অনলাইন থেকে ছেলের জন্য জিনিস কেনার অনুভূতি
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আবারও চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভিন্ন ধরনের পোস্ট করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তারজন্য চেষ্টা করি প্রতিদিন ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করার জন্য। সেজন্য আজ একদম ভিন্ন ধরনের অনুভূতি শেয়ার করতে চলে এসেছি। এতক্ষণে আমার টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কি অনুভুতি শেয়ার করতে এসেছি? হ্যাঁ এই প্রথম আমি অনলাইন থেকে কিছু কিনেছি তাও আবার ছেলের জন্য।
আমার কাছে মার্কেটে গিয়ে অনেক জিনিসের মধ্য থেকে একটা পছন্দ করে কিনতে বেশি ভালো লাগে। অনলাইন কেন জানি বিশ্বাস করতে পারিনা। তার ও কিছু কারণ আছে। একবার আমি আর ভাবি মিলে চিন্তা করেছি দু'জনে একই রকম ড্রেস অনলাইন থেকে কিনবো। এরপর খুঁজতে শুরু করলাম কোন ড্রেস কিনা যায়। অবশেষে খুব সুন্দর ড্রেস পেয়ে গেলাম। আমরা অর্ডার কনফার্ম করবো এমন সময় ভাবি বলে দাঁড়াও এই ড্রেস অন্য জায়গায় যাচাই করে নেই।
এরপর অন্য জায়গায় দেখতে পেলাম একই রকম ড্রেস কিন্তু সেখানে আরও তিনশত টাকা কম। তখন আমাদের মনে সন্দেহ তৈরি হলো আর ভাবলাম যেহেতু বাঁধা পড়েছে তাই আর কিনবোই না। এরপর থেকে কখনো কিনা হয়নি।তবে ভাবি দু'একবার কিনে ঠেকেছিল তাই আরো অনলাইন থেকে মন উঠে গেলো। কিন্তু এত বছর পর ছেলের জন্য কিছু জিনিস দেখে খুব কিনতে ইচ্ছে হলো। এবার আমি ছেলের জন্য অনলাইন থেকে তিনটি জিনিস কিনেছি। প্রথমে কিনেছি সিলিকনের দিয়ে তৈরি বাচ্চাদের ব্রাশ। এরপর কিনে আনলাম খেলনাঘর আর আজ নিয়ে আসলাম ম্যাজিক ট্যাব।
আমার ছেলে একদমই ব্রাশ করতে চাইতো না কিন্তু এখন এটা এনে দেওয়ার পর সকালে এবং রাতে দুই বার ব্রাশ করে। এটা একদম নরম বলে সে ব্রাশ করে খুব মজা পায়। এরপর আবার ব্রাশের নিচে গাড়ির ডিজাইন করা দেখে বাচ্চারা বেশি মজা পায়। এখন আর আমাকে বলতে হয়না ব্রাশ করো বরং সে নিজেই বলে আম্মু ব্রাশ করবো। এরপর খুব সুন্দর ঘর দেখতে পেলাম। সেই ঘর দেখে ছোটবেলার কলা পাতা দিয়ে বানানো ঘরের কথা মনে পড়ে গেল। বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েরা এগুলো কোথায় পাবে তাই চিন্তা করলাম এই ঘর কিনে দেই।
এই ঘর পেয়ে তো সে খুব খুশি আর তার একটি ভিডিও করেছিলাম সেটা না হয় অন্য একদিন শেয়ার করবো। আমরা ছোটবেলায় কলা পাতা দিয়ে একেক জন একেক জায়গায় ঘর বানিয়ে খেলতাম। সেই দিনগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির সময়ও আমরা কলা পাতার ঘরে বসে থাকতাম। আজ সেই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় জমা পড়ে রয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় যদি সেই দিনে ফিরে যেতে পারতাম।
এরপর আজ আসলো ম্যাজিক ট্যাব। এর মধ্যে একটা কলম রয়েছে তা দিয়ে আপনি যা ইচ্ছে তা লিখতে পারবেন। যখন মুছে ফেলতে ইচ্ছে করবে তখন নিচে একটা সুইচ আছে টিপ দিলে মুছে যাবে। আমার কাছে এটা অনেক ভালো লেগেছে। আমার ছেলে এটার নাম দিয়েছে মোবাইল খাতা। এটা পেয়ে সে খুব আনন্দ পেয়েছে। শুধু এটা নয় পরপর এত সুন্দর সুন্দর তিনটি জিনিস পেয়ে সে খুব আনন্দ পেয়েছে।
প্রতিটা বাবা মা সন্তানের খুশিতে তারাও খুশি হয়। আমার হাসবেন্ড ছেলেকে খেলনা কিনে দিতে অনেক আনন্দ পায়। সেই খেলনা যত দামই হোক না কেন। সকালে একবার তার বাবার সাথে নিচে যাবে তখন কিছু খেলনা নিয়ে আসবে আবার বিকালে গিয়ে আরো কিছু নিয়ে আসবে। এভাবে প্রতিদিন বাবা ছেলে খেলনা আনতে আনতে ঘর ভরে গিয়েছে। আমার বাসায় আসবাবপত্র থেকে ছেলের খেলনা বেশি।
