আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি শেয়ার করবো। আমার হাসবেন্ড বাইম মাছ খায় না। এজন্য আমাদের বাসায় কখনও বাইম মাছ খাওয়া হয় না। সেদিন খুব খেতে ইচ্ছা করছিল জন্য আনতে বলেছিলাম। তাছাড়া আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকার লোকজন বাইম মাছের চামড়া ফেলে দিয়ে খায়। আমার অবশ্য চামড়াই বেশি ভালো লাগে এজন্য আমি চামড়াসহই রান্না করেছি। যে কোন মাছ আলু বেগুন দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া সবজি দিয়ে মাছ রান্না করতে গেলে আমার শুধু আলু বেগুনের কথাই মনে আসে। এজন্য আমি আলু বেগুন দিয়ে রান্না করেছি। আশা করি আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।


IMG20230517131154.jpg




বাইম মাছ--২টি
আলু--১টি
বেগুন--১টি
পিঁয়াজ--৩ টি
কাঁচা মরিচ--৩ টি
পিঁয়াজ বাটা--৪ টেবিল চামচ
আদা বাটা--১চা চামচ
রসুন বাটা--১ চা চামচ
হলুদের গুঁড়া--২ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া--১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া--১ চা চামচ
ধনিয়া পাতা--পরিমাণমতো
লবন--পরিমাণমতো
সরিষার তেল--পরিমাণমতো


PhotoCollageMaker_20230629_092147701.jpg



প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুঁচি দিয়েছি। পিঁয়াজ মরিচ একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মসলাগুলো দিয়েছি।


IMG20230517122229.jpgIMG20230517122502.jpg

বাটা মসলাগুলো কষিয়ে নিয়ে গুঁড়া মসলা দিয়েছি। সবকিছু আবারও ভালোমতো কষিয়ে নিয়ে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।


IMG20230517122545.jpgIMG20230517122823.jpg

মাছগুলো মসলার সঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি। তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব। তারপর একটি বাটিতে মাছগুলো উঠিয়ে রেখেছি।


IMG20230517122855.jpgIMG20230517123306.jpg

IMG20230517124148.jpg


ওই মসলার মধ্যে আলু বেগুন দিয়ে মসলা সঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি। সবজিগুলোকে মশলার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি। তারপর মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।


IMG20230517124150.jpgIMG20230517125015.jpg

এখন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিব পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য।এর পর প্রথমে ধনিয়া পাতা এবং পরে জিরা গুড়া দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষন রান্না করবো।


IMG20230517125101.jpgIMG20230517125127.jpg

ঝোল শুকিয়ে রান্না হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।


IMG20230517131057.jpg


IMG20230517131146.jpg


এখন একটা বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

আমাদের অঞ্চলে সকল প্রকার মাছ পাওয়া যায় এবং মোটামুটি বিভিন্ন প্রকার মাছ চাষ করা হয়ে থাকে কিন্তু বাইন মাছ তেমন একটা আমাদের এদিকে চোখে পড়ে না। পূর্বে কোনদিন খেয়েছি বলে মনে হয় না, যার জন্য আপনার রেসিপিটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।

 last year 

কি বলেন ভাইয়া আপনি কি বাইম মাছ কখনো খাননি? তাহলে অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন। খুব মজা লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আসলে বাইম মাছের চামড়া ফেলে দিলে তেমন একটা ভালো লাগে না আমার কাছেও । এর আগে আমি চামড়া ফেলে রান্না করেছিলাম তেমন একটা ভালো লাগেনি ।আপনার আলু বেগুনের তরকারি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল । আলু বেগুন দিয়ে এ ধরনের মাছ রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে ।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু আমার কাছে বাইম মাছের চামড়াই বেশি মজা লাগে। এজন্যই তো চামড়াসহই রান্না করেছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

বাইম মাছের চামড়া ফেলে দিয়ে খায় এটা আমি প্রথম শুনলাম। আপনার কাছে চামরাসহ বাইম মাছ অনেক ভালো লাগে তাই বেশ সুন্দর করে রেসিপিটি প্রস্তুত করেছেন। আপু আপনার রেসিপিটি দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছা করছে। সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

রংপুরের লোকজন বাইম মাছের চামড়া ফেলে দিয়ে খায়। আমি তাদের কাছ থেকে শুনেছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি দেখে যেন মজাদার মনে হচ্ছে। এই বাইন মাছের রেসিপি আমার খুবই প্রিয়। তাই এত সুস্বাদু মজাদার রেসিপি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।

 last year 

জি ভাইয়া খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে।এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেকে ধন্যবাদ।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রেসিপিটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

আপনার রেসিপি টা দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। রেসিপিটা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আপনার রেসিপির কালারটাও খুবই সুন্দর এসেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আশা করি এভাবেই আরো সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।

 last year 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু আমার রেসিপিটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপু বাইম মাছ কিন্তু আমারও অনেক বেশি পছন্দের। আমার কাছে বাইম মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। এটা কিন্তু একেবারেই সত্যি, যেকোন মাছ আলু দিয়ে রান্না করলে অনেক বেশি মজাদার হয় খেতে। আর আমিও চেষ্টা করি এরকম মাছ আলু দিয়ে রান্না করার। আমার তো জিভে জল চলে এসেছে আপু আপনার করা মজাদার এই রেসিপিটা দেখে। এরকম মজাদার একটা রেসিপি নিয়ে আমাদের সবার মাঝে উপস্থিত হয়েছেন দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো।

 last year 

বাইম মাছ আপনার অনেক পছন্দ জেনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

আলু বেগুন রান্না আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি। তবে বাইম মাছ দিয়ে বেগুন কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছে। রেসিপির কালার খুব লোভনীয় লাগছে। সুস্বাদুও মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

আমারতো মাছ রান্না করতে গেলে আলু বেগুন ছাড়া অন্য কিছু মাথায়ই আসে না। যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপিটি অনেক মজাদার হয়েছে। রেসিপিটির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনি খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া রেসিপির কালারের মত খেতেও সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56768.45
ETH 2391.62
USDT 1.00
SBD 2.28