হঠাৎ করে বার্থডে কেক খাওয়া
প্রতিদিন সকাল সকাল পোস্ট করতে ইচ্ছে করলেও কেন জানি আর করতে পারছি না। একেক দিন একেক রকম সমস্যা থাকে। বিশেষ করে ছেলে অসুস্থ থাকলে ঠিক মতো কাজ করা হয়ে উঠে না। গতকাল ভাবি ফোন দিয়ে বললো আমার ভাতিজির অনেক জ্বর আর ঠান্ডা। এদিকে আমার ছেলেও খুব অসুস্থ। এসব কারণে মনে তেমন শান্তি নেই। সবার পরিবারেই বর্তমানে কম বেশি অসুখ লেগে রয়েছে। আজকে আবার সে সকাল থেকেই খুব বিরক্ত শুরু করে দিয়েছে। কিছু না দিলেই রাগ দেখায় আর কান্না করে। আজ সারাদিন এভাবেই কেটে গেলো। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি ছেলে অসুস্থ হলে তার পছন্দের খাবার খাওয়াতে।
তাছাড়া সে বাহিরের যা খাবে তাই কিনে দিতে। তার বাবা খাবারের পাশাপাশি খেলনাও কিনে নিয়ে আসে। যাতে করে অসুস্থ থাকলেও ছেলের মন মানসিকতা ভালো থাকে। গতকাল বললো পুডিং খাবে আর আমি তাই করলাম। এরপর পুডিং কাটার সময় বলে আম্মু আমি হ্যাপি বার্থডে বলবো। তারপর ছুরি এনে পুডিং কাটলো। কিছুক্ষণ পরে বলে আম্মু এটা হ্যাপি বার্থডে হয়নি আমি কেট কাটবো। আমি জিজ্ঞেস করলাম তুমি হ্যাপি বার্থডে বুঝো। সে আমায় বলে আম্মু আমি মোবাইলে দেখেছি বাবুরা কেক কাটে বাতি ফু দেয়। আমিও এমন করবো।
তার এই কথা শুনে আমার খুব হাসি পেলো। এরপর ওর বাবা বলে ঠিক আছে তাহলে সন্ধ্যায় কেক নিয়ে আসবো। তারপর একটা কাজের জন্য যাত্রাবাড়ী গিয়েছিল আর আসার সময় সেখান থেকে কেক নিয়ে আসে। কেক দেখে আমার ছেলে বলে আম্মু দেখো বাবা ডরিমন কেক নিয়ে আসছে। আমার কাছেও কেকটা খুব ভালো লেগেছে। কেক এত সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা হয়েছে যা দেখে আরও বেশি ভালো লেগেছে। তবে কেক এনে কোনো লাভ হলো না। ছেলে শুধু কেক কাটতে চায়,খেতে চায় না।
গতকাল থেকে এই পর্যন্ত যতটুকু কেক শেষ হয়েছে সবটুকু আমিই খেয়েছেন। ছেলে শুধু কেকের উপরে যে ক্রিম দিয়ে ডেকোরেশন করা সেটা অল্প খেয়েছে। তবে সে আনন্দ পেয়েছে এতেই আমরা খুব খুশি হয়েছি। সারাদিন একটু পর পর আমাকে বলছে আম্মু আমি হ্যাপি বার্থডে বলবো। তারপর সে নিজে নিজেই কেক আর ছুরি নিয়ে কেক কাটে আর একা একাই হ্যাপি বার্থডে টু ইউ বলে আর আমরা তার এই কান্ড দেখে হাসি🤩। এতে ছেলে আমার কি মজা পায় সেটাই বুঝলাম না।
তাছাড়া শুধু কেক নয়,ছেলের জন্য একটা খেলনা ট্রেন নিয়ে এসেছে। আমার ছেলে এসব কিছু পেয়ে যেনো অসুখের কথা ভুলেই গিয়েছিল। কিন্তু যখন সে ঘুম থেকে উঠে তখন আবার কান্নাকাটি আর বিরক্ত শুরু হয়। যা সে সুস্থ অবস্থায় কখনও করে না। বাচ্চাদের যত বেশি আনন্দ রাখবেন ততই তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে। তাছাড়া তাদের মন মানসিকতাও ভালো থাকবে। হয়তো যখন তারা খুব বেশি বিরক্ত করে তখন আমাদের খুব রাগ হয়। কিন্তু সেই রাগ কন্ট্রোল করতে হবে, নয়তো তাদের মধ্যে জেদ আরও বেশি দেখা দিবে। যাই হোক হঠাৎ করে বার্থডে কেক খেয়ে খুব ভালো লাগলো।
আমার পোস্টের সমাপ্তি এখানেই করছি। আপনারা নিজের যেমন খেয়াল রাখবেন তেমনি পরিবারের প্রতি যত্নশীল থাকবেন। কারণ বর্তমানের আবহাওয়া খুবই খারাপ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন এই দোয়া কামনা করি। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপু বাচ্চারা অসুখ হলে মা বাবার কাছে অনেক খারাপ লাগে। তখন তাদেরকে হাসি খুশি রাখতে পারলে হয়তো বা অসুস্থর মাঝে একটু ভালো থাকে। আপনি দেখতেছেন আপনার ছেলে অসুস্থর মাঝে বার্থডে কেক নিয়ে আসলেন সে অনেক খুশি হয়েছে। আর বাচ্চারা এমনিতে কোন গিফট পেলে অনেক খুশি হয়। যাইহোক খুব সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমি সবসময়ই চেষ্টা করি ছেলে অসুস্থ থাকা অবস্থায় তার মন ভালো রাখার। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ।
