বৃষ্টিতে নিউ মার্কেটে শপিং এ যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে চিন্তা করছিলাম নিউমার্কেটের ঐদিকে যাব বাচ্চাদের জন্য কিছু কাপড়চোপড় এবং নিজের প্রয়োজনীয় টুকটাক জিনিস কেনার জন্য। নিউ মার্কেটের ওই দিকটায় খুব বেশি ভিড় থাকে। এজন্য বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে আরামে ঘোরা যায় না। তাই বাচ্চাদেরকে তার টিচারের বাসায় রেখে আমি আর আমার হাসবেন্ড গিয়েছিলাম। ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আর কি। অনেকদিন ধরে প্ল্যান করেছিলাম যে এই শুক্রবারে যাব। কিন্তু শুক্রবার সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে বৃষ্টি। ভেবেছিলাম বৃষ্টি হয়তো থেমে যাবে। কিন্তু ওই দিকটাতে গিয়ে মনে হল বৃষ্টির প্রকোপ আরো বেড়ে গেল। তার সঙ্গে বাতাস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টি ছিল ঐদিন। একে তো নিউমার্কেট এলাকার জ্যাম তার উপরে আবার বৃষ্টি। খুবই খারাপ একটা দিন সিলেক্ট করেছি শপিং করার জন্য মনে হলো। কি আর করার চলে যেহেতু এসেছি তখন এই বৃষ্টির মধ্যে ঘুরাঘুরি শুরু করলাম।
উপরের ছবিটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় তুলেছিলাম। এর আগে যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠা হয়েছিল কিন্তু তখন উবারে ছিলাম। আমার হাজবেন্ডের ইচ্ছা ছিল সে নিজে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েতে ড্রাইভ করবে। কারণ এই রাস্তাটা এত চমৎকার ড্রাইভ করার জন্য খুবই আরামের। সামনে বসে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। আকাশ দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন বাইরের ওয়েদার কেমন ছিল।
শুরুতেই আমরা ধানমন্ডি অরচার্ড পয়েন্টে গাড়ি পার্কিংয়ে রেখে দিয়েছিলাম। তা না হলে নিউমার্কেটের দিকে গাড়ি পার্কিংয়ের খুব একটা জায়গা নেই। তারপর এখান থেকে রিক্সা নিয়ে ঢাকা কলেজের ওখানে চলে গিয়েছিলাম।
আমরা শুরুতেই ঢাকা কলেজের অপর সাইডের যে মার্কেটটি রয়েছে সেখানে গিয়েছিলাম। আসলে এই মার্কেটটির নাম মনে থাকে না সবসময় ঢাকা কলেজের অপর সাইড হিসেবে চিনি। সম্ভবত নুরজাহান মার্কেট হবে। এখানে বাচ্চাদের এক্সপোর্ট এর গেঞ্জি প্যান্ট পাওয়া যায়। এজন্য এখান থেকে মাঝে মাঝে কেনা হয়। শুরুতে গিয়ে বাচ্চাদের জন্য শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি,ট্রাউজার কিনে নিলাম এবং আমার বাসায় পড়ার কিছু গেঞ্জিও কিনলাম। এগুলো কিনতে কিনতেই প্রচন্ডরকম ক্ষুধা পেয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টির জন্য কোথায় খেতে যাব খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে পাশে স্টার কাবাবে চলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খেলাম। কিন্তু একেবারেই ভালো লাগেনি আমার কাছে।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটি রিক্সা নিয়ে নিউ মার্কেটে নিয়ে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে একটি ফ্রাইপ্যান, তোয়ালে,বাচ্চাদের স্কুলের ব্যাগ এবং আরো টুকটাক জিনিস কেনাকাটা করলাম। যদিও আমার আরো একটু ঘোরাঘুরির ইচ্ছা ছিল কিন্তু বৃষ্টির কারণে আর সম্ভব হলো না।
কেনাকাটা শেষ করে আবারও একটি রিকশা নিয়ে ধানমন্ডি অর্চার্ড পয়েন্টে এসে আবারো গাড়ি নিয়ে রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
শুক্রবারে বৃষ্টি এবং বাতাস দুটোর কারণে অনেক সমস্যা হয়েছে। তবে আপনার বাচ্চাদেরকে টিচারের বাসায় রেখে যাওয়ার কারণে হয়তো আপনাদের একটু সুবিধা হয়েছে। আর নিউমার্কেটে এমনিতেই শুনেছি সব সময় অনেক জ্যাম থাকে। যাইহোক কষ্ট করে মার্কেটে গিয়েছেন। তবে কাচ্চি বিরিয়ানি গুলো দেখে মনে হচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে কিন্তু আপনি বলতেছেন খেতে ভালো লাগেই নাই। যাইহোক লাস্টে বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করে চলে আসলেন বাসায়। সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু বাচ্চাদেরকে এর মধ্যে নিয়ে গেলে আরো বেশি বিপদে পড়তাম। আমাদেরই ভিজতে ভিজতে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমিও কিছুদিন আগে ওয়াইফকে নিয়ে নিউমার্কেট গিয়েছিলাম কেনাকাটা করতে। নিউমার্কেটে এমন কোনো দিন নেই যে ভিড় থাকে না। এতো ভিড় যে ভালোভাবে হাঁটা যায় না। যাইহোক শুক্রবার বৃষ্টি ছিলো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। শুক্রবার আমাদেরও প্ল্যান ছিলো ঘুরতে যাবো, কিন্তু বৃষ্টি সব প্ল্যান মাটি করে দিয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে কেনাকাটা করতে আসলেই বিরক্ত লাগে। যাইহোক