মুরগির রোস্টের রেসিপি।
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে ছোট বড় সকলের পছন্দের একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। সেটি হল মুরগির রোস্ট। মুরগির রোস্ট পছন্দ করে না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ করে বাচ্চারাতো খুবই পছন্দ করে। আমার বাসায় পোলাও রান্না হলে রোস্ট রান্না করতেই হবে। তা না হলে আমার বড় ছেলের একদমই চলে না। তাছাড়া প্রায় প্রতি শুক্রবারে তাকে পোলাও এবং রোস্ট রান্না করে দিতে হয়। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ার কারণে এই বায়না থাকে। বাচ্চা এত পছন্দ করে খায় যে দেখে মন ভরে যায়। মুরগির রোস্ট রান্না করা আমার কাছে একটু ঝামেলা লাগে। তারপরও কি আর করার বাচ্চাদের মন তো রক্ষা করতে হয়। তাছাড়া এই মুরগির রোস্ট রান্না করতে অনেক উপকরণেরও দরকার হয়। তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করি। আমি আজকে মুরগির রোস্ট কিভাবে রান্না করেছি তা আপনাদের সঙ্গে ধাপে ধাপে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে।
পিয়াজ-- ৬ টি
কাঁচামরিচ --১০টি
পেঁয়াজ বাটা --৪ টেবিল চামচ
আদা বাটা --২টেবিল চামচ
রসুন বাটা --২টেবিল চামচ
রোস্টের মসলা --৩চা চামচ
মরিচের গুঁড়া --১চা চামচ
চিনি --৩চা চামচ
লবণ-- পরিমাণ মতো
তেল-- পরিমাণ মতো
টক দই-- পরিমাণ মতো
দুধ --পরিমাণ মতো
বাদাম বাটা-- ২ টেবিল চামচ
আলু বোখারা--৫টি
প্রথমে মুরগির মাংসগুলোকে ভালোমতো ধুয়ে লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ মাখিয়ে রেখেছি। তারপর চুলায় একটি ফ্রাইপেন বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। মুরগির মাংসগুলো দুই পাশ ভালো মতো লাল করে ভেঁজে নিয়েছি।
মুরগির মাংস গুলো ভালোমতো ভাজা হলে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি।
এখন ওই তেলের মধ্যে পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচিগুলো দিয়ে লাল করে ভেঁজে নিয়েছি। তারপর তার মধ্যে প্রথমে বাটা মশলাগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে গুড়া মশলা গুলো দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।
মশলাগুলো ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে এখন ভেঁজে রাখা মাংসগুলো এর মধ্যে দিয়েছি। আগে থেকে টক দই চিনি দিয়ে ফেটিয়ে রেখেছিলাম। সেই টক দই এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। তারপর মাংসগুলো মসলার সঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে দিয়েছি। এরপর মাংসগুলো বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব। ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে দুধ এবং পানি দিয়ে দিয়েছি মাংসগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
মাংসগুলোর ঝোল ঘন হয়ে আসলে এ পর্যায়ে আমি বাদাম বাটা এবং আলু বোখরা দিয়ে আবারো কিছুক্ষণ রান্না করব।
এখন এক টেবিল চামচ ঘি দিয়ে দিয়েছি।
ঘি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এ পর্যায়ে আমার রান্না শেষ হয়ে গিয়েছে আমি চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
মুরগির রোস্ট আমার খুবই প্রিয়। আপনার রোস্টের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রোস্ট রেসিপি তৈরি করলেন। ধাপগুলো দেখে শিখতে পারলাম।পরবর্তীতে তৈরি করবেন ইনশাল্লাহ।
মুরগির রোস্ট শুধু আপনার একার নয় আমার মনে হয় সকলেরই প্রিয় রেসিপি। আর এই রেসিপি দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মাশাআল্লাহ আপু অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার প্রিয় একটি রেসিপি। রোস্ট হলে আমার অন্য কোন তরকারী লাগে না।আপনার রোস্ট এর ফটোগ্রাফি সুন্দর ভাবে তুলেছেন এবং ধাপগুলো অনেক সুন্দর ছিল। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।
আপনার প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছি জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার তৈরি মুরগির রোস্টের রেসিপি দেখে তো আমার ভীষণ লোভ লেগে গেলো। খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
মুরগির রোস্ট এমন একটি রেসিপি যা দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। আপনার আর কি দোষ। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
মুরগির রোস্ট এর নাম শুনলেই খেতে ইচ্ছা করো। আপু আপনি রেসিপি টি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।রোস্টের কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে ও সুস্বাদু হয়েছে।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু মুরগির রোস্টের নাম শুনলে বা দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সকাল সকাল লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু।
দেখে খুব লোভ লেগেছে মন চাইছে পোলাও ভাতের সাথে একটু টেষ্ট করে দেখি। বাটিতে পরিবেশ দেখে জিহ্বায় জল চলে আসছে 😋
এমন লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে আর কি বলবো পোস্ট করার সময় আমারই তো খেতে ইচ্ছা করছিল। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সকলের পছন্দের একটি রেসিপি হল এই মুরগির রোস্ট । আর আপনি যেভাবে রান্না করে দেখিয়েছেন দেখি লোভ লেগে গেল আপু । পোলাও দিয়ে মুরগির রোস্ট খেতে দারুণ হবে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করে দেওয়ার জন্য ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মুরগির রোস্ট সকলেই পছন্দ করে। আর দেখলেও খেতে ইচ্ছা করে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো।মুরগির রোস্টে দেখে আমার খুব মন চাইতেছে। রেসিপির কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বী আপু মুরগির রোস্ট আসলেই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি কথা বলতে মুরগির রোস্ট দেখলে আমি ঠিক থাকতে পারি না। আজকে আপনার মুরগির রোস্ট এর রেসিপি দেখে আমার মুখে জল চলে এসেছে। খেতে খুব ইচ্ছা করছে। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর ভাবে মুরগির রোস্ট এর রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপনার দোষ দিয়ে আর কি লাভ। মুরগির রোস্ট এমন একটি খাবার যেটি দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। যাই হোক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কি জিনিস দেখালেন আপু!!! এখন তো সজীব ভাইকে নিয়ে আপনার বাড়িতে হানা দিতে হবে। দেখেন আবার পালিয়ে যাবেন না যেন। একা একা খেয়ে পেটে অসুবিধা হলে আমাদের দোষ দিবেন না কিন্তু😋
সজীব ভাইয়া এখনো দেখেনি। দেখলে হয়তো রওনা দিয়ে দিত। এখন তো সাথে আবার আপনিও যোগ হয়েছেন। কি যে করি।
ভাই আমার কষ্টটা আপনি বুঝলেও আপু এখনো বুঝলো না 😭😭😭। দিনশেষে ছবি দেখেই পেট ভরাই। ভাইকে একা ফেলে কি করে যে মানুষ খাবার হজম করে এটাই বুঝি না 😢