আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আপনারা তো জানেন যে আমি রংপুরে গিয়েছিলাম আমার শ্বশুরবাড়িতে। আমার শ্বশুর বাড়ির রংপুর থেকে একটু সাইডে। এই জন্য বাসে উঠতে হলে রংপুরে এসে বাসে উঠতে হয়। এই ঝামেলার জন্য আমার বাসে যেতে একদমই ভালো লাগেনা। তারপরও কি আর করার। গতবার ফেরার সময় গাড়িতে ছোট একসিডেন্ট হয়। এ জন্য আমার হাসবেন্ড এইবার গাড়ি নিয়ে যেতে একদমই রাজি হয়নি। আমাদের টিকিট ছিল রাত দশটা স্লিপিং কোচের। যাওয়ার সময় আপনাদের সঙ্গে স্লিপিং বাসের ছবি শেয়ার করেছিলাম। বাসটি বেশ ভালোই ছিল। ফেরার সময় ওই একই বাসের টিকিট কাটি। বাসে উঠতে হলে আবারও অটোতে করে রংপুর যেতে হবে। বাড়ি থেকে রংপুর যেতে প্রায় দেড় ঘন্টা লাগে। সারারাত জার্নি করতে হবে। আবার দের ঘন্টা এদিক দিয়ে জার্নি করি তাহলে বাচ্চাদের খুব কষ্ট হয়ে যাবে। তাই বিকালের দিকে আমার মামা শ্বশুরের বাসায় চলে গিয়েছিলাম ।
আমরা দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ঝুম বৃষ্টি শুরু হল । অটোতে করে বৃষ্টির মধ্যে গেলে ভিজে যেতে হতো। সেজন্য অপেক্ষা করতে করতে চারটা বেজে গিয়েছিল। চারটার সময় আমরা বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছি।
বাড়ি থেকে রংপুরে যাওয়ার সময় রাস্তা দিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। সেগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।
অটোতে যাওয়ার সময় আমরা চারপাশে সুন্দর পরিবেশ দেখতে দেখতে যাচ্ছিলাম। এখন জমিতে ধান লাগিয়েছে। সেজন্য যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকে সবুজ আর সবুজ। এত ভালো লাগে দেখতে।
কিছুদূর যাওয়ার পর এরকম একটি পুকুর দেখলাম। পুকুর ভর্তি কচুরিপানা আর পুকুরের পরে সবুজ ধান ক্ষেত ।
শরতের আকাশ মানেই মেঘের খেলা। সামনে সবুজ ধান ক্ষেত উপরে নীল আকাশে সাদা মেঘ। পরিবেশটা অসম্ভব সুন্দর ছিল। মনে হচ্ছিল যে অটো দাঁড় করিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি।
কিছুদূর যাবার পর আবারও এরকম বড় একটি পুকুর পেলাম। পুকুরের ছবিগুলো আসলেই খুব ভালো লাগে দেখতে।
দেড় ঘন্টা যাওয়ার পর অবশেষে আমরা রংপুর ক্যান্টনমেন্টের ভিতর ঢুকেছি। মামার বাসা ভিতরে। এখানে আবার আরেকটা ঝামেলা। বাইরের অটো ভিতরে ঢুকতে দেয় না। আবার ভেতরের অটো বাইরে বের হতে দেয় না। সেজন্য গেটে এসে আমাদেরকে আবারও অটো চেঞ্জ করতে হয়েছে। তারপর আবারো কিছুক্ষণ যাওয়ার পর মামার বাসায় পৌছে গেলাম। বাচ্চারা তো খুবই খুশি খেলার জায়গা পেয়ে। নিচে পার্কের মত রয়েছে।
আজ এ পর্যন্তই । আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ । সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু এর আগে আপনি যাওয়ার সময় যে ছবিগুলো বাসে করেছেন সেগুলো খুবই সুন্দর ছিল। এখন আবার ফেরার পথে যে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো তুলে ধরেছেন এগুলো আসলেই চমৎকার। আমার কাছে এই ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনার যাত্রা শুভ হোক এই কামনা করি।
আসলে গ্রামে গেলে চারপাশে এত সুন্দর পরিবেশ দেখা যায় যে ছবি না তুলে থাকা যায় না। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আর আগেও আপনি মামার ক্যান্টনমেন্টে গিয়েছিলেন কোনো একটা পোস্টে বলেছিলেন। স্নিপিং বাস আপনার দুই ছেলের ছবি দেখেছিলাম। বেশ দারুণ ছিল। বৃষ্টির সময়ে অটোর মধ্যে গেলে সত্যি ভিজে যাওয়া লাগে। আমি নিজেও এইরকম ভিজেছি বেশ কয়েকবার।
