বিভিন্ন মজাদার ফলের ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। এই ব্লগে জয়েন হওয়ার পর থেকে ফটোগ্রাফি করার প্রতি খুব আগ্রহ বেড়েছে। আগে বাইরে গেলে শুধু নিজের ফটোগ্রাফি করা হতো। এখন নিজের ফটোগ্রাফি তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন জিনিস দেখলেই ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছা করে। বেশ কিছুদিন আগে ফলের দোকানে গিয়েছিলাম কিছু ফল কেনার জন্য। তখন এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছি। ইদানিং ফলের এত দাম যে কিনতে গেলে হিমশিম খেতে হয়। যাদের একটু টাকা আছে তাদেরই এত দামি ফল কিনতে কষ্ট হয়ে যায়। আর যাদের টাকা-পয়সা নেই তাদের তো ফল খাওয়ার কথা চিন্তা করাই দুরূহ। অবশ্য শুধু ফলের কথা বলে আর কি হবে। বর্তমান সময়ে বাজারের সব কিছুরই দাম আকাশছোঁয়া। কোন কিছুতেই হাত দেয়া যায় না। তারপরও বেঁচে থাকার জন্য এসব খাবার তো আমাদের মাঝেমধ্যে খেতেই হয়। দোকানে গেলে এরকম লোভনীয় ফলগুলো দেখলে না কিনেও থাকা যায় না। আমার তো ফল কেনার থেকে ফটোগ্রাফি করার আগ্রহই বেশি ছিল। আশা করি ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রতিবছর তরমুজের সিজন আসলেই তরমুজ নিয়ে একটি হাঙ্গামা বেধে যায়। সবাই তরমুজ পিস হিসেবে কিনতে চায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তরমুজ কেজিতে বিক্রি করে। এ জন্য এক একটি তরমুজের দাম প্রায় ৫০০/৬০০/৭০০ টাকা হয়ে যায়। একটি তরমুজ ৬০০-৭০০ টাকা দিয়ে কেনার কোন মানেই হয় না। তারপরও গরমের সময় এরকম ঠান্ডা তরমুজ খুব ভালো লাগে। তার জন্য কিনতেই হয়। আর আঙ্গুরের কথা কি বলবো। আমার ছোট ছেলের আঙ্গুর দেখলেই মাথা খারাপ হয়ে যায়। তার খুব পছন্দ এই আঙ্গুর।
যদিও এখন সব ফল সারা বছরই পাওয়া যায়। কিন্তু সিজনের ফল গুলো সিজনে খেতে অন্যরকম মজা লাগে। যেমন কমলা শীতকালে খেতেই ভালো লাগে। মালটা সারা বছরই কম বেশি ভালো পাওয়া যায়।
ফলের দোকানে গেলে আপেলের এত রকমের ধরন পাওয়া যায় কোনটা রেখে কোনটা কিনবো তাই বুঝতে পারি না। যেমন বিভিন্ন কালারের আপেল পাওয়া যায় তেমনি টেস্টও বিভিন্ন রকম হয়।
বাজারে গেলে বড়ই এর দাম শুনলে মাথা ঘুরে যায়। কেজি ২০০/ ৩০০/ ৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়। বিভিন্ন ধরন বুঝে দাম। নিচের এই আপেল কুলগুলো খেতে খুব ভালো লাগে। দেখতে অনেকটা আপেলের মতো।
স্ট্রবেরি ফলের এত নাম কিন্তু এই ফলটা কেন যেন আমার একদমই ভালো লাগে না খেতে। কেউ দিলেও আমি এই ফল খেতে রাজি না। আর আনার এর কথা কি বলবো ছিলার ভয়ে আমার আনার খেতেই ইচ্ছা করে না।
বর্তমান সময়ে পেয়ারারও দামও কোন অংশে কম নয়। কিন্তু আমাদের বাসায় প্রচুর পেয়ারা খাওয়া হয়। বাচ্চারা এবং বাচ্চার বাবা খুব পছন্দ করে পেয়ারা খেতে। সেই সাথে আমারও খাওয়া হয়ে যায়। বিশেষ করে কাসুন্দি দিয়ে মাখালে খেতে বেশি ভালো লাগে।
এই ছিল আমার বিভিন্ন ধরনের ফলের ফটোগ্রাফি। দেখে নিশ্চয়ই আপনাদের লোভ লেগে গিয়েছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ঠিক বলেছেন আপু, বর্তমান সময়ে বাজারের সব কিছুরই দাম আকাশছোঁয়া। যাইহোক, আপনার এই কমিউনিটিতে জয়েন হওয়ার পর ফটোগ্রাফি করার প্রতি খুব আগ্রহ বেড়েছে জেনে ভালো লাগলো। আমার কিন্তু সবার ভিতরে ফটোগ্রাফি করতে খুবই লজ্জা লাগে। বিভিন্ন রকম ফলের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু সবার ভেতরে ফটোগ্রাফি করতে কিছুটা লজ্জাও লাগে। এজন্য অনেক সময় করা হয় না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
