে গেলো। এতে করে তিশার বাবা মা তাদের বন্ধু বান্ধবসহ সমাজে মুখ দেখাতে পারছিলো না। এমন কি এই ঘটনার জন্য তিশার বাবার ব্যবসার ক্ষেত্রেও ইফেক্ট পরা শুরু করে।
এরপর তিশার বাবার মনের ভিতরে জেদ কাজ করে। যেই মেয়ের জন্য এমন সমস্যা হয়েছে সেই মেয়েকে আলাদা করতেই হবে। এরপর তিশা কোথায় আছে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এমন কি তিশার বাবা অনেক খোঁজার পর পেয়েও যায়। এরপর লোকটি তিশা ও তানিমের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করে। যেমন আমরা মুখোশধারী মানুষের কথা শুনেছি ঠিক তেমনি ব্যবহার করে। যেহেতু তিশা আর তানিমের বয়স অল্প তাই তারা কিছুই বুঝতে পারেনি।
তিশার বাবা তানিমকে বলে তুমি তোমার বাড়ি গিয়ে তোমার মা কে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসতে বলো। আমি তিশাকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি আর এভাবে তো তোমরা সুন্দর সংসার তৈরি করতে পারবে না। আমাদের ও তো সমাজ আছে আর সেখানে আমার একটা সম্মান রয়েছে। এভাবে পালিয়ে থাকলে মানুষ খারাপ বলে আর তিশা যেহেতু আমার একমাত্র মেয়ে তাই আমি চাই অনেক বড় করে অনুষ্ঠান করে আমার মেয়ের বিয়ে হবে। এভাবে অনেক ধরনের ইমোশনাল কথা বলে তানিমের কাছ থেকে তিশাকে নিয়ে আসে।
কিন্তু তিশার কেন জানি তানিম কে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। তাই তিশা বারবার বলছে আমি তানিমকে ছেড়ে যাবো না। কিন্তু তানিম তিশার বাবার কথায় এতটাই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছে তখন সেও তিশাকে তার বাবার সাথে যেতে বলছে। তানিম বলছে আরে এত চিন্তা করো না আমি দুদিনের ভেতরে আমার মা কে তোমাদের বাড়ি পাঠাবো। এরপর তিশার বাবা তিশাকে নিয়ে যায়। সেদিন তিশা অনেক কান্না করেছিল। এদিকে তানিম মনের আনন্দে বাড়ি চলে যায়।
এরপর দু'দিন পরে তানিম তার মা কে তিশাদের বাড়ি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতে বলে আর তানিমের মা ছেলের কথা শুনে তাই করে। তানিমের মা কে অনেক আদর আপ্যায়ন করে বাড়িতে নেওয়া হয়। এরপর তানিমের মা তিশার বাবাকে বলে আমার ছেলের বউকে নিয়ে যেতে এসেছি। তখন তিশার বাবা বলে আজ আমি কিছু বলবো না তা বলার তিশা বলবে। এরপর তিশাকে ডাকা হলো আর তিশা এসে বলে এই ভিখারি কে বাবা। ওনাকে তো আমি চিনলাম না তখন মহিলা বলে আমি তানিমের মা। এরপর তিশা বলে তানিম কে ? আমি তো তাকে চিনি না।
বড় লোক মেয়েরা হয়তো এভাবেই গরীব ছেলেদের মন নিয়ে খেলা করে। যাই হোক আমার গল্পের দ্বিতীয় পর্ব এখানেই শেষ করলাম। পরবর্তী পর্ব জানতে হলে অপেক্ষায় থাকতে হবে। তিশা কেন না চেনার মতো অভিনয় করলো তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আজ এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
তারা দুজনে একে অপরকে অনেক বেশি ভালোবেসে ছিল। আর এই জন্য দুজন পালিয়ে বিয়ে করেছিল। এর ফলে তিশার বাবার উপরে ইনফেকশন টা অনেক বেশি পড়েছিল। এই বিষয়টার কারণে তিনি তাদেরকে খুঁজে বের করে এবং তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে তিশাকে নিয়ে এসেছিল নিজের বাড়িতে। তামিম তার মাকে তিশাদের বাড়িতে পাঠানোর পর দেখছি, তিশা তামিমকে না চেনার অভিনয় করেছে। তার এরকম অভিনয়ের কারণ কি এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
আপু জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার দ্বিতীয় পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে শেষে একটু খারাপ লাগলো। গরীব দেখে কি এই ভাবে তাকে অসম্মান করবে।তবে গরীব মানুষের জন্য ভালো বাসা হয় না। ধনীরা সব সময় তাদের ক্ষমতা দেখায়।তবে তিশা হয়তো এটা জেনে শুনে কথাটি বলে নাই। তার পিছনে কিছু একটা কাহিনি আছে।যাইহোক তিশা কেনো এমন ব্যবহার করলো পরের পর্বে দেখবো।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া ধনীরা এটাই ভাবে গরীবরা মানুষ নয়। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। ধন্যবাদ।
গল্পটার দ্বিতীয় পর্বে এসে আমি বুঝলাম তিশার মনে তার বাবা এমন কিছু বিষ ঢেলে দিয়েছে যার জন্য তিশা এমন আচরণ করলো। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বড়লোকের মেয়েরা গরিব ঘরের ছেলেদের নিয়ে এরকম প্রেম প্রেম খেলা করে। তৃতীয় পর্বে হয়তো সবকিছু পরিষ্কার বোঝা যাবে।
হ্যাঁ ভাইয়া পরের পর্বে সব পরিষ্কার বোঝা যাবে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
গল্পটির প্রথম পর্বটি আমি পড়িনি আপু ,তবে দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। গল্পটি পড়ে মনে হল , তিশা মেয়েটি খারাপ নয় সে হয়তো তার বাবার চাপে পড়েই তানিমের মাকে এরকম কথা বলতে বাধ্য হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম আপু।
হ্যাঁ আপু এমনি হতে পারে তবে দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। ধন্যবাদ।