ডাক্তারের চেম্বারময় জীবন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে শরীরটা একদমই ভালো যাচ্ছে না। হুট হাট শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া যখন শরীর দুর্বল হয় তখন প্রেসার একদম কমে যায়। এত খাওয়া-দাওয়া করছি তারপরও কাজ হচ্ছে না। এই সমস্যাটা আমার অনেক আগে থেকে। বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ধরনের ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তারের কাছে গেলে দেখা যায় বেশ কিছু ভিটামিন দিয়ে দেয় আর অসংখ্য টেস্ট। টেস্ট করার পর কোন কিছু ধরতে পারে না। ভিটামিন গুলো খেলে কিছুদিন ভালো থাকি তারপরও আবার যা তাই। এতদিন মেডিসিন আর গাইনী ডাক্তার দেখিয়েছি। সেদিন এক গাইনী ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম সে বলল যে কার্ডিওলজিস্ট দেখাতে। আমার বাসার কাছে যেহেতু এভার কেয়ার হসপিটাল তাই এখানে গিয়েছিলাম ডাক্তার দেখাতে। বড় বড় হসপিটাল গুলোতে ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়া আর সোনার হরিণ হাতে পাওয়া একই রকম। এখানে এক দুই মাস আগে থেকেই ডাক্তারের সিরিয়াল দিয়ে রাখতে হয়। আপনাকে দৈব দৃষ্টিতে জানতে হবে যে আপনি কবে অসুস্থ হচ্ছেন। তার দুই মাস আগে সিরিয়াল নিয়ে রাখতে হবে। কি আজব তাই না? এই সিরিয়াল গুলোর পাশাপাশি এরা রেগুলার কিছু সিরিয়াল নেয়। কিন্তু তার জন্য আপনাকে সকাল আটটায় গিয়ে বসে থাকতে হবে। আমার হাসবেন্ড সকাল আটটায় গিয়ে সিরিয়াল দিয়ে এসেছিলো। কিন্তু তখন কোন লোক ছিল না জন্য টাইম জানাতে পারেনি। নয় টায় ডাক্তার বসবে। আমি দশটার দিকে গিয়েছিলাম যেহেতু আমার সিরিয়াল একটু পিছনে ছিলো। গিয়ে দেখি যে আমার সিরিয়াল পার হয়ে গিয়েছে। তাদেরকে বলার পর তারা আমাকে দুপুর তিনটায় আসতে বলল। তিনটার সময় গিয়ে শুরু হল অপেক্ষার পালা।
ডাক্তার তিনটায় বসার কথা আসলো সাড়ে তিনটায়। তারপর এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর সাড়ে চারটার দিকে আমাদের কে ডাকা হলো। ডাক্তারকে সবকিছু বলার পর আমাকে বেশি করে পানি এবং ব্যায়াম করতে বললো, আর বেশ কিছু টেস্ট লিখে দিলো।
টেস্টগুলো করানোর জন্য আবার নিচে আসলাম। নিচে প্রচুর ভিড় থাকে রিসিপশনে। রিসিপশনে গিয়ে টেস্টের বিষয়ে আলাপ করাতে জানতে পারলাম যে ডাক্তার ৪০ হাজার টাকার টেস্ট দিয়েছে। শুনে কিছুটা অবাক হলাম। এত টাকার টেস্ট করানোর কোন ইচ্ছাই আমার ছিল না। কিন্তু আমার হাসবেন্ড কিছুতেই মানবে না সে টেস্ট করাতেই দিবে। তারপর মনে হল যে টেস্ট যেহেতু করাবো তাহলে হসপিটালে ভর্তি হয়ে টেস্ট করাই। একদিন থাকলে ইন্সুরেন্স কাভারেজ পাওয়া যাবে। সেজন্য আমার হাসবেন্ডকে আবার ডাক্তারের কাছে পাঠালাম যেন উনি ভর্তি লিখে দেন। ডাক্তার শোনার সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি লিখে দিলো। আগামী বুধবার বিকালে ভর্তি হয়ে টেস্টগুলো করাবো ঐদিন রাতে থেকে।
রিপোর্ট কি আসবে জানি না। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
সুস্থতা উপর ওয়ালার কত বড় নেয়ামত তা অসুস্থ হলে ঝোঝা যায়। হাসপাতালে ডাক্তারের সিরিয়াল পেতে গেলে যদি এতো লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় তাহলে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক এতো কিছুর পরেও যে সিরিয়াল পেয়েছেন এটাই বড় ব্যাপার। এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে টেস্টগুলো করান, ইনশাআল্লাহ উপর ওয়ালা মাফ করবেন। দোয়া রইল।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য সিটই পাইনি। দুইদিন ঘুরে পরে রাগ হয়ে বাইরে থেকেই টেস্টগুলো করিয়ে নিলাম। এখনো রিপোর্ট দেয়নি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু কি এমন হলো যে এতো টেস্ট।আজকাল অবশ্য ডাক্তাররা টেস্ট একটু বেশীই দেয়।একদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে টেস্টগুলো করে নিশ্চিন্ত হোন।আল্লাহ ভরসা, তেমন কিছুই হয়নি দেখবেন।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ডাক্তারের কাছে যাওয়া মানেই তো একগাদা টেস্ট ধরিয়ে দেওয়া। তেমন কিছু না শরীর খুব দুর্বল লাগে, মাথা ঘুরে। সেজন্যই গিয়েছিলাম। দোয়া করবেন আপু।
আসলে অসুস্থ থাকলে বুঝে যায় সুস্থতা কত বড় সৃষ্টিকর্তার নেয়ামত। অসুস্থ জেনে খুব খারাপ লাগলো আসলে ডাক্তারের কাছে গেলে ভোগান্তি শেষ নেই সিরিয়ার পেতে অনেক সময় লেগে যায়। তার উপরে অনেক গুলো টেস্ট করাতে করাতে রোগীর অবস্থা শেষ। টেস্টগুলো করিয়ে নিবে ভালো হয়।সৃষ্টিকর্তা নিকটে ভরসা রাখেন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য বসে থাকতে থাকতে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক ভাইয়া দোয়া করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।