অনেক দিন পর বাবার বাড়িতে যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অনেকদিন পর আবারো যাচ্ছি বাবার বাড়িতে। এবার বাবার বাড়িতে যাওয়ার সময় অন্যরকম একটা আনন্দ লাগছিল । কারণ পদ্মা সেতু দিয়ে প্রথম যাব। এ পর্যন্ত পদ্মা সেতু দেখা হয়নি। তাই ভাবলাম যে ফরিদপুর যাওয়ার সময় পদ্মা সেতু দেখতে পাব। তার জন্য মনটা খুশি খুশি লাগছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় পদ্মা সেতু পর্যন্ত আসতে আসতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কারণ আমার বমির সমস্যা আছে। সে জন্য বমির ওষুধ খেয়েছিলাম। বমির ওষুধ খেলে প্রচন্ড রকম ঘুম পায়। অবশ্য যখন পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে এসেছি তখনই ঘুম ভেঙে গিয়েছে। নদী পার হওয়ার পর পরই আবার কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি বুঝতে পারিনি। তাই পরের সৌন্দর্যটা তেমন দেখতে পারিনি। আজকে ফরিদপুরে আসার পথে রাস্তায় বিভিন্ন জায়গার ছবি তুলেছি । সেই ছবিগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এইবার ফরিদপুর আসার সময় নতুন জায়গা থেকে বাসে উঠেছি। সেটি হল গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া থেকে। এবারের জার্নি একেবারে অন্যরকম হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে আগে কখনো আসিনি। সব সময় গাবতলী দিয়ে যাই। তাই এইবার রাস্তাঘাট একেবারে অপরিচিত লাগছিল।
যখনই ফরিদপুরে আসি তখনই আমি আর তৌহিদা আপু একসঙ্গে আসি। আমি সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে ওর বাসায় সামনে চলে গিয়েছিলাম। যেহেতু আজকে অফিস টাইম, আমার হাজবেন্ডের অফিস ছিল। সেজন্য ও আর আমাদের বাসে উঠিয়ে দিতে পারেনি।আমরা একটা উবার নিয়ে তৌহিদা আপুর বাসায় চলে যাই। আপুর বাসায় থেকে আবার আরেকটি উবার নিয়ে আমরা বাসস্ট্যান্ডে চলে যাই । বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার এক ঘন্টা পর বাসের টিকিট পাই।
এই ছবিটি পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তোলা। ঠিক এইখানে এসে আমার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল। তার জন্য পদ্মা সেতু দেখতে পেরেছি।
আমরা ধীরে ধীরে এখন পদ্মা সেতুতে উঠছি। এই ছবিগুলো পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে থেকে পদ্মা সেতু পার হওয়া পর্যন্ত।
এইবার বাস ছাড়া পর মাত্র দুই ঘন্টা ১০ মিনিটে আমরা ফরিদপুর পৌঁছে গিয়েছি। প্রতিবার গাবতলী দিয়ে আসলে মিনিমাম ৪ ঘন্টা লাগে। আর ফেরিতে জ্যামে পড়লে তো কথাই নেই। খুবই ভালো লেগেছে এত অল্প সময়ে আসতে পেরে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্ট দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ । সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
এই ছিল তাহলে রাত বারোটার আকর্ষণ। বেশ বেশ 🙌। প্রথম বারেই বুঝে ফেলেছিলাম বাবার বাড়ি না হয় শ্বশুর বাড়ি। তবে পালিয়ে আর যাবেন কতদূর। একদিন ঠিক ধরে ফেলব। যাই হোক পদ্মা সেতু দিয়ে যাওয়া আসা করেছি মোট চার বার। আমার তো বার বার মনে হত যমুনা সেতু দিয়ে যাচ্ছি 😅। কপাল ভালো যে জাগা পেয়েছিলেন তা না হলে আবার ফেরার পথে দেখতে হতো সেতু। বাবার বাড়ি ভালো সময় কাটুক। এমনটাই দোয়া করি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া জাগা না পেলে তো দেখতেই পারতাম না। যাই হোক ফেরত যাওয়ার সময় ভালোমতো দেখব
ইন শা আল্লাহ।
এই প্রথম দেখেছি আপু ফরিদপুরের দৃশ্য। বেশ সুন্দর ছিল আপনার ফটোগ্রাফিগুলো। আর বাবার বাড়ি যাওয়ার মজা/অনুভূতি আলাদা আপু!আপনি বাবার বাড়িতে ভাল সময় কাটান দোয়া করি।
আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি ফরিদপুরের দৃশ্য দেখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়ে খুব ভাল লেগেছে। আপনি অনেকদিন পর বাবার বাড়ি যাচ্ছেন তা আবার প্রথম পদ্মা সেতু দিয়ে মনে হচ্ছে অনেক আনন্দ নিয়ে ভ্রমন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু মুহুর্ত ফ্রেমবন্দী করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাবার বাড়িতে যাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক আনন্দ নিয়ে এসেছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঘুমিয়ে গেলেও আমাদের জন্য বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করতে পেরেছেন, বেশ চমৎকার একটি দিন ছিল আশা করি কিছু ভালো স্মৃতি উপহার পেয়েছেন।
সময় মত ঘুম ভেঙেছিল জন্যই ফটোগ্রাফি গুলো করতে পেরেছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
নিজেদের টাকায় তৈরি সেতু।আপনার কথা শুনেই বুঝতে পেরেছি কতটা এক্সাইটেড ছিলেন আপনি।
আমার ওদিকে কখনো যাওয়া হয়নি,তবে খুব তাড়াতাড়ি যাওয়ার প্ল্যান আছে।ফটোগ্রাফিগুলা সেই ছিল।শুভ কামনা রইলো 🧡🖤
অবশ্যই প্লান করে এক সমান চলে আসবেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার পর স্বামী ঘরে চলে যায় ৷এটাই নিয়তীর নিয়ম ৷আর যখন অনেক দিন মেয়েটা তার বাবার বাড়ি অর্থাৎ তার জন্মস্থান জায়গায় যায় ৷তখন কি আনন্দ লাগে তা আসলে একটি মেয়ে মানুষ ই বলতে পারবে৷যাই হোক আপু আপনি বাসে করে বেশ চমৎকার ছবি তুলেছেন ৷আর আপনি পদ্মা সেতু পার হয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো ৷আমিও যাব একবার পদ্মা সেতু দেখতে
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য এবং গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
Hi, @tania69,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP