কিছু সত্য ঘটনা শেয়ার করা || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাঁককে
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ ভালো আছি। অনেক দিন ধরে ভাবছি এমন একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।কিন্তু সময়ের অভাবে তা আর হয়ে ওঠেনি। আজ একটু সময় পেলাম তাই শেয়ার করতে চলে এসেছি। আমি দেখিনি তবে আমার চাচার কাছ থেকে শুনেছি। আমার চাচা নিজে দেখেছিল তারপর বাড়িতে এসে আমাদের সবার সাথে শেয়ার করে। অনেকে হয়তো আমার কথা গুলো শুনে মনে করবেন এগুলো মিথ্যে কিন্তু আমি বলবো আজ যা বলছি সব সত্য কথা। তাহলে চলুন শুরু করি।
তখন আমি ক্লাস সেভেনে পড়ি। তারজন্য সব ঘটনা মনে আছে। আমার এক আপন চাচা বাজার পরোটার দোকান দিয়েছে। প্রতিদিনের মতো ঐ দিনও সকাল বেলা বাজারে চলে গিয়েছে রুটি বেচার জন্য। তখন সকাল আটটা বাজে আর আপনারা তো জানেন গ্রামে সকাল আটটা মানে অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে। বাজারে মানুষ জনে ভরে গিয়েছে। হঠাৎ করে পাগলের মতো দেখতে একটা লোক এসে চাচাকে বললো রুটি দিতে।
চাচার পরোটাগুলো একটু বড় বড় ছিল তাই একটা খেলেই পেট ভরে যেত। ঐ লোকটি একটা পরোটা খেয়ে চলে যাচ্ছিল। তারপর চাচা ডেকে বলে টাকা দিয়ে যাবেনা। এই কথা বলাতে লোকটি কোথা থেকে যেন একশো টাকা বের করে দিল। কিন্তু টাকা দেখতে অনেক পুরোনো ছিল।রুটির দাম ছিল দশ টাকা কিন্তু লোকটি একশো টাকা দিয়ে বাকি টাকা ফেরত না নিয়ে চলে যাচ্ছিলো। তখন চাচা বললো বাকি টাকা নিয়ে যান কিন্তু ঐ লোকটি বললো রেখে দে তোর কাছে। এই বলে হাঁটা শুরু করে তখন চাচা লোকটি দাঁড় করিয়ে অন্য দোকান থেকে ভাংতি এনে দেখে লোকটি চলে গিয়েছে।
কিন্তু কোথায় গেছে কেউ বলতে পারেনা। এরপর বাজারের কিছু মানুষ তাকে খুঁজাখুঁজি শুরু করলো কিন্তু কোথাও দেখতে পেলনা। এরপর আরেকজন চাচা সাইকেল নিয়ে লোকটি যে দিকে গিয়েছে সেদিকে খোঁজার জন্য যাচ্ছে কিন্তু তাও পেল না।অবশেষে লোকটিকে না পেয়ে সাইকেল নিয়ে চাচা বাড়ি চলে যাচ্ছে। এমন সময় দেখে ঐ লোকটি তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বাজার থেকে চাচার বাড়ি অনকটা দূরে কিন্তু কিভাবে চলে গিয়েছে কেউ বুঝতে পারছেনা।এরপর ঐ লোকটি চাচা বললো পানি খাওয়ানোর জন্য।
তারপর লোকটিকে জিজ্ঞেস করা হলো তার বাড়ি কোথায় এবং কোথা থেকে এসেছেন। এই কথার উত্তরে লোকটি যা বললো আপনারা শুনলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন।ঐ লোকটি দরবেশ অর্থাৎ আল্লাহর ওলি।আমাদের এখানে একটি বড় জঙ্গল আছে সেখানে তার এক মিতা থাকে সে বেড়াতে গিয়েছে বলে ওনি এখানে কিছু দিনের জন্য এসেছে। এখন তার মিতা চলে এসেছে বলে সে চলে যাচ্ছে। মানুষ ভয় পাবে বলে পাগলের বেশ ধরে এসেছে। এই কথা বলে লোকটি শুধু বাড়ি থেকে বের হয়েছে আর উধাও হয়ে গিয়েছে।
আমরা শুনেছি দরবেশের কাছে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়। কিন্তু আমার চাচার এই কথা মাথায় ছিলনা।যখন লোকটি চলে গেল তখন মনে হলো কেন আমি তার পায়ে পড়লাম না।এরপর অনেক খুঁজাখুঁজি করেছে কিন্তু আর পাওয়া যায়নি। আমাদের বাড়ির কাছেবঐ জঙ্গলে যে দরবেশ আছে তা অনেকে দেখেছে।কিন্তু কেউ কখনো কাছে যেতে পারেনি আর কিছু চাইতেও পারেনি।ঐ দিন সুযোগ ছিল কিন্তু তাও পারেনি।
আমার এই সত্য ঘটনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। যদি আমার পোস্টে কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power






.png)
Twitter Share
https://twitter.com/TanjimaAkter16/status/1567526036677742594?s=20&t=9i61rY_-WRIZh60SeUBHfg
আমি জানিনা উনি সত্যিই কোন দরবেশ ছিলেন কিনা, তবে ব্যাপারটা বেশ চমৎকার টাকা না নিয়ে চলে যাওয়া এবং কিছু সময়ের মধ্যে তার বাড়িতে গিয়ে পানি চাওয়া সত্যি ব্যাপারটা অদ্ভুত.
না ভাইয়া সত্যি ওনি দরবেশ। কারণ যারা সৎ মানুষ তারাই শুধু ওনাকে দেখতে পায় আর কেউ নয়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।