অবশেষে বৃষ্টির মধ্যেই কেনাকাটা করতে হলো আপনাদেরকে। নিউ মার্কেটে গাড়ি পার্কিং করার সময় আমিও বিপদে পরেছিলাম একদিন। কোনো জায়গা ই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আপনারা অরচার্ড পয়েন্টে গাড়ি পার্কিং করে খুব ভালো করেছেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার নিউমার্কেট এলাকায় খুবই কম যাওয়া হয়। বেশিরভাগ সবকিছু যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে কেনা হয়। ছয় মাসে একবার নিউমার্কেটের ওদিকে গেলেও যাওয়া হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনার বাসার সামনেই তো যমুনা ফিউচার পার্ক। তো সেখান থেকে শপিং করাটাই ভালো। যাইহোক ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাহিরে গেলে একটু বেশি ঘুরাঘুরি করতে সবারই ইচ্ছে করে তেমনটা আপনারও করেছিল। তবে বৃষ্টির কারণে আর বেশি থাকতে পারেননি বাহিরে। টুকিটাকি বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছিলেন দেখছি। বাচ্চারা তাদের শপিং পেয়ে নিশ্চয়ই অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। নিউ মার্কেটের শপিং করার মুহূর্তটা এত সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো এত সুন্দর করে শেয়ার করার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছে।
আরো বেশকিছু কেনাকাটা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির জন্য আর সম্ভব হয়নি। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
নিউমার্কেট এলাকাটা বরাবরই জ্যাম থাকে আর জিমের কারণে সচরাচর খুব একটা বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ সেই জায়গাতে যেতে চায়না। আপনি এমন একটা দিন সিলেক্ট করেছেন যে দিনে বৃষ্টি হচ্ছে তারপরেও যেহেতু বের হয়ে পড়েছেন কিছু করার নেই যেতেই হবে। বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটার পাশাপাশি আপনার জন্য কিছু কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। স্টার কাবাব এ গিয়ে বিরিয়ানিও খেয়েছেন দেখছি, যাইহোক শেষ পর্যায়ে এসে কেনাকাটা করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাদের কেনাকাটার সুন্দর মুহূর্তটার গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঐ এলাকায় জ্যাম এবং ভিড়ের কারণে খুব একটা যাওয়া হয় না। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপু ,আবহাওয়ার কথা বলা যায় না।তবুও বৃষ্টির দিনে ঘোরার অনুভূতিই আলাদা রকমের হয়ে থাকে।আপনারা বৃষ্টির দিনে দারুণ কেনাকাটা করেছেন আশা করি।তাছাড়া গাড়ি পার্কিং এর জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে রিক্সা করে গিয়েছেন এটা বৃষ্টির সময় অস্বস্তিকর।যাইহোক ভালো লাগলো পোষ্টটি পড়ে, ধন্যবাদ আপনাকে।
তা অবশ্য ঠিক বলেছেন বেশ অনেকদিন পর হাজবেন্ড ওয়াইফ মিলে এরকম বৃষ্টিতে ঘুরলাম। ভালোই লেগেছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বৃষ্টিতে বাইরে বের হওয়া খুবই ঝামেলারই বটে।আর নিউ মার্কেট তো সারা বছর ই ভীড় লেগে থাকে।এই বৈরী আবহাওয়ায় ছেলেদের রেখে এসে ভালো ই করেছেন।আমিও নুরজাহান মার্কেট থেকে সব সময় ই কেনাকাটা করি।আপনিতো দেখছি অনেক কিছুই কেনাকাটা করলেন।সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
শুক্রবারে স্কুল কলেজ সব খোলা থাকার কারণে আরো বেশি ভিড় ছিল। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
বৃষ্টির মধ্যে বাইরে যাওয়া কেনাকাটা করা অনেক কষ্টকর। আবহাওয়া খারাপ অবস্থাও আপনি নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে গেলেন। আর নিউমার্কেট এলাকায় এমনিতে যানজট বেশি থাকে। গাড়ি রেখে রিক্সা করে গেছেন ভালই করলেন। কিছু কিছু জায়গা কাচ্চি বিরায়ানি গুলো খেতে ভালো লাগে আবার অনেক জায়গায় বিরায়ানি গুলো খেতে মন চায় না। তবে বাচ্চাদের জন্য কিনাকাটা এবং স্কুল ব্যাগ কিনেছেন ভালোই করেছেন। এবং আপনার হাজবেন্ডকে নিয়ে কেনাকাটা সেরে ফেলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোট বাচ্চা নিয়ে চাইলেই তো আর যাওয়া যায় না ভাইয়া। এজন্য যেহেতু ওদেরকে টিচারের বাসায় রাখতে পেরেছি এই ফাঁকে ঘুরে এসেছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
নিউমার্কেট এ যে ভীড় থাকে আপু! একবার গিয়ে তো পুরা তব্দা খেয়ে বসেছিলাম। তখন গরমের সময় ছিল। আর বৃষ্টির দিনে গেলে তো আরও সমস্যা হয়। ভাইয়াকে নিয়ে গিয়ে ভালো করেছেন। নূর জাহান মার্কেটের দিকে মেবি গিয়েছিলাম।
গরমকালে তো নিউমার্কেট ঢোকাই কষ্টকর। একে তো গরম তার ওপরে প্রচন্ড রকম ভিড় যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।