আপনার দেখি মনে আছে। গতবার রংপুরে গিয়ে মামার বাসায় গিয়েছিলাম। বৃষ্টিতে গেলে ভিজে যেতাম জন্যই দেরি করে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া পাশে থাকার জন্য।
একই দিনে অটোরিকশায় চড়ে দেড় ঘন্টা জার্নি করে আবার রংপুর থেকে ঢাকা লং জার্নি বাচ্চাদের জন্য অনেক কষ্টের। আপনারা আগেই আপনার মামাশ্বশুর এর বাসায় চলে এসেছেন ভাল করেছেন। আপনার তোলা ছবিগুলোতে প্রকৃতির এক অনিন্দ্য সুন্দর রুপ প্রকাশ পেয়েছে। খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি করেছেন। অনেকদিন পর কচুরিপানা দেখে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
এই কষ্টের জন্যই প্রতিবার গাড়ি নিয়ে যাই। তাহলে একবারে চলে যাওয়া যায়। এভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হয় না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার শশুর বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় অটো থেকে প্রকৃতির কি চমৎকার লীলাভুমি উপভোগ করেছেন ৷ চারদিকে সবুজ আর সবুজ ৷
ভাল লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ৷
ধন্যবাদ আপু
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এইবার গিয়ে শুধু সবুজ আর সবুজ দেখেছি। এত ভালো লেগেছে যে বলা বোঝানো যাবে না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালেই লাগলো। সব গুলো প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি। সবুজ আর সবুজ। আপনি রংপুর আসতে আসতেই দেড় ঘন্টা জার্নি করে ফেললেন। এখন দেখা যাক ঢাকা আসতে কয় ঘন্টা জার্ন করা লাগে। ধন্যবাদ আপু।
বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে আরো ১২ ঘন্টা লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
রংপুর শহর থেকে তো বেশ ভেতরে তাহলে বাড়ি। বাচ্চা আর ব্যাগ পত্র নিয়ে টানাটানি সত্যিই খুব ঝামেলার আপু। এদিকে ক্যান্টনমেন্টে এসেও দেখলাম আরেক ঝামেলা। কি আর করা। আর ছোট ভাগ্নেদের নিয়ে এত লম্বা সময় জার্নি করাটাও বেশ কষ্টের। যাই হোক আশা করি একদম সুস্থ্ শরীরে বাড়ীতে পৌঁছে গেছেন। রাস্তায় কোন ভোগান্তি পোহাতে হয় নি।
জি ভাইয়া রংপুর শহর থেকে একটু ভিতরে বাড়ি। বাচ্চাদের জন্য এত লম্বা জার্নি একটু কষ্টই হয়ে যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাড়ি থেকে আসতে রংপুর দেড় ঘণ্টার রাস্তা। মামাশ্বশুরের বাসায় কিছুক্ষণ ক্লান্তি দূর করলেন। তারপর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব চমৎকার ছিল। আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আসলে এরকম প্রকৃতির ছবি তুললেই ভালো লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
রংপুরে আপনার শ্বশুর বাড়ি আসার পোস্ট টি দেখেছিলাম।আজ ফেরার পোস্ট টি দেখেছি। রাস্তার পাশের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু মামা শ্বশুরের বাসায় যাওয়ার মূহুর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।ভালো থাকবেন।
আপনি আমার রংপুরে যাওয়া আসার পোস্ট দুটি দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।