নানার কবরের পাশে নাতি দাঁড়িয়ে আছে।১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমার বাংলা পরিবারের সদস্যরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আমি আজ আবারও চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। একেক দিন একেক রকম পোস্ট করতে আর পড়তে আমার যেমন ভালো লাগে ঠিক তেমনি আপনাদের কাছেও এই বিষয় ভালো লাগে আমি জানি। আমরা সবসময় নতুনে অব্যস্থ আর পুরোনো জিনিস দেখতে কারো কাছেই ভালো লাগে না। পোস্টের নতুনত্ব আনার জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন পোস্ট করা উচিত। তাহলেই বুঝা যাবে আপনি একজন বেস্ট ব্লগার। আমি জানিনা কতটুকু পারি পোস্টের নতুনত্ব ধরে রাখতে তবে চেষ্টা করি সবসময় নতুন নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
যাই হোক কাজের কথায় আসি আমি যখন বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন এই ছবিগুলো তুলা হয়। তবে সময়ের অভাবে কখনো শেয়ার করা হয়নি। আজ মোবাইলের গ্যালারি থেকে ছবি ডিলেট করতে গেলে এই ছবিগুলো চোখে পড়ে। আমার বাবা মারা গিয়েছে এটা আপনারা সবাই জানেন।প্রায় তেরো বছর হয়ে গিয়েছে আমার বাবা মারা গিয়েছে। যখন মানুষ জীবিত থাকে তখন তার কথা সবাই মনে রাখে। কিন্তু যখন মারা যায় তখন আস্তে আস্তে সবাই তাকে ভুলে যায়। সকালে মারা গেলে বিকাল হতে না হতেই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাহলে মানুষের কিসের এত অহংকার।
যখন মানুষ বেঁচে থাকে তখন তাকে কেউ ভয় পায়না তবে মারা যাওয়ার সাথে সাথে সাথে তাকে বলা হয় লাশ আর সবাই তখন তাকে খুব ভয় পায়। সাধারণত আমার বাবা যখন মারা যায় তখন তার পাশে রাতের বেলা আমাকে একা বসে থাকতে বলে। কিন্তু আমি রাজি হয়নি কেমন জানি ভয় করছিল। তাহলে চিন্তা করেন যেই বাবার সাথে আমরা সারাটি জীবন কাটাই আর সেই বাবা মারা গেলে তার পাশেও আমরা বসে থাকতে চাইনা।
আমাদের বাড়ি থেকে কবর স্থান অনেক দূরে। আমি আপনাদের সাথে নদীতে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। আমাদের কবর স্থান সেই নদীর পাড়। অনেক দিন হয়েছে বাবাকে দেখা হয়নি। আরে বাবা তো মারা গিয়েছে তাই বাবাকে পাবো কোথায় তারজন্য বাবার কবরের পাশে গেলাম গেলেই শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। বাবার কবরের পাশে দাঁড়ানোর পর হঠাৎ করে বাবাকে নিয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আমি তার একমাত্র মেয়ে ছিলাম বলে সে আমায় ছাড়া কিছুই বুঝতো না।
বাবা অসুস্থ থাকা অবস্থায় আমায় খুঁজে বেড়াতো। সবসময় শুধু বলতো আমার মা কোথায়। বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকলাম আজ যদি আমিও মারা যাই তাহলে আমারও তো এমন ঘরেই জায়গা হবে। তাহলে কিসের এত অহংকার করি। আমার ছেলে প্রথমবার তার নানার কবরের পাশে গিয়েছে আর ও তো কিছু বুঝে না। তার বাবা বললো নানা বলে ডাকো তখন ছেলে আমার অনেক জোরে চিৎকার করে নানা বলে অনেক ডেকেছিল। আজ আমার বাবা বেঁচে থাকলে থাকলে তার নাতিকে দেখলে অনেক খুশি হতে।
বাবার কবরের পাশে দাঁড়ানোর পর বুকের ভিতরে কেমন জানি এক নিঃশব্দ কান্না ভেসে বেড়াচ্ছিল। আমার চাচা মারা গিয়েছে আর বাবার কবরের পাশেই তাকে কবর দেওয়া হয়। আমার সাথে আমার চাচাতো বোনও গিয়েছিল তার বাবার কবরের কাছে। আমি অনেক কষ্টে নিজেকে সামলিয়েছি কিন্তু আমার বোন আর সামলাতে পারেনি সে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলো। কেন এমন হয় হঠাৎ করেই করে এই রঙিন দুনিয়ায় আসি আবার হঠাৎ করেই সবাইকে মায়া লাগিয়ে চলে যেতে হয়।
আমাদের জীবন বড়ই অদ্ভুত। এই জন্ম হয়েছে আর সবার মধ্যে মায়া বাড়িয়ে সবাইকে আগলে রেখে হঠাৎ করেই একা সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে হয়। এই অদ্ভুত নিয়ম কেউ কখনো ভাঙতে পারবেনা। যখন রাতে শুয়ে শুয়ে এই কথা চিন্তা করি তখন মাঝে মাঝেই রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। যাই হোক আমার এই পোস্ট পড়ে আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
যখন মানুষ জীবিত থাকে তখন তার কথা সবাই মনে রাখে। আর যখন তিনি মরে যান তখন সময়ের সাথে সাথে সবাই সবকিছু ভুলে যায়। আসলে প্রিয় মানুষগুলোও তখন অনেক দূরের হয়ে যায়। প্রিয় মানুষগুলোকেও আমরা ভুলে থাকার চেষ্টা করি। যাইহোক আপু আপনার বাবা যেহেতু অনেক দিন আগে মারা গিয়েছেন তাই হয়তো আপনার ছোট্ট ছেলেটি নানার আদর পায়নি। আপনার ছেলেটি তার নানার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আছে দেখে ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ আপু মারা যাওয়ার পর একসময় আমরা প্রিয় মানুষকেও ভুলে যাই। আমার ছেলের ভাগ্যে হয়তো তাই লেখা ছিল।ধন্যবাদ।
