সন্তান অসুস্থ থাকলে নিজে ভালো থাকা যায় না
আসসলামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে জানাই আমার সালাম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
আমি ভালো আছি কিন্তু আমার মন ভালো নেই। কারণ ছেলে যখন অসুস্থ থাকে তখন মনে হয় ওর সাথে আমিও যেন অসুস্থ হয়ে পড়েছি। গ্ৰামে গরম থাকলেও গ্ৰামের আবহাওয়া প্রাকৃতিক আর একটু হলেও ঠান্ডা আর ভিন্ন। শহরের আবহাওয়ার সাথে গ্ৰামের আবহাওয়ার একদমই মিল নেই। আমি দু'দিন আগে পোস্টের মাধ্যমে বলেছিলাম গ্ৰামে লোডশেডিংয়ের জন্য শহরে চলে এসেছি। হয়তো শহরে লোডশেডিংয়ের সমস্যা হয় না। কিন্তু গ্ৰামের তুলনায় ঢাকায় গরম অনেক বেশি।
সেজন্য যেদিন ঢাকায় এসেছি তারপর দিন রাত থেকেই ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গতকাল সারাদিন খুব জ্বর ছিল। এরপর শুধু নাপা সিরাপ এনে খাইয়েছি। সন্ধ্যার দিকে একটু ভালো ছিল। কিন্তু রাত যত বাড়তে থাকে ততই যেনো জ্বরের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ছেলের এত জ্বর দেখে আমি তো খুব ভয় পেয়ে যাই। ছোট মানুষ তো তারজন্য জল পট্টি দিতে দেয় না। এরপর কষ্ট হবে জেনেও ভোরবেলা মাথায় পানি দেই।
তখন মাথার গরম একটু কমেছে। কিছুই খেতে চায় না আর ছোট মানুষ তো জোর করেও কিছু করানো যাবে না। বড়দেরই তো জ্বর আসলে কিছু খেতে ইচ্ছে করে না আর ও তো ছোট বাচ্চা। এরপর অনেক কষ্টে একটু বিস্কিট খাইয়ে ঔষধ খাওয়ালাম। তারপর জ্বর ছেড়ে শরীর একদম ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। সেজন্য আর সকালে ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়নি। কিন্তু বিকাল থেকে আবার সেই একই জ্বর চলে আসে।
এবার জ্বরে ছেলে আমার একদম বিছানার সাথে মিশে গিয়েছে। একদম শরীর দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আজকে অনেক কষ্টে একটু নরম খিচুড়ি খাইয়েছি। সে যা খেতে চায় নিয়ে আসি আর সামনে আনলেই বলে আম্মু খাবো না। সন্ধ্যার দিকে আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই আর জ্বর মেপে দেখে ১০১ ডিগ্ৰী রয়েছে। আজ রাত আর কাল সারাদিন দেখে আবার সন্ধ্যায় জানাতে বলছে। কারণ ৩ দিন না হলে তো আর এন্টিবায়োটিক ঔষধ দেওয়া যায় না।
শুধু বললো নাপা সিরাপ চালিয়ে যেতে আর যেহেতু ঠান্ডা কাশি রয়েছে তার জন্য আরও একটি সিরাপ দিলো। এখনও প্রচন্ড জ্বর। একটু আগে মাথায় আবার পানি দিলাম কিন্তু জ্বর কমার কোনো নাম নেই। ছেলের এই অবস্থা দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে। এরজন্য কোনো কাজ ঠিক মতো করতে পারছি না। আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন। যেনো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আবার আগের মতো হাসিখুশিতে ভরে উঠে।
এই গরমে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে যাবেন না। যদি যেতে হয় তাহলে ছাতা নিতে ভুলবেন না আর তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে ঘরে ফেরার চেষ্টা করবেন। তাছাড়া বেশি বেশি পানি পান করবেন। যাই হোক আজ আমার ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সবাই সবার পরিবার কে নিয়ে সুস্থ থাকুন এই দোয়া কামনা করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আসলে বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। আপনার ছেলে অসুস্থ জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করছি।
আসলে শহরের থেকে গ্রামের আবহাওয়া অনেক ভালো বলে আমি মনে করি। যদিও লোডশেডিংয়ের বেশ সমস্যা রয়েছে। তারপরও গ্রামের আবহাওয়া শহরের থেকে অনেক ভালো এবং স্বাস্থ্যকর।