পরপর তিনটি জিনিস এনেছে তারপরও আজ সন্ধ্যায় বলতেছে ছেলেকে আর কি কিনে দেওয়া যায়। আমার ছেলে এত সুন্দর সুন্দর জিনিস পেয়ে খুব খুশি। এখন আগের তুলনায় বিরক্ত করা একটু কমেছে। সে এখন সারাদিন খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমার মনে হচ্ছে এবার অনলাইন থেকে জিনিস কিনে স্বার্থক হয়েছি। তারজন্য ভেবেছি এরপর থেকে ছেলের জন্য যা কিনবো সব অনলাইন থেকেই কিনবো। আমি যেমন অর্ডার করেছি ঠিক তেমনি পেয়েছি। যাই হোক আমার এত সুন্দর অনুভূতি পড়ে আশা করি ভালো লাগবে।আজ এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আবারও চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভিন্ন ধরনের পোস্ট করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তারজন্য চেষ্টা করি প্রতিদিন ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করার জন্য। সেজন্য আজ একদম ভিন্ন ধরনের অনুভূতি শেয়ার করতে চলে এসেছি। এতক্ষণে আমার টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কি অনুভুতি শেয়ার করতে এসেছি? হ্যাঁ এই প্রথম আমি অনলাইন থেকে কিছু কিনেছি তাও আবার ছেলের জন্য।
আমার কাছে মার্কেটে গিয়ে অনেক জিনিসের মধ্য থেকে একটা পছন্দ করে কিনতে বেশি ভালো লাগে। অনলাইন কেন জানি বিশ্বাস করতে পারিনা। তার ও কিছু কারণ আছে। একবার আমি আর ভাবি মিলে চিন্তা করেছি দু'জনে একই রকম ড্রেস অনলাইন থেকে কিনবো। এরপর খুঁজতে শুরু করলাম কোন ড্রেস কিনা যায়। অবশেষে খুব সুন্দর ড্রেস পেয়ে গেলাম। আমরা অর্ডার কনফার্ম করবো এমন সময় ভাবি বলে দাঁড়াও এই ড্রেস অন্য জায়গায় যাচাই করে নেই।
এরপর অন্য জায়গায় দেখতে পেলাম একই রকম ড্রেস কিন্তু সেখানে আরও তিনশত টাকা কম। তখন আমাদের মনে সন্দেহ তৈরি হলো আর ভাবলাম যেহেতু বাঁধা পড়েছে তাই আর কিনবোই না। এরপর থেকে কখনো কিনা হয়নি।তবে ভাবি দু'একবার কিনে ঠেকেছিল তাই আরো অনলাইন থেকে মন উঠে গেলো। কিন্তু এত বছর পর ছেলের জন্য কিছু জিনিস দেখে খুব কিনতে ইচ্ছে হলো। এবার আমি ছেলের জন্য অনলাইন থেকে তিনটি জিনিস কিনেছি। প্রথমে কিনেছি সিলিকনের দিয়ে তৈরি বাচ্চাদের ব্রাশ। এরপর কিনে আনলাম খেলনাঘর আর আজ নিয়ে আসলাম ম্যাজিক ট্যাব।
আমার ছেলে একদমই ব্রাশ করতে চাইতো না কিন্তু এখন এটা এনে দেওয়ার পর সকালে এবং রাতে দুই বার ব্রাশ করে। এটা একদম নরম বলে সে ব্রাশ করে খুব মজা পায়। এরপর আবার ব্রাশের নিচে গাড়ির ডিজাইন করা দেখে বাচ্চারা বেশি মজা পায়। এখন আর আমাকে বলতে হয়না ব্রাশ করো বরং সে নিজেই বলে আম্মু ব্রাশ করবো। এরপর খুব সুন্দর ঘর দেখতে পেলাম। সেই ঘর দেখে ছোটবেলার কলা পাতা দিয়ে বানানো ঘরের কথা মনে পড়ে গেল। বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েরা এগুলো কোথায় পাবে তাই চিন্তা করলাম এই ঘর কিনে দেই।
এই ঘর পেয়ে তো সে খুব খুশি আর তার একটি ভিডিও করেছিলাম সেটা না হয় অন্য একদিন শেয়ার করবো। আমরা ছোটবেলায় কলা পাতা দিয়ে একেক জন একেক জায়গায় ঘর বানিয়ে খেলতাম। সেই দিনগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির সময়ও আমরা কলা পাতার ঘরে বসে থাকতাম। আজ সেই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় জমা পড়ে রয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় যদি সেই দিনে ফিরে যেতে পারতাম।
এরপর আজ আসলো ম্যাজিক ট্যাব। এর মধ্যে একটা কলম রয়েছে তা দিয়ে আপনি যা ইচ্ছে তা লিখতে পারবেন। যখন মুছে ফেলতে ইচ্ছে করবে তখন নিচে একটা সুইচ আছে টিপ দিলে মুছে যাবে। আমার কাছে এটা অনেক ভালো লেগেছে। আমার ছেলে এটার নাম দিয়েছে মোবাইল খাতা। এটা পেয়ে সে খুব আনন্দ পেয়েছে। শুধু এটা নয় পরপর এত সুন্দর সুন্দর তিনটি জিনিস পেয়ে সে খুব আনন্দ পেয়েছে।