চমৎকার কিছু ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু। এটা সত্যি ই বলেছেন সবকিছুর সাথে সাথে ফলের দাম ও অনেকটা ই বৃদ্ধি পেয়েছে।আপনার ছোট ছেলের আঙুর পছন্দ। আমার ছেলেও আঙুর ভীষণ পছন্দ করে।আর তরমুজ ও কেটে ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করে।তাই এই রমজানে তরমুজ কিনতেই হয়।আর আপেল মনে হয় ছোট গুলো বেশী মিষ্টি হয়।আপেলের ধরনের আর শেষ নেই।যেমন আলাদা ধরন তেমনি তার আলাদা দাম।ধন্যবাদ আপু সুন্দর বর্ননায় ফলের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আঙ্গুর সব বাচ্চারাই মনে হয় খুব পছন্দ করে। আমার নিজেরই তো ভালো লাগে খেতে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এটা কিন্তু সত্যি বলেছেন আপু সিজনের ফল সিজনেই অনেক বেশি ভালো লাগে। দারুন দারুন ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ লভনীয় লাগছে। অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সিজনের ফল গুলো অন্য সময়ও পাওয়া যায় কিন্তু অতটা মজার হয় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আমারও সেম অবস্থা আগে নিজের ছবি তোলা হতো বেশি আর এখন কবে যে নিজের ছবি তুলেছি মনে পড়ে না। এখন বাইরে গেলেই শুধু বিভিন্ন মুহূর্তগুলো ক্যাপচার করার চেষ্টা করি। আপনি দারুন দারুন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রতিটা ফল বেশ দামী বিশেষ করে তরমুজ কিছুদিন অনেক বেশি দাম ছিল। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
নিজের ছবি তুলে তো আর পোস্ট করতে পারি না। এজন্য প্রকৃতির ছবি তোলা হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
প্রতিবছরেই রমজান মাসে তরমুজের দাম আকাশ সমান হয়ে যায়। বিভিন্ন ফলের ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর ছিল। ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর থাকলেও বর্ণনা করলে আসলে ফলগুলোর দাম সম্পর্কে অবগত হয়ে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা। যেমন এক কেজি বরইয়ের দামের কথাই বলি।
এবার রমজানের কারণে আগে আগে তরমুজ উঠিয়ে ফেলেছে। খেতেও মজা হয় না। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট সাজিয়েছেন আপু। যেখানে বিভিন্ন প্রকার ফল দেখতে পেলাম। মনে হচ্ছে যেন ফলের বাগানের মধ্যে প্রবেশ করেছি। বরই থেকে শুরু করে কমলালেবু তরমুজ পেয়ারা বেদানা সহ আরো অনেক কিছু। এ জাতীয় সুন্দর সুন্দর ফল বা ফুলের পোস্টগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এটা ফলের বাগান না ভাইয়া ফলের দোকান থেকে ছবিগুলো তুলেছিলাম। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বর্তমানে সব ফলমূলের দাম অনেক বেশি। আমাদের এখানে অবশ্য তরমুজের দাম এখন কিছুটা কমেছে। বাকি ফলগুলোর ফটোগ্রাফি দেখেও ভালো লাগলো। স্ট্রবেরি ফলটা আমার একদমই ভালো লাগেনা। কাসুন্দি দিয়ে পেয়ারা মাখা আমিও ভীষণ পছন্দ করি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।
ঢাকার অন্যান্য জায়গা থেকেও আমাদের এলাকায় তরমুজের দাম অনেক বেশি থাকে। তরমুজ কেন সব জিনিসেরই দাম বেশি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি আজ বিভিন্ন ধরনের ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি সুন্দর ছিল। বিশেষ করে তরমুজ ও স্ট্রবেরি ফলের ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লাগলো। এই রমজান মাসে ফলের জুস আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
তরমুজের ফটোগ্রাফিটা আমার কাছেও ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বতর্মানে বাংলাদেশে ফল যেন একটা লাক্সারিয়াজ ফুড। একজন সাধারণ মানুষ চাইলেও প্রতিদিন ফল কিনে খেতে পারে না। কিছুদিন তরমুজ এর যে দাম হয়েছিল। যাইহোক এখন তো একটু কমেছে এটা ভালো দিক। আপেল তো বেশ কয়েক রকম পাওয়া যায়। তাদের দামেরও ভিন্নতা রয়েছে। দারুণ ছিল আপনার করা ফলের ফটোগ্রাফি গুলো। পেয়ারা আমার বেশ পছন্দের। কিন্তু সেটাও আমাদের এখানে প্রায় ৬৫-৭০ টাকা কেজি নেয়।
তরমুজের দাম বেশি হলেও এবার সেরকম ভালো তরমুজ একটাও পেলাম না। সব কেমন যেন। মনে হলো যে আগেই উঠিয়ে ফেলেছ। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।