আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকে বাচা মাছ রান্না করেছি আলু বেগুন দিয়ে। বাচা মাছ নদীর মাঝ । নদীর মাছ খেতে এমনিতেই অনেক সুস্বাদু হয়। এই মাছ একটু নরম নরম এবং কাটা কম থাকায় খেতে খুবই সুবিধা । নরম হওয়ার কারণে ভেঁজে রান্না করলে খেতে আরো বেশি মজাদার হয়। তাই আজকের মাছ আমি আলু বেগুন দিয়ে রান্না করেছি। আলু বেগুন দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলেই খেতে ভালো লাগে। আমি তো মাছে তরকারি দেওয়ার কথা চিন্তা করলেই আলু বেগুনের কথা সবার আগে মনে আসে। বেশিরভাগ সময় আলু বেগুন দিয়েই বিভিন্ন মাছ রান্না করি। তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমার আজকের রেসিপিটি শুরু করি। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে।
বাচা মাছ--২টি
আলু --১টি
বেগুন --১টি
পেঁয়াজ --২টি
কাঁচামরিচ--৩ টি
পেঁয়াজ বাটা --৩ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া --১.৫ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া-- ১.৫ চা চামচ
ধনিয়া গুড়া--১ চা চামচ
জিরা গুড়া--১.৫ চা চামচ
লবণ --পরিমাণমতো
সরিষার তেল--পরিমাণমতো
ধনিয়া পাতা-- পরিমাণমতো
প্রথমে মাছগুলোকে হলুদ এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে রেখেছি ৩০ মিনিট। তারপর চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
মাছগুলো একপাশ ভাঁজা হলে উল্টিয়ে দিয়েছি। দুই পাশ ভেঁজে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি।
এখন আলু গুলো দিয়ে ভালোমতো ভেঁজে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি।
ওই তেলের মধ্যে পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়ে একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো একটু কষিয়ে নিয়ে তার মধ্যে গুড়া মশলা গুলো সব দিয়ে দিয়েছি। তারপর মসলাগুলো সামান্য একটু পানি দিয়ে ভালো মতো কষিয়ে নিয়েছি।
মসলাগুলো ভালো মতো কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে আলু এবং বেগুন দিয়ে মশলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি।
সামান্য একটু পানি দিয়ে আলু বেগুনগুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি। তারপর ভেঁজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি এবং জিরা গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
এখন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য। রান্না প্রায় শেষের দিকে আসলে ধনিয়া পাতা দিয়ে দিয়েছি।
এখন ঝোল শুকিয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি । আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
আলু বেগুন দিয়ে তরকারি হচ্ছে মজাদার একটি রেসিপি। বাঁচা মাছ অনেক সুস্বাদু একটি মাছ। মসলা পরিমাণ ঠিক ঠাক মতো হয়েছে মনে হচ্ছে। রান্নার প্রসেস সমূহ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো ভাবে দেখিয়েছেন যে কেউ চাইলে সহজেই তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমি তো যেকোনো মাছ রান্নার সময় প্রথমেই মাথায় আসে আলু বেগুনের কথা। যাই হোক আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আলু বেগুন দিয়ে বাচ্চা মাছের ঝোল রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপিটি দেখে অনেক সুস্বাদু মানে হচ্ছে। আমার কাছে বেগুন সবজিতে খেতে খুবই ভালো লাগে। বেগুন যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে শুটকি ও ইলিশ মাছ দিয়ে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু এটি বাচ্চা মাছ না বাচা মাছ। যাইহোক আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বাচা মাছ প্রথমবার নাম শুনলাম। নরম এবং কাঁটা কম যেকোন মাছের মধ্যে যদি এই দুইটা গুন থাকে তাহলে ঐ মাছটা আমারও অনেক ভালো লাগে। এবং ঠিকই বলেছেন আপু যেকোন মাছের সঙ্গে আলু বেগুন দিয়ে রেসিপি টা দারুণ হয়।মাছের রেসিপি টা ভালো তৈরি করেছেন। বেশ দারুণ এবং অন্যরকম ছিল রেসিপি টা। ধন্যবাদ আপনাকে।।
বাচা মাছ একবার খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। খুবই মজা লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
বাচা মাছ আমি আগে কখনো খাইনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে বাচা মাছ খেতে অনেক মজা। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
জ্বী আপু এই বাচা মাছ খেতে আসলেই অনেক মজা। নরম নরম এবং কাটা কম থাকে। খেতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া বাচা মাছে তো একদমই কম কাটা থাকে। আপনি কি বাটা মাছ মনে করেছেন? এটি কিন্তু বাটা মাছ নয়, বাচা মাছ। এই মাছ খেতে অনেক মজা।
হা আপু আমি বাটা মাছ মনে করেছিলাম।আসলেই বাচা মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনার রেসিপিটিও চমৎকার হয়েছিল আপু।
যাক আপু এই কমিউনিটির মাধ্যমে অনেক রকম এর মাছ চিনলাম। আগে এতো মাছ চিনতাম না। এখন ভালোই মাছ চিনি। যদিও কিনতে গেলে একটাও চিনবোনা। হাহা। কাটার ভয়ে মাছ খাইনা বেশি একটা। তাই এই মাছ এর স্বাদ সম্পর্কেও ধারনা নাই।
আপনার মত আমারও একই অবস্থা। মাছ তেমন একটা চিনি না। কোন মাছের রেসিপির যদি ছবি তুলে রাখি তো অনেক দিন পরে পোস্ট করতে গেলে আর চিনতে পারি না এটা কি মাছ।
বাচা মাছ এমনি রান্নার থেকে কোনো সবজি দিয়ে রান্না করলে বেশি ভালো লাগে। এক্ষেত্রে আলু ও বেগুনের সহযোগিতা নিয়েছেন তাতে রেসিপি টি যে আরো সুস্বাদু হয়ে উঠেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
বাছা মাছের নাম আমি আজকে আমার জীবনে প্রথম শুনলাম আপু। আলু বেগুন ও মাছ দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে আপু। আপনার রেসিপি তৈরি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে আপু। যদি আপনার কাছে পুরো মাছের ছবি থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে একটা শেয়ার করবেন আপু মাছটি দেখে নেবো কেমন।
পুরো মাছের ছবি ছিল ভাইয়া ডিলিট করে দিয়েছি। এরপরে কখনো আনলে আপনার সঙ্গে শেয়ার করব। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। আপনি নেটে বাচা মাছ লিখে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন।
আলু বেগুন দিয়ে বাচা মাছের ঝোল রেসিপিটা অনেক লোভনীয় ছিল এই ধরনের মাছ কখনো খায় নি কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছে মাছটি অনেক সুস্বাদু ছিল। এবং আলু বেগুন দিয়ে বাছা মাছের ঝোল অনেক সুন্দর ভাবে আপনি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ধরনের মাছ কখনো খাওয়া হয়নি যেহেতু অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন ভাইয়া খুবই ভালো লাগবে। বাচা মাছ খুবই সুস্বাদু একটি মাছ।