বাচ্চাদের সঙ্গে সুন্দর একটি সময় কাটানো(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমার বাচ্চাদের অভিযোগ যে আমি ওদের সঙ্গে খেলি না। আসলে সারাদিন বাসায় টুকটাক কাজ করে এই ব্লগে সময় দিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে একদমই সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। এজন্য বাচ্চাদের খুবই মন খারাপ। তাই আজকে সকাল সকাল সব কাজ শেষ করে যখন হাতে সময় পেলাম তখন ভাবলাম যে মোবাইলটা না হয় পাশে একটু সরিয়ে রাখি। আমার বাচ্চাদেরকে আগে খুশি করি। ওদের সঙ্গে একটু খেলা করি। গতকাল মার্কেটে গিয়ে আমার বড় ছেলে একটি খেলনা কিনে নিয়ে এসেছে। খেলনাটির বিভিন্ন পার্ট আলাদা করা থাকে সেগুলো জোড়া লাগিয়ে ডাইনোসর বানাতে হয়। সে বানাবে কিন্তু আমাকে তার পাশে বসে থাকতে হবে। কি আর করা তার পাশে বসে বসে তার ডাইনোসর বানানো দেখলাম। আসলেই খেলনাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ডাইনোসর গুলো এত কিউট লাগছিল দেখতে বানানোর পরে কি আর বলব। বাচ্চাদের খুশির থেকে আমারই বেশি খুশি লাগছিল।
আমার বড় ছেলের নাম আরহাম।ও সব সময় লেগো দিয়ে খেলতে পছন্দ করে। আজকে এই খেলনাটি একটু অন্যরকম। আবার এই খেলনাটি বানাতে গেলে বা লেগো দিয়ে খেলতে বসলে সমস্যা আরেকটি হয় সেটি হল ছোটটা(আফনান) সবকিছু নষ্ট করে দেয়। তাই ভাবলাম যে অন্য কিছু দিয়ে ওকে ব্যস্ত রাখতে হবে। সেজন্য ওকে খাতা পেন্সিল দিয়ে বসিয়ে দিয়েছি কিছু লেখার জন্য। অনেক খুশি সে। খুব মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করছে।
খুব মনোযোগ দিয়ে আমরা পড়ালেখা করছি কেউ আমাদেরকে বিরক্ত করবে না।
মায়ের যন্ত্রণায় লেখাপড়া করেও শান্তি নেই। খুব বিরক্ত হয়ে সে আমার দিকে তাকিয়েছে।
এখন আমার বড় ছেলের ডাইনোসর বানানো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। সবশেষে ডাইনোসর গুলো খুবই চমৎকার লাগছিলো আপনারা দেখতে পারবেন।
এইখানে ডাইনোসরের সব অংশ আছে। এগুলোকে জোড়া লাগিয়ে ডাইনোসর বানাতে হবে।
প্রথমে ডাইনোসরের মাথাটি লাগিয়েছে।
এখানে খুবই চিন্তিত সে জিনিস গুলো ঠিকমতো বসাতে পারছে না। খুব মনোযোগ সহকারে বোঝার চেষ্টা করছে কোথায় কোনটা লাগাতে হবে।
এখানে ডাইনোসরের মাথাটি শরীরের সঙ্গে লাগিয়েছে।
এখন ডাইনোসরের পা দুটিকে রেডি করেছে।
এখন ডাইনোসরের পা দুটো ডাইনোসরের বডির সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছে।
এখন ডাইনোসরের হাত দুটি লাগিয়েছে এবং ডাইনোসর বানানো সম্পন্ন করেছে। ডাইনোসর দুটি দেখতে অনেক কিউট লাগছে না?
আমরা খুবই ব্যস্ত অফিসের কাজ শেষ করতে হবে খুব দ্রুত।😉😂
ওহহো মার হাতে তো ধরা পড়ে গেলাম। মার ল্যাপটপের তো বারোটা বাজিয়ে দিয়েছি। সুন্দর হাসি দিয়ে কোনরকম পার হওয়া যায় কিনা?🤗
আসলে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে, সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। কিন্তু সময়ের অভাবে ওদের সঙ্গে খেলা হয়না। আমাদের সবারই উচিত আমাদের নিজেদের কাজের বাইরেও ওদেরকে সময় দেওয়া এবং ওদের সঙ্গে একটু খেলাধুলা করা। তাহলে ওরাও খুশি আমাদেরও মন ফ্রেশ হয়ে যাবে। সারাদিনের কাজের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এখন থেকে আমি ঠিক করেছি যে প্রতিদিনের একটা সময় হলেও ওদের সঙ্গে বসে খেলা করবো। তাহলে ওরাও খুশি হবে আমার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
আপু অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে সব সময় অনেক ভালো লাগে। চাকরিতে ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় বাইরে থাকা হয় সে সময়ে প্রচুর মিস করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সময় নিয়ে আমার পোস্ট টি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পিচ্চিকে দেখতে কিন্তু খুবই কিউট লাগছে আপু। শান্তি মতো একটু পড়াশোনা করতে দিলেন না আপু। কি সুন্দর মনোযোগ দিয়ে লেখালেখি করছিল। তবে যাইহোক আপু আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং আমাদেরকে দেখার সুযোগ দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এবং সেইসাথে আপনার মিষ্টি সোনামণিদের জন্য শুভকামনা রইল।