হ্যাঁ ভাইয়া সন্তান অসুস্থ থাকলে কিছুই ভালো লাগে না। ঠিক বলেছেন গ্ৰামে লোডশেডিংয়ের সমস্যা হলেও গ্ৰামেই ভালো। ধন্যবাদ।
আপু এখন প্রচুর পরিমাণে গরম পড়েছে আপনি হুট করে গ্রাম থেকে এসেছেন এজন্য দুই জায়গা কার গরম ও সহ্য করতে পারেনি এই কারণে জ্বর ঠান্ডা কাশি লেগে গিয়েছে । সাবধানে রাখবেন বেশি জ্বর হলে অবশ্যই মাথায় পানি দিবেন আর গা হাত পা মুছিয়ে দিবেন। বাচ্চারা এমনিতেই খাওয়া নিয়ে ঝামেলা করে আর অসুস্থ হলে তো কোন কিছু খেতে চায় না । বাচ্চাটার জন্য অনেক দোয়া রইল ।আপু সাবধানে রাখবেন কোন সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন । চিন্তা করবেন না তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ।
হ্যাঁ আপু এই গরমে হঠাৎ করে গ্ৰাম থেকে আসার জন্য এমন হয়েছে। আপু দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
সন্তান অসুস্থ হলে খুবই খারাপ লাগে।বাবা মায়ের খুব কষ্টকর মুহূর্ত হলো সন্তানের অসুস্থতা।আপনার ছেলের সুস্থতা কামনা করছি আপু।আপনার পোস্ট পড়ে খুবই খারাপ লাগলো।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দোয়া করবেন আপু যেনো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। ধন্যবাদ।
বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে পিতা মাতা কোন ভাবেই ভালো থাকতে পারে না। সব সময়ই টেনশনে থাকে কখন বাচ্চা সুস্থ হবে। গ্রামের এবং শহরের আবহাওয়া একদমই আলাদা। আপনার ছেলে অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। দোয়া রইল খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।
হ্যাঁ ভাইয়া সন্তান অসুস্থ থাকলে বাবা মা কখনও ভালো থাকতে পারে না। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আমার তো মনে হয় গ্রামের থেকে শহরের অবস্থা আরো অনেক বেশি খারাপ। গ্রামে তো গাছপালা রয়েছে। তবুও কিছুটা বাতাস এর জন্য ভালো লাগে। কিন্তু শহরে তো মনে হয় গরমের তীব্রতা আরো অনেক গুণ বেশি। আর লোডশেডিং তো প্রত্যেকটা জায়গায় রয়েছে অনেক বেশি। এগুলোর জন্য শহরে গিয়েছিলেন কিন্তু গিয়েও কোন লাভ হলো না। আপনার ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে সত্যি খুব খারাপ লেগেছে। সন্তান অসুস্থ হলে মায়ের কাছে একেবারেই ভালো লাগেনা। দোয়া করি আপনার ছেলের জন্য, যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে।
হ্যাঁ আপু শহরের থেকে গ্ৰামের আবহাওয়া খুবই ভালো। শহরে ভালোর জন্য এসে খারাপ হয়ে গেল। আপনাদের দোয়া পেলে ইনশাআল্লাহ আমার ছেলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
খুব সম্ভবত আপু, আপনার বাচ্চা যেহেতু গ্রামের সুন্দর ঠান্ডা পরিবেশ থেকে শহরের এই গরমের ভিতরে এসে পড়েছে, এজন্য হয়তো শরীরটা খারাপ হয়ে গেছে। আপনার বাচ্চার যেহেতু ১০১ ডিগ্রি জ্বর রয়েছে, তার মানে সে অনেকটাই দুর্বল হয়ে গেছে। তবে আপু, এখন দেখেন ডাক্তার কবে থেকে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কথা বলে। আমার তো মনে হয় তার আগেই সে সুস্থ হয়ে যাবে। আপনার ছেলের জন্য অবশ্যই দোয়া রইল আপু।
ভাইয়া এখন সে মোটামুটি সুস্থ রয়েছে তাই এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়াতে হয়নি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যাক, এটা বেশ ভালো ব্যাপার আপু। প্রয়োজন না থাকলে বেশি এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো আবার ঠিক না বাচ্চাদের।