গ্যাংটকের বাকথ্যাং ঝর্ণা দেখা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম ভারতের সিকিম রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটকের নতুন একটি জায়গা নিয়ে। গ্যাংটকের সিটি ট্যুর যেদিন দিচ্ছিলাম সেদিন বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম যে ঝর্ণা কখন দেখতে পাবো। পাহাড়ের সৌন্দর্যইতো ঝর্ণাতে। ৫ নম্বর স্পটে গিয়ে আমরা ঝর্ণা পেলাম। এটি গ্যাংটকের ন্যাশনাল হাইওয়ের একদম পাশে।। এই ঝর্ণার নাম bakthang ঝর্ণা। প্রথম ঝর্ণা দেখাতে এত ভালো লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পানি নিচে নেমে যাচ্ছে। তার জন্য রাস্তার উপরে একটি ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজের নিচ দিয়ে ঝর্ণার পানি আরো নিচে যাচ্ছিলো। যত নিচে এই পানি যাবে তত নিচ দিয়েই ঝর্ণার সৃষ্টি হবে। সাধারণত ঝর্ণা গুলো ছোট দেখা যায়। কিন্তু এই ঝর্ণাটি চওড়াতে অনেক বড় ছিল। অনেক জায়গা জুড়ে পানি পড়ছিল। কিন্তু ঝর্ণার পানির নিচে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। সেখানে আটকানো রয়েছে। বারবার মন চাচ্ছিল ঝর্ণার নিচের পানির একদম কাছে যেতে পারলে খুব ভালো লাগতো। কি আর করার দূর থেকেই দাঁড়িয়ে দেখতে হলো। এর কাছে যাওয়া আবার রিস্ক ও বটে। কারণ পানির নিচে পাথরগুলো বেশ পিচ্ছিল থাকে। এজন্যই হয়তো বন্ধ করে রেখেছে।
বাকথ্যাং ঝর্ণা দেখতে যাওয়ার পথে আরও একটি ঝর্ণা পেয়েছিলাম। কিন্তু নেমে দেখি কুয়াশায় একদম ঢাকা। দূর থেকে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাই আর সেখানে দেরি না করে এই ঝর্ণাটির দেখার জন্য চলে গিয়েছিলাম।
ঝর্ণার পানির এত সুন্দর আওয়াজ যে মন চাচ্ছিলো না সেখান থেকে যাওয়ার জন্য। তাছাড়া এখানে জিপ লাইনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাহাড়ের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাওয়া যায়। দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা থাকে এবং কিছুটা ঢালু থাকে। আমার ওঠার ইচ্ছা ছিল কিন্তু কেমন লাগবে দেখতে সেজন্য আর ওঠা হয়নি। আমার হাসবেন্ড অবশ্য উঠেছিলো বড় ছেলের জোরাজুরিতে। বাচ্চারা খুবই মজা পেয়েছে দেখে।
এটি ঝর্ণার নিচের ছবি। ব্রিজের ওপর সাইড দিয়ে পানি এভাবেই নিচের দিকে যাচ্ছে। কি পরিষ্কার পানি দেখলেই হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিতে মন চায়। কিন্তু বেশ দূরে থাকায় সেটা সম্ভব নয়।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
এই পর্বের অনেকগুলি দৃশ্য আমি দেখেছিলাম এবং আজকেও গ্যাংটকের বাকথ্যাং ঝর্ণা দেখলাম। প্রথম পিকচারটি দেখে তো আমি মুগ্ধ হলাম।ইস এরকম দৃশ্য যদি বাস্তবে নিজের চোখে দেখতে পারতাম। নিজেকে ধন্য মনে করতাম। আপনার জীবন কত সুন্দর। কত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারতেছেন। কত ভালো লাগতেছে এবং আমরা আপনার দেখানো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক আনন্দ পাচ্ছি। কখনো ঝর্ণার পানির সুন্দর আওয়াজ শুনেন নাই এবং আপনার মন বলছিল যে থেকে যাওয়ার জন্য। থেকে গেলেই পারতেন। বাচ্চারা তো খুবই মজা পাবে। আমাদের তো অনেক ভীষণ ভালো লাগতেছে। অপরূপ সৌন্দর্য আসলে পৃথিবীটা ঘুরে দেখলে অনেক কিছু অভিজ্ঞতা ও অর্জন করা যায়। বেশ দারুণ একটি সময় কাটিয়েছেন আমার ভীষণ ভালো লাগলো এবং অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। অনেক নতুন কিছু দেখতে পেলাম
আপনি আমার গ্যাংটক ভ্রমণের পর্বগুলো দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। সামনে আরও সুন্দর সুন্দর জায়গার ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আশা করি সঙ্গে থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে প্রকৃতির এই মনোরম দৃশ্য গুলো দেখতে সত্যিই বেশ ইচ্ছে করে কিন্তু আজ পর্যন্ত কখনো ঝরনা বা পাহাড় পর্বতে বা সমুদ্রে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে ইচ্ছা আছে ইনশা-আল্লাহ অনেক জায়গায় ঘুরবো। যাইহোক আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ঝর্ণা দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। সত্যিই দৃশ্যগুলো বেশ দারুন। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ইনশাআল্লাহ ভাইয়া এক সময় সময় সুযোগ হলে সব কিছু দেখতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গ্যাংটকের বাকথ্যাং ঝর্ণা দেখার সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন মনে হচ্ছে। ঝরনার পানি যখন নিচে পড়ে তখন সুন্দর একটি আওয়াজ হয়। এই আওয়াজটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঝর্ণার পানির আওয়াজ আসলেই চমৎকার লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।