শুক্রবারের ঘুরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
- আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
- শুক্রবারের দিন আর বাইরে বের হব না তা কি করে হয়। কারণ শুক্র-শনিবার আসলেই তো আমাদের ঈদের দিন মনে হয়। কারণ বাচ্চা এবং হাজবেন্ড দুইজনেরই স্কুল অফিস বন্ধ থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠার জলদি থাকে না। সব মিলিয়ে আনন্দেই কাটে এই দুইদিন।রবিবার শুরু হলে আবার প্রতিদিনকার রুটিন অনুযায়ী চলতে হয়।
শুক্রবার সারাদিন বাসায় বসে থাকার পর আর ভালো লাগছিলো না।ছুটির একটা দিন এভাবে চলে যাচ্ছে। আর বাসা থেকে বাইরে ঘুরতে বের হওয়া হলো না। সকালবেলায় বাচ্চারা চুল কাটতে গিয়েছিল। আর আমি গিয়েছিলাম কিছু টেস্ট করার জন্য। এজন্য দিনের বেলায় আর ঘুরতে বের হয়নি। তাই ভাবলাম যে দিন তো শেষ হয়ে যাচ্ছে বাইরে না গেলে কিভাবে হবে। সেজন্য সন্ধ্যার পরেই বেরিয়ে পরলাম। রাতে তো আর ঘুরাঘুরি করা সম্ভব নয়। তাই বাইরে একটু হাঁটাহাঁটি করতে চলে গেলাম। বাইরে বের হয়েছি আর রেস্টুরেন্টে না খেয়ে কি বাসায় যাওয়া যাবে? আমার ছেলে কি তা মানবে। বাইরে বের হলেই তার কোন কোন রেস্টুরেন্টে খেতে হবেই। এই রেস্টুরেন্টটি আমাদের বাসার পাশেই সেজন্য এখানেই বেশী যাওয়া হয়।
এটি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভিতরে ফুড হল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টে আমরা ঢোকার পরে নিচতলায় এত ভিড় ছিল যে বসার জায়গা পাইনি। সেজন্য আমরা চলে গেলাম দোতালায়। এখানের কিছু ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।
দোতলায় এরকমভাবে চেয়ার টেবিল সাজিয়ে রাখা। চারজন বসার জন্য, আটজন বসার জন্য বা তারও বেশি লোক বসার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
এটি দোতালায় ওঠার সিঁড়ি।
দোতলার সিঁড়ি দিয়ে ওঠার পর আপনি এখানে একটি সুন্দর জায়গা পাবেন। ছবি তোলার জন্য। এখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে মনে হয় যে আপনার দুটি পাখা আছে। খুব চমৎকার আসে ছবিগুলো।
কিছুক্ষণ পর নীচে ফাঁকা হলে আমরা নীচে নেমে আসি।নিচের ছবি এর আগেও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। তাই আজকে আর করলাম না।
নিচে আসার পর মেনু নিয়ে আমরা খাবার অর্ডার করলাম। এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় এবং খাবারগুলো খুবই মজাদার। আমরা এখানে 17 নম্বরে একটি এবং 13 নম্বরের দুটি খাবার অর্ডার করেছি।
খাবার আসতে আসতে আমি বাইরের ছবি তুললাম।
এখন আমাদের খাবার চলে এসেছে। খাবারগুলো দেখেই বুঝতে পারছেন যে কতটা সুস্বাদু।
তারপর আমরা খাওয়া-দাওয়া করে হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চলে আসলাম ।এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আপনারা বসুন্ধরা আবাসিক এ আসলে অবশ্যই এই রেস্টুরেন্টে একবার খেয়ে দেখবেন। রেস্টুরেন্টের পরিবেশ খুব ভালো। আপনাদের ভালো লাগবে। আর খাবারের কথা নাই বা বললাম। আপনারা নিশ্চয়ই ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন। ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন আমার সাথে থাকার জন্য।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। ঘুরলেই মন ভালো হয়ে যায়। আপু আপনি শুক্রবারের ঘুরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া ঘুরতে সবারই ভালো লাগে। আর ঘুরে বেড়ালে মনও ভালো থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটিতে সময় দেওয়ার জন্য এবং মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শুক্রবারে সবাই একটু স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে ।যেটা সবার জন্য ছুটির দিন। শুক্রবার এ আপনি ঘুরাঘুরি করার সাথে সাথে খাওয়া-দাওয়া ও অসাধারন ছিল। আমাদের সাথে এত সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার শুক্রবারের ঘোরাঘুরি এর মুহূর্তটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আসলে শুক্রবারে সবাই চায় একটু ঘোরাফেরা করতে। ছুটির দিন বলে কথা।
যাক একেবারে রাত্রে হলেও শুক্রবারে রুটিন ঘোরাঘুরির কাজটা সেরে ফেলেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। শুধু ছেলের কথা বললেন ছেলের বাবাকে কি বাসায় রেখে গিয়েছেন এটা কিন্তু ঠিক হলনা। ফুড হল রেস্টুরেন্টের পরিবেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলেই সিড়ির জায়গাটা অনেক সুন্দর। খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে খাবারের মান অনেক ভালো। আপনার ভালোলাগার মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাচ্চার বাবা কে রেখে গেলে কি হয়। রেস্টুরেন্ট এর বিল কে দিবে? আসলেই ভাইয়া খাবার গুলো অনেক মজাদার। আমরা মাঝে মধ্যেই চলে যাই এখানে খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়ের নম্বরটা দেন তো।
শুধু বিল দেওয়ার জন্য ভাইকে দরকার !!
আপু আপনি বাচ্চাদেরকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় পার করেছেন খুব ভালো লাগলো দেখে। আসলেই যারা চাকরি করে তাদের জন্য শুক্রবার দিনটা অনেক ভাল হয় শুক্রবার আসলেই বাইরে যাওয়ার একটা ধুম পড়ে যায় মনে হয় ।রেস্টুরেন্টটি মনে হচ্ছে অনেক ভালোই আপনাদের ওদিকে কখনো গেলে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যেয়েন আমাদেরকে।
আমাদের তো প্রায় প্রতি শুক্রবারেই কোথাও না কোথাও যাওয়া হয়।
যাইহোক আপু আপনি আসেন এদিকে অবশ্যই রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাব।
অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন আপু, খাওয়া গুলোও অনেক ভালো ছিলো। রেস্টুরেন্ট টি ও অনেক চমৎকার ছিলো।
আসলেই আপু অনেক ভালো একটি সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রেস্টুরেন্টটি দেখতে যেমন সুন্দর খাবার গুলোও মনা হয় বেশ লোভনীয়। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে ।খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে আপনার সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আপনি ঢাকায় আসেন আপনাকে এই রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়াবো । আসলেই খাবারগুলো খুবই মজাদার ছিল।
শুক্রবার মানেই বন্ধ এবং একরাশ ঘুরাঘুরির দিন। আপনি আজকে খুব মজা করেছেন এবং ভালোমন্দ খাওয়া দাওয়া করেছেন। আমার দেখে সত্যিই খুব ভাল লাগল। আমিও মাঝে মাঝে এরকম খাওয়া-দাওয়া করি ।আপনার উপস্থাপন রিপোর্ট সুন্দর ছিল
আমাদের শুধু শুক্রবার না শনিবারও ঘোরাঘুরির দিন।শুক্রবার, শনিবার তো বাসায় থাকাই হয়না। প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারিনা বাসায় না থাকার কারণে। আগে ঘুরাঘুরি তারপরে কাজ।
আমি প্রথমে ভাবছিলাম এটা ধানমন্ডির রেস্টুরেন্ট। আপনার পোস্ট পড়লাম খুব সুন্দর ভাবে সব কিছুর বর্ণনা দিয়েছেন। আর আমি রেস্টুরেন্টে খেতে অনেক পছন্দ করি। আর সত্যি বলতে আমি মনে করি একটা রেস্টুরেন্টকে জনপ্রয় করতে হলে ওর ডেকারেশন ভালো রাখ হবে। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
না ভাইয়া ধানমন্ডি তে তেমন একটা যাওয়া হয় না । বসুন্ধরা আবাসিক এর মধ্যে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া ডেকোরেশনের কারণেই রেস্টুরেন্টে মানুষ আরও বেশি যায়।
রেস্টুরেন্টে খুব অসাধারণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। ঘুরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে খুবই দুর্দান্ত মুহূর্ত পার করেছেন। আসলে শুক্রবার দিনটা খুবই স্পেশাল মনে হয়। এতো সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমারতো শুক্র-শনি ২ দিনই স্পেশাল। কারণ দুই দিনই ছুটির দিন। আর ছুটির দিন হল আমাদের ঘুরাঘুরির দিন।