লাউ ও আলু দিয়ে কালীবাউস মাছের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে কালিবাউস মাছের রেসিপি শেয়ার করবো।
এটি নদীর মাছ। হাওর বা বিলেও এর চাষ হয়। দেখতে অনেকটা রুই মাছের মত। যদিও আমি আস্ত মাছ খুব কম দেখেছি। আমার হাসবেন্ড বাজার থেকে সব মাছ কেটে নিয়ে আসে। তাই কাটা অবস্থায় আমার কাছে রুই মাছের মত লাগে। কারণ আমি মাছ খুব কম চিনি। রুই কাতল একই রকম লাগে আমার কাছে। মাছটি লাউ দিয়ে রান্না করেছিলাম। অনেকদিন ফ্রিজে ছিল লাউটি। তাই ভাবছিলাম যে ভালোমতো রান্না হবে কিনা। পূর্বাচল থেকে এই লাউটি কিনেছিলাম। ওদিককার সবজি গুলো অনেক বেশি টাটকা হয়। এজন্য অনেকদিন ফ্রিজে থাকার পরেও রান্না করার পর খুব সুন্দর গলে গিয়েছিলো। খেতেও বেশ মজা হয়েছিল। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
লাউ
আলু
পিঁয়াজ
কাঁচামরিচ
পিঁয়াজ বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুড়া
ধনিয়া গুঁড়া
জিরা গুড়া
ধনিয়া পাতা
লবণ
সরিষার তেল
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়েছি।পিঁয়াজ মরিচ একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মসলা গুলো দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো একটু কষিয়ে নিয়ে গুড়া মশলাগুলো দিয়েছি। তারপর সবগুলো মসলা ভালো মতো কষিয়ে নিয়ে মাছ দিয়েছি।
মাছগুলো মসলার সঙ্গে মিশিয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে ভালোমতো কষিয়ে নিয়েছি।
মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে একটি প্লেটে উঠিয়ে রেখেছি।
ওই মসলার মধ্যে আলু এবং লাউ দিয়ে দিয়েছি। তারপর মসলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি।
লাউ আলু কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য। তারপর মাছগুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
বেশ কিছুক্ষণ রান্নার পর রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে। এ পর্যায়ে প্রথমে জিরা গুড়া এবং পরে ধনিয়া পাতা দিয়েছি।
আরো কিছুক্ষণ রান্নার পর ঝোল শুকিয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
লাউ ও আলু দিয়ে কালীবাউস মাছের লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ধরনের সবজি ব্যবহার করে এই মাছের রেসিপি তৈরি করলে সেটা খেতে অনেক সুন্দর লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রেসিপিটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
লাউ আমার বেশ পছন্দের একটা সবজি। আর তাজা কিনে সাথে সাথে রান্না করলে আরো বেশি মজা হয়। অনেকদিন ফ্রিজে রেখে তারপর রান্না করেছেন। তাও ঠিকভাবে সিদ্ধ হয়েছে এই অনেক। বড় মাছ দিয়ে লাউ খুব কম রান্না করা হয় আমাদের বাসায়। আম্মু বেশিরভাগ চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে। যাইহোক, ধন্যবাদ আপু রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
লাউ আমারও আগে ভালো লাগতো না এখন খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
লাউ ও আলু দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলে খেতে ভীষণ মজা লাগে আপু। আপনি অনেক সুন্দর এবং সুস্বাদু ভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিটা ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। খুবই ভালো লাগলো আপু এরকম সুস্বাদু এবং লোভনীর একটি রেসিপি দেখতে পেরে।
ঠিক বলেছেন আপু লাউ এবং আলু দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই মজা হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেক দিন হলো লাউ খাওয়া হয় না।আসলে হয় না বলতে তেমন টাটকা লাউ পাওয়া যায় না। আপনি অনেক দিন ফ্রিজে রেখে লাউ রান্না করার পরেও গলে গিয়েছে নিশ্চয়ই অনেক ভালো ছিল । যাইহোক কালিবাউশ মাছ লাউ দিয়ে রান্না করেছেন নিশ্চয় খেতে অনেক মজার ছিল। আসলে নদীর মাছ খেতে অনেক মজার। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
টাটকা লাউ না পাওয়া গেলে তেমন একটা মজা নেই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেক মজাদার একটা রেসিপি দেখলাম। লাউ ও আলু দিয়ে কালবাউশ মাছের রেসিপি টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। লাউ সবজি টা আমার অনেক পছন্দের লাউ যেমন করে রান্না করা হোক বা যার সাথে রান্না করা হোক না কেন লাউ খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। রেসিপি তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন , অনেক মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রেসিপিটি আপনার পছন্দ জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
রান্নার লেখাগুলো পড়লে না জানি কেন জিভে জল চলে আসে। কালবাউশ মাছ আমরা অন্যান্য সবজি দিয়ে রান্না করেছি ঠিকই কিন্তু কোনদিন লাউ দিয়ে রান্না করিনি। আপনার রান্নাটা দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। সুন্দর করে রেসিপিটি পোস্ট করেছেন।
রান্নার লেখা পড়লে মনেহয় কত সহজ রান্না করা। খেতে বসলে তো কথাই নাই!
আশাকরি, আপনার রান্নাও আপনার লেখার মত সুস্বাদু হয়েছে।
লেখা পড়লে সহজই মনে হয় নিজে করতে গেলে তখন আর অতটা সহজ মনে হয় না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সেটাই তো আপু! 😥
বড় যেকোনো মাছ লাউ দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।আর কালিবাউশ মাছ খুব সুস্বাদু একটি মাছ।আপনি লাউ দিয়ে রান্না করলেন।লাউটিও তাজা ছিল বলে রেসিপিটি খেতে দারুন হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বড় যে কোন মাছ খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আজকে রেসিপিটি দেখে অনেক লোভ লাগছে কারণ এত সুন্দর কালারটি এসেছে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার ছিল।এধরনের রেসিপি খেতে আমার কাছে অনেক মজা লাগে।এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
লোভ লাগলে আপু বাসায় এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে।