ভাপা ডিমের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে মজাদার ডিমের ভাপা রেসিপি শেয়ার করবো। এই রেসিপিটি অনেকদিন হলো ফেসবুকে দেখছি। বানাবো ভাবছিলাম কিন্তু সময়ের অভাবে বানাতে পারছিলাম না। যেকোনো নতুন রেসিপি দেখলে সেগুলো বানাতে খুব ইচ্ছা করে। কারণ সবসময় এক ধরনের রান্না খেতে ভালো লাগে না। তাই সেদিন হঠাৎ করে মনে হল যে আজকেই বানিয়ে ফেলি। অনেকটা পুডিং এর মত বানিয়ে নিতে হয় প্রথমে। তারপর রান্না করতে হয়। এভাবে ডিম ভাপে সিদ্ধ করে পরে রান্না করলে খেতে খুবই মজাদার হয়। রেসিপিটি খেতে আসলে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
পিঁয়াজ
কাঁচা মরিচ
পিঁয়াজ বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুড়া
ধনিয়া গুঁড়া
জিরা গুড়া
লবণ
সরিষার তেল
ধনিয়া পাতা
প্রথমে একটি বাটিতে ডিম নিয়েছি।
তারপর সামান্য একটু লবণ এবং মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালোমতো ফেটিয়ে নিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে তেল ব্রাশ করে নিয়ে তার মধ্যে ডিমগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর চুলায় একটি সসপ্যান বসিয়ে পরিমাণ মত পানি দিয়ে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে নিয়েছি। তার ভিতরে ডিমের বাটি বসিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এখন ঢাকনা গুলো খুলে ডিম গুলোকে আগে কেটে নিয়ে তারপরে প্লেটে ঢেলে নিয়েছি।
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়েছি। পিঁয়াজ মরিচ একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মসলাগুলো দিয়েছি। বাটা মসলাগুলো একটু কষিয়ে নিয়ে গুড়া মশলা গুলো দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
মসলাগুলো ভালোমতো কষিয়ে নিয়েছি। তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে আবারো মসলাগুলো কষিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
মসলাগুলো ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে ডিমগুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
ডিম গুলো একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য। বেশ কিছুক্ষণ পর রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে। তারপর প্রথমে ধনিয়া পাতা এবং পরে জিরা গুড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
বাহ্ বেশ চমৎকার ও লোভনীয় ডিম ভাপার রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আপনি ঠিক বলেছেন আপু প্রতিদিন একই রকমের রান্না মাঝে মাঝে বোল্ড লাগে। তাই আমিও আপনার মত ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে কোন পছন্দনীয় রান্না দেখলে বাড়িতে তৈরি করার চেষ্টা করি। আমিও এই রেসিপিটি রান্না করেছিলাম। তবে বলতে হয় আপনার রান্না ও রান্নার প্রতিটি ধাপ কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনিও আমার মত ফেসবুক দেখে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করার জেনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
ডিমের ভাপা রেসিপির নাম শুনেই দেখার আলাদা একটা ইচ্ছা জেগেছে কারণ একদম পুরোপুরি ইউনিক নাম দিয়েছেন সেই সাথে পুরোপুরি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেখে বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে সম্ভব হলে একটু ট্রাই করে দেখতাম আপু।
রেসিপিটি ইউনিক জন্য ইউনিক নাম দিয়েছি। ধন্যবাদ পোষ্ট দেখে মন্তব্য করার জন্য।
ফেসবুকে ডিমের এই রেসিপিটি দেখে আপনি বাসায় তৈরি করে নিলেন।আর খেয়ে দেখলেন ভীষণ মজার। সত্যি আপু কোনকিছু দেখলে তা না বানানো পর্যন্ত আসলে ভালো লাগে না। আপনি আজ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি ভীষণ ভালো লেগেছে আমার। আসলে ডিমের নানান রেসিপি আছে।তবে এভাবে করে ভাপা ডিম খাওয়া হয়নি কখনো।আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি খুব ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
এরকম মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে সেভ করে রাখি পরবর্তীতে সময় সুযোগ হলে বানিয়ে নেই। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু নতুন কোন রেসিপি দেখলে তৈরি করতে ইচ্ছে করে। সব সময় এক ধরনের খাবার খেতে ভালো লাগে না। তাই স্বাদ পরিবর্তনের জন্য ভিন্ন খাবার খেতে ভালো লাগে। আপনি আজ খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপি খাওয়া হয়েছে কিন্তু নিজে কখনো তৈরি করা হয়নি। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনাও খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু মুখের স্বাদ পরিবর্তন এর জন্য মাঝেমধ্যে ভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভালই লাগে। আর এরকম রেসিপিগুলো খেতেও বেশ মজা হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
যে যাই বলুক রেসিপিটা যে বেশ লোভনীয় ছিল এটা কিন্তু কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আমার কাজ তো একদম ইউনিক একটা রেসিপি মনে হয়েছে। জানিনা কতটা টেস্ট হয়েছিল তবে দেখে বোঝা যায় খেতে বেশ ভালো লেগেছে।
খেতে কিন্তু খুবই মজা হয়েছিল ভাইয়া। আপনিও বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ভাপা ডিমের রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে। আসলে এভাবে কখনো রেসিপি তৈরি করা হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে ভালো করে শিখে নিলাম। পুডিং এর মত করে তৈরি করে তারপরে এই রেসিপিটা সত্যিই অসাধারণ একটি রেসিপি শিখতে পারলাম।
জি ভাইয়া শুরুতে পুডিং এর মত তৈরি করে নিতে হয়। তারপর রান্না করলে খেতে খুবই মজা হয়।
আপু ভাপা ডিমের নতুন একটি রেসিপি দেখলাম। পুডিং এর মত করে ডিম দিয়ে রেসিপি আর কখনো দেখা হয়নি। এই কমিউনিটিতে আসার ফলে নতুন অনেক রেসিপি দেখতে পারলাম। আশা করি আপনার থেকে আরো নতুন নতুন রেসিপি দেখতে পাবো। ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া এই কমিউনিটিতে আসার পর নতুন নতুন অনেকে রেসিপি শিখতেও পারি এবং বানানোও হয় সেগুলো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।এই রেসিপিটা আগে কখনো খাওয়া হয়নি।তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
এই রেসিপিটা আমিও এবারই প্রথম তৈরি করেছিলাম। খেতে খুবই মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
বাহ! এভাবে তো কখনো ডিম ভাপা করে খাওয়া হয় নি। পুডিং এর মত করে যে ভাপিয়ে নিয়েছেন, সেটি কতক্ষণ সময় লেগেছে আপু সেটা একটু জানায়েন... আপনার এই রেসিপিটি বেশ ইউনিক লাগলো আমার কাছে। আসলেই, প্রতিদিন একই রকম খাবার খেতে তো ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে কিছুটা ভ্যারিয়েশন আনা প্রয়োজন হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ এই ভিন্ন ধরনের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে যেহেতু ডিমের ভাপা কখনো খাওয়া হয়নি তাহলে বাসায় বানিয়ে একবার খেয়ে দেখবেন আপু। খুব ভালো লাগবে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।