বৃক্ষ মেলায় ঘোরাঘুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে বৃক্ষ মেলায় গিয়েছিলাম। এর আগে ঢাকার বৃক্ষ মেলায় কখনো যাওয়া হয়নি। এবারই প্রথম গিয়েছিলাম।এই বৃক্ষ মেলা চীন মৈত্রী সম্মেলনের পাশে বসেছে। আগে যেখানে বাণিজ্য মেলা হত ঐখানে। বেশিরভাগ মেলা গুলোতে আমার যাওয়া হয় না। কারণ হাজবেন্ডের অফিস থাকে। আর ছুটির দিন গেলে প্রচন্ডরকম ভিড় থাকে। কিছুই দেখা যায় না। এজন্য আর যাওয়াই হয় না। সেদিন হাসবেন্ডের একটু শরীর খারাপের জন্য ছুটি নিয়েছিল। তাই ভাবলাম যে বিকেলের দিকে বৃক্ষ মেলা থেকে ঘুরে আসি। অফিসিয়াল দিন হওয়ার কারণে ফাঁকা পাওয়া যাবে। আমরা চারটার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। যেতে যেতে পৌনে পাঁচটার মত বেজে গিয়েছিল। রাস্তায় হালকা জ্যাম ছিল। যাওয়ার পর শুরুতে ঢুকতেই খুব ভালো লাগলো। এত গাছ গাছালির মাঝে ঘুরতে আসলেই খুব ভালো লাগে। মেলাতে গেলে বিভিন্ন ধরনের চেনা অচেনা গাছ দেখা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছও দেখা যায়। বেশিরভাগ ফল গুলো ছোট ছোট গাছে ধরে থাকে। এজন্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। আমার অবশ্য ইনডোরের গাছ কেনার বেশি শখ ছিল। আর আমার হাজবেন্ডের ফুলের গাছ। আমরা একটি ইনডোরের গাছ, দুটি গোলাপ গাছ এবং একটি গন্ধরাজ গাছ কিনেছিলাম। আরো একদিন যাওয়ার ইচ্ছা আছে। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে সম্পূর্ণ মেলা ঘুরে দেখা হয়নি। আজকে আপনাদের সঙ্গে মেলার কিছু অংশ শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
গাড়ি থেকে নামার পরেই মেইন গেট চোখে পরল। গেটের দুই পাশে প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর দুটি বড় বড় ছবি লাগানো ছিল। তারপর ঢোকার পরে ভিতরে কিছু আর্টিফিশিয়াল গাছের মতো তৈরি করে রাখা ছিল।
এই বৃক্ষ মেলা বন ও অধিদপ্তর থেকে আয়োজন করা হয়েছে। তাদের একটি বড় ব্যানার ও ছিল। তাছাড়া গাছ গাছালির মাঝে কিছু আর্টিফিশিয়াল পশু পাখির তৈরি করা ছিল। অনেকে সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল এবং বাচ্চাদেরকে দেখাচ্ছিল।
উপরে কিছু ফুলের গাছ এবং ঝাও গাছ ছবি রয়েছে। শুরুতেই ঢুকতে এই নার্সারিটি চোখে পরলো। তাছাড়া এরকম কিছু পানির ফোয়ারা তৈরি করা আছে। খুব একটা ভালো লাগেনি আমার কাছে পানির ফোয়ারাগুলো।
কিছুদূর যাওয়ার পর একটি গাছে এরকম কিছু বাবুই পাখির বাসার মতো দেখলাম। আমি প্রথমে একটু অবাক হয়েছি। পাখি এখানে বাসা তৈরি করেছে? পরে দেখলাম যে না এখানে দোকানদার এগুলো ঝুলিয়ে রেখেছে। এই বাসাগুলো বিক্রি করা হচ্ছে গাছ লাগানোর জন্য।
একটি গাছ দিয়ে এরকম নৌকার ডিজাইন তৈরি করা। বেশ সুন্দর লাগছিল নৌকাটি দেখতে। আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে বিভিন্ন ফুল,ফল এবং বনসাই গাছের ছবি শেয়ার করবো। সময় নিয়ে পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন জাতীয় বৃক্ষ মেলায় ঘোরাঘুরির এর কিছু দৃশ্য এবং বর্ণনা। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পোস্টি তৈরি করে এবং গুছিয়ে লিখে আমাদের মাঝে আজকে শেয়ার করেছেন আপু। আসলে আপু বাবুই পাখির বাসা গুলো দেখে আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টটি এবং বাবুর পাখির বাসা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হাজবেন্ড শরীর খারাপ অবস্থায় ছুটি নিয়েছিল এবং সেই দিনটিও আপনি আপনার হাসবেন্ডকে শান্তি দেননি হা হা, মজা করলাম আপু। যাই হোক, অসাধারণ একটি মুহূর্ত আপনারা অতিবাহিত করেছেন। আমিও কখনো ঢাকায় বৃক্ষ মেলায় যাইনি তবে আপনাদের পোস্ট দেখে যেতে ইচ্ছা করছে. আপনার জন্য শুভকামনা রইল...
শারীরিক থেকে মানসিক অসুস্থ ছিল বেশি। এজন্যই বাইরে নিয়ে গিয়েছিলাম ঘুরতে। এত সুন্দর জায়গায় গিয়ে আসলেই ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বৃক্ষ মেলায় গিয়ে দেখছি খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন আপনারা। যেহেতু অফিশিয়াল দিন ছিল তাই তেমন ভিড় ছিল না দেখেই বুঝতে পারছি। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে মেলাটির কিছু অংশ দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তবে সেখানে থাকা পাখির বাসা গুলো দেখতে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে। আপনাদের আরো একদিন যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো। আর আপনারা কয়টা গাছ কিনেছিলেন এটা জেনে আরো বেশি ভালো লেগেছে।
অফিসিয়াল দিন হওয়াতে খুব ভালোভাবে ঘুরতে পেরেছি। তেমন একটা ভিড় চোখে পরেনি। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
যদিও এখন পর্যন্ত ঢাকায় বৃক্ষ মেলায় যাওয়া হয়নি তবে অনেকের পোষ্টের মাধ্যমে বৃক্ষ মেলা দেখেছি। যদিও এটা আপনার দেখা প্রথম বৃক্ষ মেলা ছিল ঢাকার বুকে সেখানে গিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বৃক্ষ মেলায় গেলে নতুন নতুন গাছের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায় সেইসঙ্গে গাছের প্রতি ভালবাসাও জন্মে। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আমারও আরো একবার যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু শেষ হয়ে গিয়েছে। সময়ের অভাবে যেতে পারলাম না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।