একটা মানুষ যখন দুনিয়াতে বেঁচে থাকে তখন মানুষ তাকে অনেক ভালোবাসে, তার কথা অনেক মনে রাখে ।কিন্তু যখন একটা মানুষ মরে যায় তখন আর কেউ তাকে মনেই রাখে না। ঠিক বলেছেন আপনার বাবা যদি বেঁচে থাকতো তাহলে সত্যি আপনার ছেলেকে দেখে ভীষণ খুশি হতেন। দোয়া করি আপনার বাবা যেন জান্নাত বাসী হয়।
জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু হবেই। আমরা মারা যাওয়ার কিছু দিন পর থেকে ভুলে যেতে থাকি। একসময় আমরা সেই মানুষকে একদমই মনে রাখিনা।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু,এরই নাম হচ্ছে বাস্তব। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে আমাদের সকলকেই এগিয়ে চলতে হয়। জন্ম যেহেতু আছে সেহেতু মৃত্যু অনিবার্য। যা আমরা কেউ কখনো কোনদিন খন্ডাতে পারবো না। তাই সময়ের পরিবর্তনে এক এক করে আমরা সকলেই হারিয়ে যাব। তাই মনে কষ্ট না রেখে আপনার বাবার জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ জানান, তিনি যেন পরপারে বেহেস্ত বাসী হন। যাই হোক, আপনার ছেলে নানা বলার ডাক থেকে বঞ্চিত হয়েছে জেনে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। কিন্তু কি আর করা, ওই যে বাস্তবতা, তাকে তো মানতেই হবে।
হ্যাঁ ভাইয়া এই বিধান কেউ খন্ডাতে পারবে না। সবাইকে এভাবে একদিন চলে যেতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার বাবা মারা গেছে ১৩ বছর হয়েছে। ১৩ বছর পরে আপনি আপনার ছেলেকে নিয়ে আপনার বাবার কবরের পাশে গেলেন। বিষয়টা সত্যিই অনেক করুন। নানার কবরের পাশে তার নাতি দাড়িয়ে। আপনার বাবা জীবিত অবস্থায় আপনার ছেলেকে দেখতে পারলে অনেক খুশি হত। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। যাইহোক খুব সুন্দর একটি হৃদয়বিদারক পোস্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া হয়তো আমার ছেলের ভাগ্যে এটাই লেখা ছিল। তাই তার নানাকে সে দেখতে পেলো না।ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
একদিন সব মানুষকে মরতে হবে। আসলে জীবিত থাকলে সবাই ওই মানুষের কথা মনে রাখে। কিন্তু মারা গেলে আস্তে আস্তে সবাই তার কথা ভুলে যায়। আর মানুষ মারা গেলে অনেকে তার পাশে বসে থাকতে ভয় পায়। যেমনটি আপনি ভয় পেয়েছেন। আপনি ঠিক বলেছেন আপনার বাবা জীবিত থাকলে আপনার ছেলেকে দেখলে অনেক খুশি হতেন। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো।
হ্যাঁ আপু আমার বাবা বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন। একদিন সবাইকে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে মনে হলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে।
পৃথিবীর সকল মানুষ এবং সব প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আপনার বাবা মারা গেল প্রায় ১৩ বছর হয়ে গেছে। তবে আপন মানুষগুলো মারা গেলে অতি সহজে ভুলা যায় না। আসলে মানুষ জীবিত থাকলে যেমন তার কথা বেশি মনে পড়ে। আপনার ছেলে যখন নানা নানা বলে কবরের পাশে ডাকতে লাগলো কথাটি শুনতে অনেক কষ্ট লাগলো। আসলে আপনার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় নাতি তাকে নানা ডাকলে সে অনেক খুশি হত।
হ্যাঁ ভাইয়া আজ বাবা বেঁচে থাকলে নাতিকে পেয়ে খুব খুশি হতো। আমিও ছোট বেলায় নানার আদর থেকে বঞ্চিত হয়েছি আর আমার ছেলের অবস্থা একই। এটাই নিয়তি। ধন্যবাদ।
প্রথমেই বলবো আল্লাহ আপনার বাবাকে জান্নাত নসিব করুক। সেই সাথে পৃথিবীর সকল বাবা মাকে জান্নাতবাসি করুন। আসলে পৃথিবী থেকে কেউ চলে গেলে মানুষ তাকে ভুলে যাওয়ার ভান করে মাত্র। কিন্তু প্রিয় মানুষটিকে তো কখনওই ভোলা যায় না। আর সে যদি হয় বাবা মা। ছোট মাসুম বাচ্চাটিও কিন্তু নানা কে না দেখলেও তার প্রতি একটি টান অনুভব করছে।
ঠিক বলেছেন আপু প্রিয় মানুষ যতই মারা যাক না কেন তাকে ভুলা কখনো সম্ভব নয়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মানুষের জীবন যেন বৈচিত্র্যময় এই আছে দুনিয়ায় আর এই নেই। আবার মরে গেলেও যেন অনেক দিন পার হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। তবে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে খুব কম মানুষের স্মরণ করে এবং তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করে থাকে। জয় হোক আজ আপনি আঙ্কেলের কবরের পাশ থেকে ফটোগ্রাফি করেছেন, দোয়া করব যেন তিনি বেহেস্তবাসী হন।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। সত্যি মানুষ মারা গেলে যেন খুব তাড়াতাড়ি সময় চলে যায়।