প্রথমেই আপনার ছেলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু। বাচ্চারা অসুস্থ হলে টেনশনের কোনো শেষ থাকে না। ছেলের খুশির জন্য বার্থডে কেক এবং খেলনা ট্রেন এনেছে, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। একটু পরপর আপনার ছেলেকে হ্যাপি বার্থডে বলবেন আপু😂। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া এখন যা খাবে তাতেই হ্যাপি বার্থডে বলতে হয়। এই কথা বললে সে খুব খুশি হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যাক বাবুর কথা শুনে যে হঠাৎ কেকের ব্যবস্থা করে তাকে আনন্দ দিয়েছেন। এ বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু।
বাচ্চারা অসুস্থ হলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। তবে এখনকার বাচ্চারা বেশ পাকনা।তাই বেশ পাকা পাকা কথা বলে। আপনার ভাইয়ের মেয়ে এবং আপনার ছেলে দুজনেই যেন সুস্থ হয়ে যায় এই দোয়াই করি আপু।
হ্যাঁ আপু বর্তমানের ছেলে মেয়েরা খুবই পাকা আর তাদের এই পাকা পাকা কথা শুনতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
কেকটা কিন্তু দুর্দান্ত দেখতে। এমন সুন্দর কার্টুন কেক বাবুর ভালো লাগবে এটাই তো স্বাভাবিক। তবে ওর হঠাৎ করে কেক কাটার ইচ্ছেটা খুব মিষ্টি। এমন করেই তো আনন্দে থাকা উচিত। কেক কাটার সত্যিই কি কোন দিন হয়? ইচ্ছে মতো যে কোন দিনকেই হ্যাপি বার্থডে বানিয়ে নিলে হয়। খুব ভালো লাগলো এই পোস্ট। বাবু ভালো থাকুক।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কেক কাটার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিন লাগে না। তাইতো ছেলের আবদার রাখতে কেক নিয়ে আসলাম। ধন্যবাদ।
আসলে বাচ্চাদের মন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিছু পাওয়ার আশা করে থাকে। তাই আপনারা বাবুর অনুভূতি বুঝতে পেরে চাওয়া মাত্রই দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বার্থডে কেক খাওয়ার অনুভূতিটা দারুন ছিল। বেশ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। বাবুর জন্য দোয়া করি। সব সময় বাবুকে দেখাশোনা করবেন।
হ্যাঁ ভাইয়া আমি সবসময়ই চেষ্টা করি সে যা চায় তাই দেওয়ার। এতে করে তার মন মানসিকতা ভালো থাকে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার ছেলের সুস্থতা কামনা করছি। হঠাৎ করে খুব সুন্দর বার্থডে সেলিব্রেট করেছেন দেখছি। মোবাইল দেখে তাহলে অনেক কিছুই শিখেছে। কেক কাটার মধ্যেই তাদের আনন্দ। কেকটা কিন্তু খুবই সুন্দর দেখতে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক ভালো লেগেছে। খেলনা ট্রেনও পেল। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু সে মোবাইল দেখে সব কিছু শিখে ফেলেছে আর সেজন্য ফাঁকি দেওয়া যায় না। এই কেক খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ।
যাক হঠাৎ করে ছেলের জন্য কেক খাওয়া হলো। বার্থডে কেক কেক দেখে তো আমি অবাক। এমন ডিজাইনের কেক তো কখনো দেখা হয়নি। যায়হোক ছোট মানুষ বার্থডে কেকও চিনছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া সে মোবাইল দেখে দেখে সব কিছু শিখে গিয়েছে। ধন্যবাদ।
আপনার ছেলের ছবি দেখলাম অনেক কিউট আপনার ছেলে আর বয়স মনেহয় ৬ থেকে ৭ হবে আমার ছেলেও বয়স ও নভেম্বরে ৭ বছর হবে। পরিবারের যখন সব সময় সমস্য দেখা দেয় তখন পরিবারের নামে এতিম মাদ্রাসায় কিছু টাকা দান করে দিয়েন দেখবেন সকল সমস্যা দুর হয়ে গেছে। আর ছেলের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন এবং সব সময় তার সাথে ভাল ব্যাবহার করতে হবে। তাহলে তার ও মন মানসিকতা সব সময় ভাল থাকবে।
ভাইয়া আমার ছেলের বয়স ৩ বছর ৪ মাস চলে আর আপনার ছেলের নভেম্বরে ৭ বছর পূর্ণ হবে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর উপদেশ দেওয়ার জন্য।