চাচার কাছ থেকে ডাকাত ধরার গল্প শোনা
আজ একদম ভিন্ন পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। গ্ৰামে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত খুব ভালো যাচ্ছে। এবার অনেক দিন থেকেছি আমাদের বাড়িতে। আমাদের বাড়িতে এই সময়ে মাহফিলের জন্য আসা হয়। তবে এবার দু'টো মাহফিলের ব্যবধান বেশি হওয়ায় এতদিন বাড়িতে থাকা হয়েছে। এখন সব শেষ তাই আমরা সবাই রবিবার ঢাকায় চলে যাবো। এত দিন বাড়িতে থেকে কেমন যেনো মায়া পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছুই করার নেই যেতে তো হবেই। এই গ্ৰামে রয়েছে হাজারো স্মৃতি আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এখানে আমার বাবা শুয়ে আছে। তাই এই সবকিছু ফেলে যেতে ইচ্ছে করে না আবার এখানে সারাজীবন থাকতেও পারবো না। যাই হোক কাজের কথায় আসি।
আমাদের বাড়ির সামনেই বিশাল ধানের জমি। যত দূর চোখ যায় শুধু ধানের ক্ষেত আর ক্ষেত। শীতের সময়ে সব ধান কেটে ফেলা হয় তাই সব ক্ষেত খালি পড়ে থাকে। সেজন্য এই সময়ে চুরি ডাকাতে করতে খুব সুবিধা হয়। তারজন্য এই সময়টায় প্রায় প্রতিদিন রাতেই কারো না কারো গরু ছাগল চুরি যায়। তাছাড়া ডাকাত একটু চালাক আর দল বেঁধে আসে বলে তারা মাঝে মাঝে আসে।
এবার বাড়ি আসার আগেই ডাকাতি হওয়ার খবর শুনেই এসেছি। বাড়িতে আসার আগেই ভয় লাগতে শুরু করছিল। প্রতিদিন রাত হলেই ভয় লাগে। গ্ৰামে আবার সন্ধ্যার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। তারজন্য ডাকাতি করতে বেশি সুবিধা হয়। গত সপ্তাহে আমাদের বাজারের পাশে এক বাড়িতে ডাকাত আসে। তারা দূর সম্পর্কের চাচা হয়। তখন রাত আনুমানিক ২ টা বাজে। তাদের বাড়ি একদম মেইন রাস্তার পাশেই।
সেজন্য ডাকাত দল অটোরিকশা করে এসেছিল। একজন বাড়িতে গিয়েছে আর বাকিরা রাস্তায় ছিল। চাচার বাড়ি টিনের তৈরি তাই তাদের বাথরুম বাহিরে ছিল। রাতে যখন চাচা বাহিরে আসে তখন ডাকাতের একজন ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর চাচা ঘরে গেলে সেই লোকটি দরজা খোলার চেষ্টা করে আর চাচা টের পেয়ে যায়। তখন লোকটিকে চাচা একলাই চেপে ধরে আর চিৎকার শুরু করে। এরপর সাথে সাথে আশেপাশের মানুষ জন লাঠি নিয়ে বের হয়ে যায়।
এদিকে রাস্তায় থাকা ডাকাত গুলো ভয়ে পালিয়ে যায়। এরপর সেই লোকটিকে সবাই খুব মারধর করে আর হাতে থাকা মোবাইল নিয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দিতে চেয়েছিলো এলাকার মানুষ জন। কিন্তু সেই ডাকাত এতটাই চালাক সে তা বুঝতে পেরে মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে। এরপর থানায় ফোন দেওয়া হয় আর সকালে পুলিশ এসে ডাকাতকে নিয়ে যায়। আমি তো সকালে এই খবর পেয়ে খুব ভয় পেয়ে যাই। তারজন্য রাত হলেই খুব ভয় করে। এমন ঘটনা মাঝে মাঝেই হয়ে থাকে।
কিছুদিন আগে আরও এক বাড়িতে এসেছিল। এরপর ডাকাতি করে সবকিছু নিয়ে তো গেলেই আবার যাওয়ার সময় কয়েকজনকে আহত করেও রেখে গিয়েছে। তারা ডাকাতির পাশাপাশি মারধর করে বলে বেশি ভয় লাগে। চাচার কাছ থেকে তার ডাকাত ধরার এমন ভয়ঙ্কর গল্প শোনে যেমন ভয় লাগছিল তেমন মজাও পেলাম। যাই হোক আজ অনেক কথা বলেছি আবার দেখা হবে অন্য একদিন। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আজ একদম ভিন্ন পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। গ্ৰামে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত খুব ভালো যাচ্ছে। এবার অনেক দিন থেকেছি আমাদের বাড়িতে। আমাদের বাড়িতে এই সময়ে মাহফিলের জন্য আসা হয়। তবে এবার দু'টো মাহফিলের ব্যবধান বেশি হওয়ায় এতদিন বাড়িতে থাকা হয়েছে। এখন সব শেষ তাই আমরা সবাই রবিবার ঢাকায় চলে যাবো। এত দিন বাড়িতে থেকে কেমন যেনো মায়া পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছুই করার নেই যেতে তো হবেই। এই গ্ৰামে রয়েছে হাজারো স্মৃতি আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এখানে আমার বাবা শুয়ে আছে। তাই এই সবকিছু ফেলে যেতে ইচ্ছে করে না আবার এখানে সারাজীবন থাকতেও পারবো না। যাই হোক কাজের কথায় আসি।
