গল্প - "অনাথ মেয়ে" পর্ব --২

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে অনাথ মেয়ে গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো। গত পর্বে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম দুলালী তার দূর সম্পর্কের এক গরীব আত্মীয়ের বাচ্চা তাদের কাছে নিয়ে আসে। এখন দেখা যাক তারা বাচ্চাটিকে ভালোভাবে মানুষ করতে পেরেছিল কিনা। আশাকরি আজকের পর্বটিও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।



family-2610205_1280.jpg


Link


অনাথ মেয়ে


এভাবে দুলালী খুব স্বপ্ন নিয়ে মেয়েটির নাম রাখে আশা। এভাবে মেয়েটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। এই মেয়েটিকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল।ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে থাকে আশা। খুব চঞ্চল আশা খুব মিশুক মেয়ে। বাড়ির সবাই খুব ভালোবাসে। বাড়ির পাশেই একটি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয় তাকে। সেখানেই কয়েকবছর পড়া লেখা করে। গ্রামের সবাই জানে যে আশা দত্তক মেয়ে। কিন্তু কেউ কোনোদিন তাকে কিছু বুঝতে দেয় না।

গ্রামে যেহেতু পড়ালেখার মান ততটা ভালো না তাছাড়া গ্রামে থাকলে যদি আশা একসময় জেনে ফেলে যে সে তার বাবা মায়ের আসল সন্তান না তখন খুব কষ্ট পাবে। তাই তারা মেয়েটিকে শহরের একটি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। আবাসিক স্কুল জন্য থাকার ব্যবস্থা করে সেখানেই। বেশ কিছুদিন ভালোই ছিল।

কিন্তু ছোটবেলা থেকেই অনেক খাবারের মাঝে বড় হয়েছে জন্য হোস্টেলে খাবারের সঙ্গে তেমন অ্যাডজাস্ট করতে পারছিল না আশা। দুলালীর কাছে খাবারের কষ্টের কথা বলে শুধু। দুলালীরও মেয়ের কষ্ট দেখে ভালো লাগছিল না।তাদের এত সম্পত্তি আর তার মেয়ে কিনা খাবারের কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে সবাইকে একই খাবার দেয়া হয় জন্য বাড়তি টাকা দিয়েও আরো খাবারের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না।

প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করে নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসে দুলালী। কিন্তু এভাবে আর কতদিন। মেয়ে কান্নাকাটি করে তাই দুলালী বাধ্য হয়ে মেয়েকে আবারো গ্রামে নিয়ে আসে এবং গ্রামের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর সে তার বাবার কাছে একটি মোবাইলের আবদার করে। যেহেতু খুব আদরের মেয়ে সেজন্য সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা তাকে মোবাইল কিনে দেয়। কিন্তু এই মোবাইলই আসার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়।

মোবাইল ব্যবহার করে ইন্টারনেটে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ধরনের ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আশা। তার বাবা মা অল্প শাসন করলেও খুব কঠিন ভাবে তাকে শাসন করেনি কখনো। তাই আশা দিনকে দিন আরো বেশি উৎশৃংখল হতে থাকে। অনেক সময় রাগ করে মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে। আবার নতুন নতুন মোবাইল কিনে। তার জেদের কাছে তার বাবা-মা অসহায় হয়ে যায়। এভাবে কোনরকমে মেট্রিক পাশ করে আশা।



আশা কি পরবর্তীতে ভালো হয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পেরেছিল কিনা জানতে হলে পরবর্তী পর্ব অবশ্যই পড়তে হবে। সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58309.71
ETH 2617.30
USDT 1.00
SBD 2.42