ছুটির দিনে ঘুরাঘুরি ও খাওয়া-দাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ছুটির দিনে ঘুরাঘুরি না করলে কি হয়। ঘুরাঘুরি করতে কই যাবো ভাবতে ভাবতে মনে হলো যে কিছু টুকটাক কেনা কাটা করতে হবে। তাই চলে গেলাম যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে। আমাদের বেশিরভাগ কেনাকাটা এখান থেকে করা হয়। যদিও আমার নিজের শপিংগুলো আমি সব অনলাইন থেকে করি। বাইরে থেকে তেমন একটা জিনিস আর কিনতে ইচ্ছা করে না। ঘরে বসে যদি এত আরামে কেনাকাটা করা যায় তাহলে কষ্ট করে বাইরে যাওয়ার কি দরকার। কিন্তু বাচ্চাদের আর বাচ্চার বাবার জন্য বাইরে থেকেই কেনাকাটা করি। খুব বেশি দূরে যেতে হয় না। যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে সবকিছু পাওয়া যায়। এখান থেকে কেনাকাটা করতে সুবিধা। যেহেতু আমার বাসার পাশেই। আর যেকোন শপিং মলে গেলে বাচ্চাদেরকে খাবার না খাওয়ালে সেখান থেকে আসা যায় না। কেন যেন শপিংমলে গেলেই বাচ্চাদের অনেক বেশি ক্ষুধা লেগে যায়। তাই কেনাকাটা শেষ করে শর্মা হাউসে গিয়ে পিজ্জা খেয়েছি।
সন্ধ্যার পরে মার্কেটে গেলে খুব একটা হাতে সময় পাওয়া যায় না। কারণ এরা আটটা থেকে নয়টার মধ্যে মার্কেট গুলো বন্ধ করে দেয়। এর জন্য যাওয়ার পর খুব বেশি সময় থাকে না। আমরা কেনাকাটা শেষ করতে করতে মার্কেটগুলো প্রায় বন্ধ করার সময় হয়ে গিয়েছে। দোকানের লোকজন আমাদেরকে পরে ডেকে বের করেছে। বের হয়ে আসতে আসতে ফুডকোর্টে গিয়ে দেখি বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি রেস্টুরেন্ট খোলা রয়েছে। তার মধ্যে দেখলাম শর্মা হাউজ খোলা রয়েছে। তাই আর অন্য কোন দিকে না তাকিয়ে শর্মা হাউজে ঢুকে গেলাম। কি খাবো চিন্তা করতে করতে ছোট ছেলে পিজ্জার কথা বললো। তাই একটি বড় সাইজের পিজ্জা অর্ডার দিয়ে দিলাম। এই পিজ্জার দাম নিয়েছিল ১২৫০ টাকা।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বের হয়ে আসতে আসতে দেখি মার্কেট একদমই ফাঁকা। লোকজন খুব কম। নিচে নামার পর রাস্তাতে গাছটি দেখতে পেলাম। খুব ভালো লেগেছিল গাছটি। তাই ছবি তুললাম সাথে সাথে। তারপর সরাসরি চলে গেলাম পার্কিং এরিয়াতে। পার্কিং এরিয়াতে গিয়ে দেখি বিশাল জ্যাম। প্রায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছে পার্কিং এরিয়া থেকে বের হতে। সেখান থেকে সরাসরি বাসায় চলে এসেছি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
যমুনা ফিউচার পার্ক আপনার বাড়ির কাছে হওয়াতে ভালো হয়েছে আপনি হুটহাট সেখানে গিয়ে সুন্দর ভাবে শপিং করে নিতে পারেন। আর বাচ্চাদের জন্য এসব জায়গা থেকে শপিং করতে কিন্তু ভালো লাগে একসাথে সব ধরনের দোকানপাট থাকে । আর নিজের জন্য অনলাইন থেকে কেনাই ভালো জামা কাপড় বাইরে গিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে আমার কাছেও ভালো লাগে না । শর্মা না খেয়ে পিজ্জা খেয়ে ভালো করেছেন শর্মার থেকে পিজ্জা ভালো লাগে খেতে । ভালো লাগলো আপনার ঘোরাঘুরি দেখে ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু বাসার পাশে হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে চলে যাওয়া যায়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
যদিও অনলাইন থেকে সেভাবে কিছুই কেনা হয় না। তবে আপনি নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো অনলাইন থেকে কিনে থাকেন জেনে ভালো লাগলো আপু। আর মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় কাজে বাহিরে তো যেতেই হয়। বাহিরে গেলে বাচ্চাদের যেন আরো বেশি ক্ষুধা লেগে যায়। যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে গিয়েছিলেন আর সেই ফাকে পিজ্জা খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। পিজ্জার সাইজ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ বড় ছিল। আর ৩০ মিনিট জ্যামে থাকা সত্যি অনেক মুশকিল।
আমি তো আমার প্রয়োজনীয় সব জিনিস অনলাইন থেকেই কিনি। বাইরে থেকে কিনতে তেমন একটা ভালো লাগে না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছুটির দিন মানেই হচ্ছে আনন্দের দিন।এই দিন মানে অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করে।বাচ্চারা কিন্তু এমনই আপু বাইরে গেলেই তাদের খিদা লেগে যায়।যাইহোক কেনাকাটা আর বাচ্চাদের নিয়ে খাওয়ার সুন্দর অনুভূতির বর্ণনা দিয়েছেন আপনি ।বরাবরের মতো আপনার আজকের পোস্ট টিও বেশ ভালো লেগেছে। আপনার জন্যে শুভ কামনা রইলো আপু।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছুটির দিনে কোনরকম ঝামেলা থাকে না। এই দিন ফ্রি ভাবে সব জায়গায় ঘুরা যায়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
রাত ৯ টার মধ্যেই মার্কেট গুলো বন্ধ হওয়া শুরু হয়। টুকটাক কেনাকাটা শেষে আবার শর্মা হাউজে গিয়ে পিৎজা খেয়েছিলেন। আসলে আপনি যখন গিয়েছিলেন তখন সব দোকানপাট বন্ধ করে সবাই বাসায় ফিরবে এজন্য পার্কিংয়ে এসে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।
মার্কেটগুলো আরো কিছুটা সময় বেশি খোলা থাকলে ভালো হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছুটির দিনে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন সন্ধার পরে শপিং করতে গেলে খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না ।কারণ তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না ।যাইহোক আপনারা শপিং করার শেষে পিজ্জা খেয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
এখন দিন বড় হওয়ার কারনে সন্ধ্যা হতে হতেই সাতটা বেজে যায়। তাই আরো সময় পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।