ছেলের অসুস্থতার জন্য মন খারাপ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাঁককে
আসসালামু-আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।আমার ছেলেটা যখন অসুস্থ থাকে তখন আমার একদমই ভালো লাগেনা। যখন সুস্থ থাকে তখন কথা শুনাতে পারিনা বলে অনেক রাগারাগি করি। কিন্তু যখন অসুস্থ হয়ে কোনো সাড়াশব্দ করে না তখন খুব কষ্ট হয়। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন 🤲।
আপনারা আছেন বলেই আপনাদের কাছে আমার মনের কথাগুলো বলতে পারি। আমি আবার কখনো আমার কষ্ট গুলো কাউকে বুঝাতে পারিনা। তারজন্য যখন কষ্ট পাই তখন শুধু নিরবে কেঁদে যাই।কিন্তু এখন আপনারা আছেন তাই আপনাদের সাথে আমার মনের কথা বলে একটু হালকা হতে চাই। জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন নিজেকে সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে হয়।
একটা সময় ছিল যখন রাত ১১ টা বাজলে আমাকে আর খুঁজ পাওয়া যেত না গভীর ঘুমে হারিয়ে যেতাম। কিন্তু যখন বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি যাই তখন থেকে নিজেকে একটু একটু পরিবর্তন করতে শুরু করি। যেখানে ১১টায় ঘুমাতে যেতাম সেখানে ঘুমাতে ঘুমাতে রাত ১২টা বা ১টা বেজে যেত।এখন যখন সন্তানের মা হলাম তারজন্য প্রায় সময় রাত জেগে বসে থাকতে হয়।
যখন সন্তান অসুস্থ থাকে তখন মনে হয় হাজার চেষ্টা করলেও চোখে ঘুম আসেনা।এরই নাম হয়তো মা। সারাদিন সংসারের কাজ করে রাতের বেলা সন্তান অসুস্থ হলে আবার না ঘুমিয়ে সারা রাত কাটিয়ে দেওয়া মনে হয় একজন মার পক্ষেই সম্ভব। যখন সন্তানের মুখে হাসি দেখি তখন মনে হয় এই পৃথিবীতে আমার থেকে সুখি আর কেউ নেই। আবার যখন মুখটা মলিন দেখি তখন আমার নিজের মনও খারাপ হয়ে যায়। আজ সন্তানকে নিয়ে এতটা যখন কষ্ট পাচ্ছি তখন মায়ের কথা খুব মনে পড়ে যাচ্ছে।
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন তো আমার মা ও এমন কষ্ট সহ্য করেছেন। কিন্তু আমরা কি তা কখনো বুঝতে চেষ্টা করেছি। হয়তো অনেক সময় অনেক বিষয় নিয়ে মায়ের সাথে রাগ-অভিমান হয়েছে কিন্তু এখন যতটা মায়ের কষ্ট বুঝতে পারি আরও আগে যদি পারতাম তাহলে হয়তো কখনো মায়ের সাথে অভিমান হতো না। মেয়েরা যখন মা হয়ে ওঠে তখনি কেবল মায়ের কষ্ট বুঝতে পারে।
অবশ্য জানি এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য সবার ঘরে ঘরে এই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু মায়ের মন তো তাই মানতে চায়না। আমার ছেলেটা মাত্র দু'একটি কথা বলতে শুরু করেছে এর মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।আজ কয়েক দিন ধরে এমন অসুস্থতা দেখে মনটা অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছে। আমাকে ঠিক মতো মা বলেও ডাকে না। ছেলের এমন অবস্থা দেখে খুবই খারাপ লাগছে।
আপনারা সবাই সাবধানে থাকবেন এবং পরিবারের সবাইকে সাবধানে থাকতে বলবেন।আজ এখানেই শেষ করলাম আমার লেখা। যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

Twitter Share
https://twitter.com/TanjimaAkter16/status/1566807380100124672?s=20&t=mIuTWIUgh7fZGv12ncVshA
সত্যি আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সন্তানের যাতে কষ্ট না হয় এজন্য মা একমাত্র রাত জেগে বসে থাকে। যাইহোক আপু আপনার সন্তান যেন সুস্থ থাকে এবং ভালো থাকে এই দোয়া করি সবসময়।
আমিন। তারজন্যই মায়ের স্থান সবার উপরে দেওয়া হয়েছে। গঠনমূলক মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার লেখাগুলো পড়ে আসলে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগছে। দোয়া করি আল্লাহ যাতে আপনার সন্তানকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়। ঠিকই বলেছেন আপনি। যখন সন্তান অসুস্থ থাকে তখন মায়ের চোখে আসলে ঘুম হয় না। আমার আম্মুকেও দেখি আমার ভাই যখন অসুস্থ থাকে সারারাত তাকে নিয়ে বসে থাকা লাগে। মা এমন হয়। আপনার লেখাগুলো আমার খুবই ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনাদের দোয়ায় ইনশাআল্লাহ আমার ছেলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। সমবেদনা জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন বাচ্চারা অসুস্থ হলে মায়েদের মন কখনো ঠিক থাকে না। সেখানে ঘুম তো দূরে থাক। আপনার গল্পটির সাথে আমার জীবনের গল্পটিও মিলে গেছে। আমিও আগে বাবার বাড়িতে দশটার সময় শুয়ে পড়তাম। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে এসে এবং বাচ্চা হওয়ার পর বারোটা একটাও বেজে যায়। এটাই নিয়ম আপু আমাদের মা শাশুড়িরাও এটাই করে এসেছে। 😑 আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা রইল আপু ।আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনার ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে। আবহাওয়ার কারণে ঘরে ঘরে এখন এসব হচ্ছে।
হ্যাঁ আপু এটাই যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য দিয়ে এভাবে পাশে থাকার পর। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
মেয়েদের একমাত্র পরিবর্তন হয় বিয়ের পরে ,আর মা তো একজন সন্তানের সব চেয়ে আপনজন ।সন্তান কে লালন পালন করাও একটা ইবাদত
হ্যাঁ সবার কাছেই তার মা সবচেয়ে কাছের এবং আপন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ছেলের অসুস্থতার কথা জেনে খুব খারাপ লাগলো ৷ আশা করি খুব তারাতারি আপনার ছেলে সুস্থ হবে ৷ সন্তানের অসুস্থতার জন্য কেবল মায়ের মনি খারাপ থাকে ৷ একটু এতটু যাই হোক না কেনো সন্তানের, মায়ের ঘুম হারিয়ে যাবে সন্তানের কথা ভেবে ৷
লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে সন্তান এরা কখনো অসুস্থ হয়ে পড়লে মা পাগলের মত হয়ে যায় কোনটা থেকে কোনটা করবে। আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাই। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।