দার্জিলিং চৌরাস্তার চারপাশের সৌন্দর্য্য
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে সিকিম দার্জিলিং ট্যুরের নতুন একটি পর্ব শেয়ার করবো। এবার আমরা দশ দিনের জন্য গিয়েছিলাম ট্যুরে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। এত জায়গায় ঘুরেছি যে এখনো ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে শেষ করতে পারিনি। আরো বেশ কিছু পর্ব চলে যাবে এই ট্যুরের পুরো সময়টা শেয়ার করতে। গত পর্বে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম দার্জিলিংয়ের ম্যাল চত্বরের কিছু ফটোগ্রাফি। আজকে আপনাদের সঙ্গে ম্যালের গোল ঘোরানো যে রাস্তাটি রয়েছে সেই রাস্তাটির সৌন্দর্য শেয়ার করবো। রাস্তাটি পাহাড়ের চারপাশ দিয়ে এমন ভাবে ঘুরে এসেছে যে ম্যাল গোল চত্বর থেকে একপাশ দিয়ে ঘোরা শুরু করলে ঘুরে এসে ঠিক ওই জায়গাতেই আবার ফিরে আসা যায়। আমরা পরদিন সকালবেলায় নাস্তা করতে যাওয়ার আগে এই রোডটাতে একটা চক্কর দিয়েছিলাম। সকালবেলাতে দেখলাম সবাই মর্নিংওয়াক করছে। আবার কিছু কিছু ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে। এই রোডে বেশকিছু স্কুলে রয়েছে। তাছাড়া এই রাস্তাটির এক প্রান্তে গেলে দূরে খুব সুন্দর পাহাড় এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার কিছু অংশ দেখা যায়। আশা করি আজকের ম্যালের এই সৌন্দর্য আপনাদের ভালো লাগবে।
রাস্তার সাইড দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে আই লাভ দার্জিলিং লেখা। তাছাড়া এই নিচের ছবিগুলো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত স্কুলের ছবি।
এটি গোর্খা রঙ্গমঞ্চ ভবন। এটি চৌরাস্তার একদমই কাছে এবং ভবনটির ভিতরে খুব সুন্দর। যদিও আমরা দূর থেকে দেখেছি ভিতরে যাওয়া হয়নি। কিন্তু দূর থেকে দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
এটি দার্জিলিং এর গভর্নর হাউজের পাশে অবস্থিত। এটি নাওয়াং গোম্বু শেরপার মূর্তি। তিনি এভারেস্টে আরোহণকারী প্রথম ব্যক্তি। দুইবার এভারেস্ট এ আহরণ করেছেন।
আমরা বেশ কিছুদূর হেঁটে আসার পর বাচ্চারা খুব টায়ার্ড হয়ে গিয়েছিল। এই পাশটায় আবার বসার জায়গা রয়েছে। তাই পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছিলাম। আর পাহাড়ের পাশে বেশ কিছু ছোট ছোট বানর খেলা করছিল। এগুলো দেখে বাচ্চারা খুবই খুশি হয়েছিল। এখান থেকে খুব সুন্দর রোদ উঠলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়।
পুরা গোল চত্তর ঘুরে আসার পর আমরা আবার চৌরাস্তা এসে পৌঁছেছি। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
দশ দিনের ট্যুর ঠিকই আছে আপু। এর থেকে বেশি প্রয়োজন হয় না এই জায়গাগুলো ঘুরতে। যদিও আমি কখনো দার্জিলিং যাইনি, তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারছি জায়গাটা কত সুন্দর। তাছাড়া আপনি বিভিন্ন জায়গার টুকটাক যে বর্ণনা তুলে ধরেছেন, সেটাও আমার জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমেই আজকে জানলাম এইগুলো। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে এবং দার্জিলিংয়ের প্রকৃতির যে অপরূপ সৌন্দর্য, সেটা আপনি খুব সুন্দর করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া দশ দিনের ট্যুর অনেক এর থেকে বেশি হলে আর ভালো লাগতো না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সামনের বছর আমিও যাবো আপু দার্জিলিং তবে পাঁচ দিনের প্ল্যান নিয়ে যাবো আর কি।