আজকে হাজির হয়ে গেলাম মজাদার এবং সুস্বাদু রেসিপি নিয়ে। সেটি হল আচারের রেসিপি। আচার পছন্দ করে না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। বিভিন্ন সিজনে আমরা বিভিন্ন ধরনের আচার বানিয়ে রাখি। যাতে সারা বছর খেতে পারি । আজকে আমি আমের আচার তৈরি করেছি।কক্সবাজারে কাশ্মীরি আমের একটা আচার পাওয়া যায়। খুব মজা সে আচারটি। আজকের আমের আচার অনেকটা কাশ্মীরি আমের আচার স্টাইলে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। কাশ্মীরি আমের আচার কিভাবে বানায় জানতাম না। ইউটিউবে অনেক খোঁজাখুঁজির পর এই রেসিপিটি পেলাম । পরে সেভাবেই আমের আচারটি বানিয়েছি। বানানোর পর আসলেই খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। অনেকটা কক্সবাজারের সেই কাশ্মীরি আচারের মত হয়েছিল। তাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
আম
চিনি
আদা
শুকনা মরিচ
মরিচের গুঁড়া
লবন
এলাচ
দারুচিনি
ভিনেগার
প্ৰথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে চিনি দিয়েছি। তারপর ভিনেগার দিয়েছি।
এখন আদা কুচি, মরিচ কুচি, এলাচ, লং দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়েছি চিনিগুলো গলার জন্য।
চিনিগুলো পুরোপুরি গলে গেলে আম গুলো দিয়ে দিয়েছি। আমগুলো চিনির সঙ্গে ভালোমত মিশিয়ে নিয়েছি। (আমগুলো কেটে ভালোমত ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রেখেছিলাম।)
এখন মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে আবার ভালো মত নেড়ে দিয়েছি।
এ পর্যায়ে আমগুলো গলতে শুরু করেছে।
আমগুলো অনেক টক ছিল তাই আমি করেকটু চিনি দিয়েছি।
কিছুক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পর চিনি গলে পানি বের হয়ে গিয়েছে। এখন অনবরত নেড়ে দিতে হবে যাতে পুড়ে না যায়।
পানি প্রায় শুকিয়ে এসেছে। আপনারা চাইলে এখানেও বন্ধ করে দিতে পারেন চুলা। এভাবে খেলেও খুবই মজা লাগে। আমি আরেকটু জাল করে নিব। কারণ কাশ্মীরি আচারে একদম পানি থাকে না।
চিনি পুরোপুরি শুকিয়ে এরকম কালার হলে তখন বুঝতে হবে যে আচার পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এ পর্যায়ে আমি চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আপনারা এভাবে বয়ামে রেখে সারা বছর খেতে পারেন । এই আচারটি খিচুড়ির সঙ্গে খেতে খুবই ভালো লাগে। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ । সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photography | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
খুবই মজাদার একটি আমের আচার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আমের আচার ও আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। রেসিপিটি দেখে জিভে জল এসে গেল ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমের আচার মনে হয় সবাই কমবেশি পছন্দ করে। এভাবে বানালে তো আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপনার শেয়ার করা আমের আচারের রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে দুঃখজনক হলেও আমাদের এখানে এখন কাঁচা আম পাওয়া যায় না। নতুবা আপনার মত করে আচার বানিয়ে আমিও খেতাম। আমের আচার আমাদের পরিবারের সবার অনেক পছন্দের। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই আচারটি আমিও বেশ কিছুদিন আগে বানিয়েছি। এখন কোথাও হয়তো কাঁচা আম পাওয়া যায় না। পরের বছর ইনশাআল্লাহ বানাতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু আমার চাই এটা। ঈদের পর আমি নেব মনে যেন থাকে। আবার যেন বলেন না সব শেষ হয়ে গেছে। আপনার এই ভাই ঠিক মত খেতে পারছে না এখন , তাই সাথে একটু আচার হলে তো কথাই নেই। দারুন ছিল পুরো ব্যাপারটা 👌👌👌👌।
এটাতে শুকনা মরিচের গুড়া দেওয়া আছে । শুকনা মরিচের গুড়া তো আপনি আবার খেতে পারেন না। কিভাবে খাবেন🤔🤔?
আপু এসব বললে হবে না। ভাত এর সাথে অল্প অল্প করে খাব। আমার চাই কিন্তু আপু। মনে যেন থাকে। ঈদ পর নেব আমি।
খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমের আচার তৈরি করে দেখিয়েছেন। এর যে আলাদা একটা নাম আছে তা ও জানতাম না।
আমার কাছে আমার আচার খেতে খুব ভাল লাগে এ বছরেও তিনবার তৈরি করেছি কাচা আমের সময়ে।
আপনার এই রেসিপি অনুসরণ করতে পারতাম যদি এখন কাচা আমের সন্ধান পাওয়া যেত।
আরো আগে রেসিপিটি শেয়ার করলে হয়তো আপনি কাঁচা আমের সন্ধান পেতেন। অনেকদিন আগে বানিয়ে রেখেছিলাম শেয়ার করব করব করে দেরি হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার আমের রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। কাশ্মীরি আমের আচার সম্পর্কে আমার খুব একটা ধারণা নেই। হয়তোবা এটা খেতে অনেক মজা। কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। এমন আচার গুলো আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু কাশ্মীরি আমের আচারের রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
কখনো কক্সবাজার গেলে কাশ্মীরি আমের আচার গুলো কিনবেন । খুবই মজা লাগবে খেতে। তখন আপনিও এভাবে বানিয়ে খেতে চাইবেন । ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমার কাছে টক টক আচার খিচুড়ির সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু কখনো মিষ্টি জাতীয় আচার দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হয়নি তবে দেখে মনে হচ্ছে খারাপ হবে না। আমিও এমন রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করব পরবর্তী বছরে। কারণ এখন আর সম্ভব না। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
এই আচারটি মিষ্টি হলেও হালকা একটু টকটক লাগে। কারণ আম গুলো অনেক টক ছিল। এটিও খিচুড়ি দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও কাশ্মীরি আমের আচারের রেসিপি দেখতে খুবই অসাধারণ। মনে হয় খুবই সুস্বাদু হবে দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। আমের আচার অনেকেরই প্রিয় বিশেষ করে আমার খুবই প্রিয়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জ্বী আপু এই আচারটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল । আপনিও চাইলে এভাবে বানিয়ে খেতে পারেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার কাশ্মীরি আমের আচারের রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে। দেখে জিভে জল চলে এসেছে। কাশ্মীরি আমের আচারের কালার ও অসাধারণ হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।শুভকামনা রইল।
শুধু কালার নয় আপু খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কাশ্মীরি আমের আচার খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে অনেকদিন ধরে কাশ্মীরি আমের আচার খাওয়া হয় না। আপনার রেসিপিটি দেখে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
কাশ্মীরি আমের আচার আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। এই জন্যই তো খুঁজে খুঁজে এই আচারটি বানিয়েছি। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।