প্রতিটা বাবা মা সন্তানের খুশিতে তারাও খুশি হয়। আমার হাসবেন্ড ছেলেকে খেলনা কিনে দিতে অনেক আনন্দ পায়। সেই খেলনা যত দামই হোক না কেন। সকালে একবার তার বাবার সাথে নিচে যাবে তখন কিছু খেলনা নিয়ে আসবে আবার বিকালে গিয়ে আরো কিছু নিয়ে আসবে। এভাবে প্রতিদিন বাবা ছেলে খেলনা আনতে আনতে ঘর ভরে গিয়েছে। আমার বাসায় আসবাবপত্র থেকে ছেলের খেলনা বেশি।
পরপর তিনটি জিনিস এনেছে তারপরও আজ সন্ধ্যায় বলতেছে ছেলেকে আর কি কিনে দেওয়া যায়। আমার ছেলে এত সুন্দর সুন্দর জিনিস পেয়ে খুব খুশি। এখন আগের তুলনায় বিরক্ত করা একটু কমেছে। সে এখন সারাদিন খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমার মনে হচ্ছে এবার অনলাইন থেকে জিনিস কিনে স্বার্থক হয়েছি। তারজন্য ভেবেছি এরপর থেকে ছেলের জন্য যা কিনবো সব অনলাইন থেকেই কিনবো। আমি যেমন অর্ডার করেছি ঠিক তেমনি পেয়েছি। যাই হোক আমার এত সুন্দর অনুভূতি পড়ে আশা করি ভালো লাগবে।আজ এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনি তো দেখছি অনলাইন থেকে বেশ কিছু কিনেছেন ছেলের জন্য। আসলে অনলাইনে কিছু বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো ভালো জিনিস দেই। আজেবাজে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা যেমন বিজ্ঞাপন দেখায় কিন্তু তেমন ভালো জিনিস সাপ্লাই করে না। তবে আজকে আপনার জিনিস গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুব ভালো পেয়েছেন। অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি তো দেখছি অনলাইন থেকে বেশ কিছু কিনেছেন ছেলের জন্য। আসলে অনলাইনে কিছু বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো ভালো জিনিস দেই। আজেবাজে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা যেমন বিজ্ঞাপন দেখায় কিন্তু তেমন ভালো জিনিস সাপ্লাই করে না। তবে আজকে আপনার জিনিস গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুব ভালো পেয়েছেন। অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু তারা যেমন বিজ্ঞাপন দেখায় অনেক সময় তা পাওয়া যায় না তাই বিশ্বাস করতে পারিনা। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আর আমার হয়েছে উলটা। অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে করতে দোকানে গিয়ে আর কোন কিছু পছন্দ করতে পারি না। আনইজি লাগে বিভিন্ন জিনিস ঘুরে ঘুরে দেখতে। অনলাইন থেকে দেখে শুনে কিনতে পারলে খুব একটা বেশি ঠকতে হয় না। তার আগে একটু যাচাই-বাছাই করতে হয় এই আর কি। যাইহোক আপনি তাও দোকানে গিয়ে ভালোই জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছেন।
আপু আমি এগুলো দোকান থেকে নয় অনলাইন থেকে কিনেছি আর এই প্রথমবার কিনলাম। তবে আমি অনলাইন থেকে একদমই কিনতে পারিনা মনে হয় যেন ঠকতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আমি প্রায় প্রতি মাসেই দারাজ থেকে কেনাকাটা করে থাকি। অন্যান্য সেলারদের চেয়ে দারাজ মলের প্রোডাক্টস বেশ ভালোই হয়ে থাকে। যাইহোক ছেলের জন্য তো ভালোই কেনাকাটা করলেন অনলাইন থেকে। ঘরটি কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। আসলে অনলাইনে ভালো খারাপ দুটোই আছে, তবে ফিডব্যাক দেখে কিনলে বেশিরভাগ সময় ভালোই পাওয়া যায়। আপনার ছেলে তো দেখছি খুব খুশি হয়েছে এগুলো পেয়ে। ম্যাজিক ট্যাব এর নামটা কিন্তু আপনার ছেলে বেশ ভালোই দিয়েছে"মোবাইল খাতা"😂। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া সে এগুলো পেয়ে খুব খুশি হয়েছে।এমনি কি সারাদিন এখন এগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকে। যেহেতু অনলাইন থেকে শপিং শুরু করেছি তাই চিন্তা করলাম এরপর থেকে অনলাইন থেকেই কিনবো। ধন্যবাদ।