সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম আমার মনের এলোমেলো কিছু কথা নিয়ে। সেদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম যে মানুষের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। আজকের সে বিষয়ে আরো কিছু কথা বলবো। যাদের সন্তান রয়েছে তাদের ভবিষ্যতের সমস্ত পরিকল্পনায় থাকে সন্তানদের ঘিরে। সন্তানদের কথা চিন্তা করে তারা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে তাদের জন্য সঞ্চয় করতে থাকে। কিভাবে তাদেরকে ভালো রাখা যায়, কিভাবে তাদের চাহিদা পূরণ করা যায়। অনেকে আছে যে সন্তান কোন কিছু চাইতে না চাইতেই তার সামনে সেই জিনিসটি হাজির করে। কিন্তু এরকম করা একদমই ঠিক না। কারণ এতে জিনিসপত্রের প্রতি সন্তানদের গুরুত্ব কমে যায়। তাদেরকে কোন কিছু পেতে হলে যে কষ্ট করতে হয় এই বিষয়টি শেখানো উচিত। ছোটবেলা থেকেই এগুলো শিখলে না তারা বড় হয়ে জিনিস পত্রের গুরুত্ব বুঝতে পারবে।
যেসব বাবা মা ছোটবেলা থেকেই সন্তানের জন্য নিজের সকল শখ আহ্লাদকে বিসর্জন দেয় বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায় সেসব বাবা মায়েরাই অনেক বেশি কষ্টে জীবন পার করে। আমি এর একদমই পক্ষপাতি না। বাচ্চাদের জন্য সম্পদ জমিয়ে না রেখে তাদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা উচিত। তাদের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান বিকশিত করা উচিৎ। যেসব বাচ্চারা ছোটবেলা থেকে ধর্মীয় অনুশাসনে বড় হয় তারা দেখা যায় যে বড় হওয়ার পরেও ভালো মানুষের পরিণত হয়। তাই তাদেরকে এমন ভাবে শিক্ষিত করা উচিৎ তারা বড় হয়ে নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে। নিজেরা না খেয়ে বাচ্চাদের জন্য সব সম্পদ জমিয়ে রাখলে বৃদ্ধ বয়সে সেই বাচ্চারা যদি বাবা-মাকে না দেখে তাদের কষ্টই বেশি হয়। তাছাড়া যেসব বাবা-মা নিজেদের অল্প বয়সের সব শখ পূরণ করেনি তারা বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের সে সব শখ পূরণ করতে দেখলে কিছুটা কষ্ট পায়। সেসব ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রতিটি সংসারে অশান্তি শুরু হয়।
আপনি যদি আপনার সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই অভাব কি বোঝাতে না পারেন তাহলে সেই সন্তান বৃদ্ধ বয়সে এসেও আপনার অভাব বুঝতে পারবে না। সারা জীবন আপনি যার জন্য কষ্ট করে গিয়েছেন বৃদ্ধ বয়সে দেখবেন আপনার সেই সম্পদ নিয়ে সন্তানরা আনন্দ করছে। কারণ তাদের কোন কিছুর কমতি থাকবে না। আপনাকে দেখার মত সময় তাদের থাকবে না। তখন বৃদ্ধ বয়সে আপনাদেরকে আফসোস করতে হবে যে সারা জীবন শুধু কষ্টই করে গেলেন। কিন্তু তখন বৃদ্ধ বাবা-মার আর শখ পূরণ করার মত সময় থাকে না।
এজন্য প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত সন্তানদের সব চাহিদা চোখ বন্ধ করে পূরণ না করে জিনিসপত্রের গুরুত্ব বোঝানো। এতে বড় হয়ে যখন তারা কোন একটি জিনিস কষ্ট করে অর্জন করবে তখন বুঝতে পারবে যে বাবা-মা কত কষ্ট করে তাদের চাহিদা পূরণ করেছে।
যাই হোক সময় নিয়ে আমার এই এলোমেলো কথাগুলো পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
এটা কিন্তু ঠিক, যে বাবা মা গুলো সন্তানকে কখনো অভাব অনটন বুঝতে দেয় না এবং কিছু অনেক বেশি আদর যত্ন করে বড় করে, তাদের জন্য টাকা জমিয়ে রাখে, তারাই শেষ বয়সে অনেক কষ্ট করে। বাচ্চাদেরকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং ভালো মানুষের মত মানুষ করা অত্যন্ত জরুরী। আপনি বাস্তবিক কথাগুলোকে তুলে ধরেছেন পুরো পোস্টের মাধ্যমে যেগুলো একেবারে সত্যি বলেছেন। এত সুন্দর করে পুরোটা লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।