ওর আর লেখাপড়া। খাতা কলম ছাড়া দেয়ালে বেশি লেখালেখি করতে পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। ঠিকই বলেছেন আমরা বেশি কাজ করতে করতে বাচ্চাদেরকে সময় দিতে পারি না। ওদের যতই খেলনা থাকুক না কেন আমাদেরও তো একটা প্রয়োজন আছে। আপু আপনার বাচ্চারা অনেক কিউট দেখতে। আপনি বাচ্চাদের সাথে সময় কাটিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমার মেয়ে এখন অনেক ছোট। মাত্র দেড় বছর বয়স। কিন্তু ও সারাক্ষণ দুষ্টুমি করে এবং খেলতে চায়। আপনার ছেলে অনেক সুন্দর ভাবে খেলনা ডাইনোসর কে জোড়া লেগেছে। সব মিলিয়ে মুহূর্তটা অনেক সুন্দর কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপু সময়টি আমারও অনেক ভালোই কেটেছিল। এত ব্যস্ততার কারণে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা হয় না। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাহ দারুণ লাগল আপু। আপনার ছেলে তো খুবই সুন্দর 👌🌹। আমাদের সমাজের অধিকাংশ বাবা মা কাছের অজুহাত দিয়ে বাচ্চাদের সময় দেয় না। এতে করে বাচ্চাদের উপর খারাপ একটা প্রভাব পড়ে। কিন্তু আপনি আপনার সন্তানদের সময় দিয়েছেন এটা দেখে খুব ভালো লাগল। মাঝে মাঝে ওদের সাথে আমাদের সময় কাটানো উচিত।
আসলে বাচ্চাদের তো সারাক্ষণই সময় দেওয়া হয়। কিন্তু কোয়ালিটি টাইম বাচ্চাদের কে খুব কমই দেওয়া হয়। এজন্যই বাচ্চাদের যত অভিযোগ থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু সর্বপ্রথম আমি একটি কথাই বলতে চাই আপনার বাচ্চা দুটো দেখতে খুবই মিষ্টি ও কিউট। বাচ্চাদের সাথে দুষ্টু মিষ্টি সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে আছে তার সাথে আমি মাঝে মাঝে খেলা করি। আপনি আপনার বাচ্চাদের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য এবং আমাদের ভাগিনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
আমার ছেলে তো একই কথা,ওকে নাকি আমি খেলতে দেইনা।ওকে কোন খেলনা দেই না।অথচ ওর খেলনার জ্বালাই রুমে পা দিতে পারি না। শুধু বায়না আর বায়না।আর যদি আমি একটু চোখ লাগাতে পারি।তাহলে তো সেই রাজা।আসলেই বাচ্চাদেরকে আমাদের উচিত সময় দেওয়া,তাই আমি কোন কিছু আঁকার সময় ওকে পেন্সিল রং দিয়ে রাখি।তারপর ওর মনে চায় আমারটা রং করতে।যাই হোক ভালো লাগলো ওদের দুষ্টামি। ওরা না থাকলেতো সময়ই কাটতো না আপু আপনার।
আপু আমার ছোটটা কে নিয়ে তো বসা যায় না। ওকে পেন্সিল কলম দিলেও কাজ হয় না। আমি যেটায় আঁকবো সেটার মধ্যে তার আঁকা লাগবে। ঠিকই বলেছেন ওরা না থাকলে আবার তখন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আপনার বাচ্চার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যি আপু অসাধারণ ছিল আপনার বাবুদের সাথে সময় কাটানো এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেন। তবে আপনি যে কথাটা বললেন সংসারের কাজ এবং মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আপনি যতই ব্যস্ত থাকেন না কেন আপনি আপনার বাচ্চাদের তো অবশ্যই সময় দিতে হবে। এমনকি ওদেরকে হাসিখুশি রাখাটাই হচ্ছে আপনার দায়িত্ব, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দামি সন্তানের কাছে তার মা। তাই আবার কথাগুলো আপনি অন্য ভাবে নেবেন না। কারন আপনার কাছে আপনার সন্তানরাই সবকিছু ওদের জন্যই আপনি যা কিছু করছেন। তবে আপনার বড় ছেলে খুব সুন্দর একটা মার্কেট থেকে ডাইনোসর কিনে এনেছে এটা খুলে আবার জোড়া দিতে হয়। আমার কাছে সত্যিই অসাধারণ লেগেছে এবং বাচ্চাদের মেধা বিকাশের জন্য এরকম খেলনা কিনে দেয়া হয় তাহলে এই খেলনা গুলো তাদের মেধা বিকাশে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। আর আপনার বাচ্চাদের সঙ্গে আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, আর আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া আর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাচ্চাদের সঙ্গে তো সারাদিনই সময় কাটানো হয় কিন্তু কোয়ালিটি টাইম বলতে যেটা বোঝায় সেটা দেওয়া কম হয়। দিনের একটা সময় হলেও বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করা উচিত। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাবুদের সঙ্গে সময় কাটাতে আমারো ভাল লাগে । আপনার বাবুরা অনেক মিষ্টি দেখতে । ওদের জন্য ভালবাসা রইল ।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আরে আপু মজাটাইতো সেখানে, বড়টা যখন খেলতে শুরু করে ছোটটা তখন সব উলট পালট করে দেয়। আমার ছেলে তাই মেয়ের সামনে ভুলেও কিছু নিয়ে বসতে চায় না, তাহলে সব পন্ড করে দেয়।
তবে হ্যা, আমিও চেষ্টা করি যতটা সম্ভব তাদের সাথে সময় উপভোগ করার। ধন্যবাদ
আমার বড়টাও একই রকম। ছোটটার সামনে কোন খেলনা দিয়ে খেলতে চায় না। ছোটটা ঘুমালে তার পরে ও খেলতে বসে। আরো মজা হয় যখন দুইজন মারামারি শুরু করে দেয়😉।