ছেলের জন্মদিনের আনন্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গতকাল বড় ছেলের জন্মদিন ছিল। এর আগেই বলেছি আমরা জন্মদিন পালন করি না। আসলে জন্মদিন পালন করা আমাদের জন্য ঠিক না। তারপরও এখনকার দিনে কম বেশি সবাই জন্মদিন পালন করে। ছোট বাচ্চারা সেগুলো দেখলে নিজের জন্মদিন পালন করার জন্য বায়না ধরে। এজন্য বাচ্চাদের জন্মদিন আসলে আমি ওদের জন্য ওদের পছন্দের খাবার রান্না করি অথবা বাইরে গিয়ে ওদের পছন্দের খাবার খাইয়ে নিয়ে আসি। তাছাড়া কিছু গিফট কিনে দেই তাতেই খুশি থাকে। এবার গিফ্ট কেনা হয়নি। সে সাইকেল কিনবে তার বাবাকে বলে রেখেছে। আগের সাইকেলটা ছোট হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া অনেকদিন পরে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন সাইকেল লাগবে। সাইকেল কিনলে আবার দুইটা এক সাথে কিনতে হবে। তা না হলে ছোটজন মানবে না।
যাই হোক কিছুদিন আগে আমার জন্মদিন ছিল সেজন্য বড় ছেলে বাবার সঙ্গে মিলে সারপ্রাইজ দিয়েছিল। আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। সেজন্য সে কিছুটা আশায় ছিল এবার তার জন্মদিনেও আমি তাকে কোন সারপ্রাইজ দিব। তাই আগের দিন বারবার আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল তার জন্মদিনের কথা। ফরিদপুরে এসেছি বাবার বাসায়। সেজন্য আর ছেলেকে তেমন সারপ্রাইজ দেওয়ার সুযোগ হলো না। কিন্তু তার নানু এবং মামা মিলে তাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে। তার নানু তার পছন্দের খাবার রান্না করেছে। আমার বড় ছেলে পোলাও, রোস্ট চিংড়ি মাছ এগুলো খেতে পছন্দ করে। তার নানু তার জন্য এগুলো সব কিছু রান্না করেছে। তাছাড়া তার খালামনি এসেছিল।খালাতো বোন মিলে সারাদিন খুব মজা করেছে। তারপরও ছেলের মনে মনে কেক কাটার একটা ইচ্ছা ছিলো। তা আমি ওকে দেখেই বুঝতে পারছিলাম।
ওর মামা বিকালে ওকে না বলে একটা কেক নিয়ে এসেছে। কেক দেখে খুব খুশি হয়েছে। ওর পছন্দের চকলেট কেক। সবাই মিলে কেক কেটেছে। কেকটা বেশ মজা ছিলো। কিন্তু জন্মদিনে এই কেক কাটার অভ্যাস আমি করতে চাই না। তাহলে প্রতি বছর কাটতে চাইবে।
যাক এই বছর তো তার নানু, খালামনি ও মামা তার জন্মদিন বেশ আনন্দের করে দিয়েছে। তাছাড়া গিফ্ট কেনার জন্য টাকাও পেয়েছে তাদের কাছ থেকে। ঢাকা গিয়ে কি গিফ্ট কিনবে সেই চিন্তা করছে এখন। সবাই দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য। যেনো ভালো মানুষ হতে পারে।
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
প্রথমেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। একটা কথা ভালো লাগলো আসলে জন্মদিন পালন করতে হয় না। এটা ঠিক না এবং যেদিনে জন্মগ্রহণ করছে সেই দিনে দোয়া করতে হয়। পরিবারের সবাই দেখছি অনেক সৌখিন এবং সকলে অনেক ভালবাসে আপনার ছেলেকে। আপনিও খুব বা আমার পছন্দের একজন আপু।সে যা পছন্দ করে তার জন্য তার নানু কত কি রান্না করেছে? কি ভালো লাগছে দেখে । গিফট পেয়েছে তারা নানু,খালামণি ও মামার কাছ থেকে বাহ। অনেক ভালো লাগলো। অনেক দোয়া রইলো। আপনার ছেলের জন্য। সে যেন মানুষের মত মানুষ হতে পারে
জ্বী ভাইয়া আমার ছেলের পছন্দের সব খাবার তার নানু রান্না করেছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দেরি করে হলেও আপনার ছেলেকে তার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আসলে বাচ্চাদের একটা ইচ্ছা সব সময় থাকে, জন্মদিনে কেক কাটবে সে। তেমনটা ইচ্ছা আপনার ছেলেরও ছিল। কেকটা দেখেই বুঝতে পারছি অনেক বেশি মজাদার। জন্মদিনের গিফট কেনার জন্য সে অনেক টাকা পেয়েছিল এবং সেগুলো দিয়ে কি গিফট কিনবে এটা ভাবছে তাহলে। আপনার ছেলের জন্য দোয়া করি যেন সে অনেক বড় হয় এবং মানুষের মত মানুষ হতে পারে।
ছোট মানুষ সবার কেক কাটা দেখে জন্য নিজের জন্মদিনেয় কেক কাটার ইচ্ছা পোষণ করেছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
তাহলে তো ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে খুব সুন্দর একটি দিন কাটালেন। বিশেষ করে কেকের কালারটি খুবই সুন্দর হয়েছে। ডেকোরেশনটাও অসাধারণ ছিল আপু। বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। বেশ মজার মজার খাবার খেলেন তাহলে। অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করলেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
কেকের ডেকোরেশনটা খুব সুন্দর ছিল। তাছাড়া বাচ্চাদের পছন্দের চকলেট কেক। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ছেলের জন্মদিনের শুভেচ্ছা আপু। অবশ্যই ছেলের কাছে এই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে দিবেন। আপনার বড় ছেলের মজা করেছিল এবং ভালো সময় কাটিয়েছিল এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। ওর খালামণিরা এবং মামা সবাই একসাথে অনেক আনন্দ করেছিল নিশ্চয়ই। আর ও কেক কাটতে পেরে নিশ্চয়ই অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। আমাদেরকে দাওয়াত দিলে তাহলে আমরাও যেয়ে খেয়ে আসতাম। যাইহোক ভালো লাগলো পুরোটা।
জি ভাইয়া আপনার শুভেচ্ছা আমার ছেলের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। সব সময় এভাবেই পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনার ছেলের জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।এরপর আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক অনেক দোয়া করছি যেন বড় হয় মানুষের মত মানুষ হয় । বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করে এবং সমাজে একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।আপু আপনার ছেলের জন্মদিনে ওর নানা নানু খালা মামা সবাই মিলে বেশ আনন্দ করেছে ।ওকে ভালো গিফট দিয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি পড়ে ভালোই লাগলো ।আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা রইল।
গিফট দেয়নি আপু। টাকা দিয়েছে। আমার ছেলে তার পছন্দমত গিফট কিনে নিবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
প্রথমেই আপনার ছেলেকে জন্মদিনের লেট শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু। আসলেই আমাদের ইসলাম ধর্মে জন্মদিন পালন করা উচিত নয়। আপনার চিন্তা ধারা আসলেই চমৎকার। তবে বাচ্চাদের শখের উপর ভিত্তি করে, হালকা পাতলা কিছু করতে হয় অনেক সময়। যাইহোক আপনার ছেলের মনমানসিকতা যেন আপনার মতোই সুন্দর হয় এবং বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হয়, সেই কামনা করছি। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য। দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য।