বাচ্চাদের শুধু শিক্ষিত করলেই হবে না। তাদের মধ্যে মনুষত্ব জাগিয়ে তুলতে হবে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা লিখেছেন আপু। আসলেই বাবা-মায়ের উচিত সন্তানকে অভাব জিনিসটা বোঝানোর জন্য। সন্তানদের চাহিদা গুলো খুব সহজেই পূরণ করা ঠিক নয়। সঞ্চয় করে রাখার বিষয় টাও আমার কাছে ভালো লাগে না। আসলে সঞ্চয় না থাকলে তখন সন্তানদের কোন কিছু অর্জন করার ইচ্ছা বেশি থাকবে। ভালো লেগেছে আপনার আজকের লেখাগুলো পড়ে।
অভাব কি জিনিস তা যদি সন্তানেরা বুঝতেই না পারে তাহলে বাবা মায়ের গুরুত্ব কিভাবে বুঝতে পারবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর শিক্ষানীয় পোস্ট আপু।আসলে সন্তানকে সুশিক্ষিত করা একান্তই প্রেয়োজন।সন্তানদের জন্য সম্পদের পাহাড় তৈরি করলে সে সম্পদ নিমিষেই শেষ করে দিতে পারে কিন্তুু সুশিক্ষিত করে তুল্লে তা কখনো শেষ হবার নয়।অবশ্যই সব বাবা মায়ের উচিত সন্তানদের কে স্ব স্ব স্ব ধর্মের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া তাহলে তারা পাপ কাজে লিপ্ত হবে না।একদমই ঠিক বলেছেন অভাব শেখাতে হবে তাহলে তাঁরা বাবা,মায়ের কষ্ট টা বুঝতে পারবে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
একটি সন্তানকে যদি সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা হয় তাহলে তা সারা জীবনের জন্য তার সঙ্গে থেকে যাবে। সম্পত্তিতো আজ আছে কাল নেই এরকম অবস্থা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আমিও আপনার কথার সঙ্গে একমত পোষণ করছি। সন্তানদেরকে সবসময়ই কষ্ট বসতে দেওয়া উচিত এতে করে তারা তাদের জীবনটাকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারবে। আর কোন কিছু চাওয়ার সাথে সাথে যদি সেটা তাকে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে কখনোই সেই জিনিসের মূল্যায়ন করবে না। বর্তমান সময়ে এমন অনেক পিতা-মাতা আছে যারা কিনা নিজেদের সকল বিসর্জন দিয়ে সন্তানদের জন্য জমা করছে, এব্যাপারে আমি কখনোই পক্ষপাতিত্ব নই। সন্তানদেরকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে সম্পদ জমিয়ে বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবা কিছুই পাবে না সন্তানরাই তখন সেটা ভোগ করবে কিন্তু বাবা-মাকে আর তখন পাত্তা দেবে না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট তুলে ধরার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে সন্তানের জন্য সম্পদের পাহাড় তৈরি করে। এর পক্ষপাতী আমিও একদম না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রত্যেক মা-বাবা চাই তার সন্তানটি কোন কিছু অভাব না করে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করুক। তবে এটি ঠিক ছোটকাল থেকে ধর্মীয়ভাবে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা করলে তাদের মধ্যে মানবতা দেখা যায়। আর নিজেরা না খেয়ে সন্তানের জন্য টাকা পয়সা জমিয়ে রাখলে সন্তানগুলো বিদ্ধ বাসে না দেখলে তাদের কাছে আরও বেশি কষ্ট লাগবে। আসলে মা-বাবার উচিত তাদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার। তাহলে একসময় তারা মা-বাবাকে বৃদ্ধ বয়সে দেখাশোনা করবে। এখনকার সময়ে অনেক মা বাবা সন্তানের আদর এবং ভালোবাসা কিছুই পাই না। মূল্যবান একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিটি বাবা মায়ের উচিত সন্তানদের ধর্মীয় মূল্যবোধটা ঠিকমতো শিক্ষা দেওয়া। তাহলে তারা খারাপ কাজ থেকে অনেকটাই বিরত থাকবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট করেছেন। মা বাবা চায় তাদের সন্তান গুলো জীবনে সুখে থাকুক এবং ভালো কিছু করুক। আসলে মা-বাবা না খেয়ে কষ্ট করে টাকা পয়সা জমিয়ে যদি মানুষ না করতে পারে সন্তানকে তাহলে তাদের জীবনে কষ্ট আছে। এই কারণে টাকা-পয়সার দিকে না খেয়াল করে সন্তানকে মানুষ করা দরকার। সন্তান যদি শিক্ষা দিয়ে সুষ্ঠুভাবে গঠন করে তাহলে মা-বাবার জন্য ভালো। শুধু সন্তান শিক্ষিত করলে হবে না তাদের মধ্যে আচার ব্যবহার এবং ভালোবাসা ভালোভাবে শিক্ষা দিতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষণীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সন্তানদের মধ্যে আচার ব্যবহারও ঠিক করতে হবে। তাহলেই না সন্তান বড় হয়ে বাবা-মার কথা চিন্তা করবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার কথাগুলোর সাথে টোটালি একমত আপু। আসলে সন্তানদের ধর্মীয় অনুশাসন ছোট বেলা থেকে শেখাতে পারলে তারা বাড় হয়ে ভালো মানসিকতার অধিকারি হয়। আর সন্তানদের সব শখ, আহ্লাদ পূরণ করারও ঠিক না। তাদেরকে অভাববোধও বুঝানো উচিত। এতে করে বুঝতে পারে কতটা কষ্টে জিনিসটা অর্জন করতে হয়েছে
কিছুটা শখ আহ্লাদ পূরণ করা যায়। তারপরও সব কিছু চাওয়ার সঙ্গে না দেওয়াই ভালো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ আপু বর্তমানে এমনটা প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, অনেক আদর যত্ন করে মা বাবা সন্তানদেরকে বড় করেছে, কিছু চাওয়ার আগেই সামনে হাজির করে দিয়েছে, সেই সন্তানেরা মা বাবার ভরণপোষণের দায়িত্ব পর্যন্ত নেয় না। এখন অনেকের মুখ থেকেই শুনি যে,বাচ্চাদেরকে অভাব অনটন দেখানো উচিত। তাহলে তারা জীবনের অর্থ বুঝতে শিখবে ধীরে ধীরে এবং জীবনে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবে। বাবার অঢেল অর্থ সম্পদ থাকলে এবং চাওয়া মাত্র সবকিছু দিয়ে দিলে, বেশিরভাগ সন্তানদের কোনো কাজকর্ম করার চিন্তা ভাবনা থাকে না,এতে করে প্রচুর ঘুরাঘুরি করার সময় পায় এবং বাজে বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পরলে জীবন শেষ হয়ে যায়। দোয়া করি প্রতিটি সন্তান মানুষের মতো মানুষ হোক। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বেশিরভাগ বড়লোক লোকজনেরই বাচ্চাকাচ্চাদেরকে দেখা যায় খুবই বখাটে টাইপের। কারণ তারা ছোটবেলা থেকেই এভাবে মানুষ হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, সেজন্য ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদেরকে একটু অভাব অনটন দেখানো উচিত। যেটা চায় সাথে সাথে সেটা না দেওয়া ই ভালো। যাইহোক আমার মন্তব্যের ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করলেন। আসলে আমরা মায়েরা সন্তানের ভালোর জন্য অনেক চিন্তাই করি।তবে আমার মনে হয় ধর্মীয় অনুশাসনের উপর আমাদের সবার আগে নজর দেয়া উচিত।আর অভাব জিনিসটা বোঝানো উচিত।তবে আমি দেখেছি অনেক, অভাব জিনিসটা মায়েরা যতটা বোঝাতে চায় বা চেষ্টা করে বাবারা কিন্তু তা করে না।এটা মা-বাবা উভয়েরই করা উচিত।খুব ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা বিষয়টি পড়ে। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু সন্তানের ভালোর জন্য চিন্তা করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।