আমাদের বাড়ির সামনেই বিশাল ধানের জমি। যত দূর চোখ যায় শুধু ধানের ক্ষেত আর ক্ষেত। শীতের সময়ে সব ধান কেটে ফেলা হয় তাই সব ক্ষেত খালি পড়ে থাকে। সেজন্য এই সময়ে চুরি ডাকাতে করতে খুব সুবিধা হয়। তারজন্য এই সময়টায় প্রায় প্রতিদিন রাতেই কারো না কারো গরু ছাগল চুরি যায়। তাছাড়া ডাকাত একটু চালাক আর দল বেঁধে আসে বলে তারা মাঝে মাঝে আসে।
এবার বাড়ি আসার আগেই ডাকাতি হওয়ার খবর শুনেই এসেছি। বাড়িতে আসার আগেই ভয় লাগতে শুরু করছিল। প্রতিদিন রাত হলেই ভয় লাগে। গ্ৰামে আবার সন্ধ্যার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। তারজন্য ডাকাতি করতে বেশি সুবিধা হয়। গত সপ্তাহে আমাদের বাজারের পাশে এক বাড়িতে ডাকাত আসে। তারা দূর সম্পর্কের চাচা হয়। তখন রাত আনুমানিক ২ টা বাজে। তাদের বাড়ি একদম মেইন রাস্তার পাশেই।
সেজন্য ডাকাত দল অটোরিকশা করে এসেছিল। একজন বাড়িতে গিয়েছে আর বাকিরা রাস্তায় ছিল। চাচার বাড়ি টিনের তৈরি তাই তাদের বাথরুম বাহিরে ছিল। রাতে যখন চাচা বাহিরে আসে তখন ডাকাতের একজন ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর চাচা ঘরে গেলে সেই লোকটি দরজা খোলার চেষ্টা করে আর চাচা টের পেয়ে যায়। তখন লোকটিকে চাচা একলাই চেপে ধরে আর চিৎকার শুরু করে। এরপর সাথে সাথে আশেপাশের মানুষ জন লাঠি নিয়ে বের হয়ে যায়।
এদিকে রাস্তায় থাকা ডাকাত গুলো ভয়ে পালিয়ে যায়। এরপর সেই লোকটিকে সবাই খুব মারধর করে আর হাতে থাকা মোবাইল নিয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দিতে চেয়েছিলো এলাকার মানুষ জন। কিন্তু সেই ডাকাত এতটাই চালাক সে তা বুঝতে পেরে মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে। এরপর থানায় ফোন দেওয়া হয় আর সকালে পুলিশ এসে ডাকাতকে নিয়ে যায়। আমি তো সকালে এই খবর পেয়ে খুব ভয় পেয়ে যাই। তারজন্য রাত হলেই খুব ভয় করে। এমন ঘটনা মাঝে মাঝেই হয়ে থাকে।
কিছুদিন আগে আরও এক বাড়িতে এসেছিল। এরপর ডাকাতি করে সবকিছু নিয়ে তো গেলেই আবার যাওয়ার সময় কয়েকজনকে আহত করেও রেখে গিয়েছে। তারা ডাকাতির পাশাপাশি মারধর করে বলে বেশি ভয় লাগে। চাচার কাছ থেকে তার ডাকাত ধরার এমন ভয়ঙ্কর গল্প শোনে যেমন ভয় লাগছিল তেমন মজাও পেলাম। যাই হোক আজ অনেক কথা বলেছি আবার দেখা হবে অন্য একদিন। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ডাকাতের নাম শুনেই তো ভয় লাগছে। আপনার চাচার অনেক সাহস তা মানতেই হবে।বাপরে ডাকাতকে ধরে ফেলেছে আসলে এরকম সাহসী মানুষজন আছেন বলেই তো চোর ডাকাতকে ধরা সম্ভব হয় সরেজমিনে। আপনার ভয় পাওয়াই স্বাভাবিক গ্রামে তো আতংকে থাকতে হয়েছে আপনাকে।কখন ডাকাত কার বাড়িতে হানা দেবে কে জানে।প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন প্রয়োজন আপনাদের গ্রামে।আমাদের এলাকায় ডাকাত নেই তবে শীতকালে গরু চোরের উপদ্রব বেড়ে যায়।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি করার জন্য।
আপু যখন আমরা এই খবর পেলাম তখন থেকেই যেনো ভয়ে হাত পা কাঁপা শুরু হয়ে গিয়েছিলো। প্রতি রাতেই সবাইকে আতংকে থাকতে হয়। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে আর তারাও মাঝে মাঝে টহল দেয়। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনাদের গ্রামে এরকম ঘটনা বেশিরভাগ সময় ঘটে, জেনেই তো আমার খুব ভয় লাগছিল। ভাগ্য ভালো ছিল যে আপনার চাচা টের পেয়ে গিয়েছিল। না হলে তো আপনার চাচার কাছ থেকেও কিছু নিয়ে যেত। কয়েকদিন আগে এরকম আবারও হয়েছিল, কিন্তু সেখানে তো দেখলাম নিয়ে গিয়েছিল এবং আহত করে গিয়েছিল। কাকার কাছ থেকে টাকা ধরার গল্পটা শুনে আমাদের মাঝে সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন। সম্পূর্ণটা পড়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু প্রায় সময়ই ডাকাতি হয় আর তাইতো বাড়িতে গেলে রাতের বেলা খুব ভয় করে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।