জলসিরি সেন্ট্রাল পার্কে ঘোরাঘুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন আগে হঠাৎ করে জলসিরি সেন্ট্রাল পার্কটিতে গিয়েছিলাম। এখানে যে পার্ক আছে তাই তো জানতাম না। একজন ফোন করে জানালো তারপরে আমরা গেলাম সবাই মিলে একসঙ্গে। যেহেতু আমরা বসুন্ধরা আবাসিকে থাকি আমাদের বাসা থেকে খুব কাছেই। গাড়িতে মাত্র ৩০-৩৫ মিনিট লাগে।৩০০ ফিট দিয়ে যেতে হয়। ৩০০ ফিটের রাস্তাটাতো অসম্ভব সুন্দর। এই রাস্তা দিয়ে এমনিতেই যেতে খুব ভালো লাগে। এই পার্কটি মূলত আর্মিদের তত্ত্বাবধানে তৈরি। এজন্য পার্কটি থেকে অনেক দূরে গাড়ি পার্ক করে হেঁটে যেতে হয়। আর্মিদের গাড়ি অবশ্য পার্কের গেট পর্যন্ত যায়। সাধারণ মানুষের গাড়ি গেট পর্যন্ত যায় না। তাছাড়া শুক্রবারে সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ থাকে শুধু আর্মিদের জন্যই খোলা থাকে। এত কাছে যে এত সুন্দর একটি পার্ক আছে জানা থাকলে বাচ্চাদের নিয়ে আরো আগে আসতে পারতাম। যেমন সুন্দর খোলামেলা পরিবেশ বাচ্চাদের খেলার জায়গাও রয়েছে। বিশেষ করে দুই সাইডে দুইটি লেক এই পার্কের সৌন্দর্য আরো অনেক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। পার্কটি সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে। এজন্য আমরা চারটার সময় বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম।
সাড়ে চারটার সময় আমরা পার্কে পৌছে গিয়েছিলাম।ওখানে ঢুকতে জন প্রতি ১০০ টাকা করে টিকিট। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এতটা গরম বুঝতে পারিনি। যাওয়ার পরে মনে হলো যে সূর্য একদম মাথার উপরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রচণ্ড রকম গরম ছিল ওখানে। উপরের ছবির ওই বিশাল ছাউনিটি ছিল। বেশিরভাগ লোকজনই গরমে ক্লান্ত হয়ে ওই ছাউনিতে রেস্ট নিচ্ছিলো। আমরা অনেকদূর হেঁটে গেট পর্যন্ত যেতে যেতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ওখানে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়েছিলাম।
গরম থাকলে ওই দিনের আকাশটা খুব সুন্দর ছিল আকাশের ছোপ ছোপ মেঘ অসম্ভব ভালো লাগছিল দেখতে। বসে থাকা অবস্থায় বাচ্চারা খেলার জায়গাটি দেখে পাগল হয়ে গিয়েছিল ওখানে যাওয়ার জন্য। আমরা চাচ্ছিলাম যে রোদ একটু কমলে বাচ্চাদের নিয়ে যাব। কিন্তু সে উপায় আর ছিল না বাচ্চারা অস্থির হয়ে গিয়েছিল ওখানে যাওয়ার জন্য।
বাচ্চাদের আর দোষ দিয়ে কি লাভ এত সুন্দর রাইড দেখলে বাচ্চারাতো অস্থির হবেই। তারপর বাচ্চাদেরকে নিয়ে গিয়ে ওখানে ছেড়ে দিলাম এত মানুষের ভিড় এবং অনেক বাচ্চারা এখানে খেলছিল। তাই ছোট ছেলেকে নিয়ে একটু ভয়ে ছিলাম যে পরে ব্যথা না পায়।পার্কটি ঘুরে দেখব সে অবস্থাও ছিল না। বাচ্চারা এই খেলার জায়গা থেকে আসতেই চাচ্ছিল না।
বাচ্চারা খেলতে খেলতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। এদিক দিয়ে মাইকে বারবার এনাউন্সমেন্ট দিচ্ছিল যে সাতটার সময় পার্ক বন্ধ হয়ে যাবে। ছোট বাচ্চাকে কিছুতেই ওখান থেকে সরাতে পারছিলাম না। পরে একটু ব্যথা পাওয়ার পর ওখান থেকে চলে এসেছে। তারপর আমরা পুরো পার্কটি ঘুরে দেখলাম।
পার্কের বাকি ছবি পরবর্তী দিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার পার্কের বাকি অংশ নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
জলসিরি সেন্ট্রাল পার্কে গিয়ে দেখছি খুবই ঘোরাঘুরি করা হয়েছিল। এরকম পরিবেশ ছেড়ে বাচ্চারা তো এমনিতেই আসতে চায় না। পরিবেশটা কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর। আর এই ধরনের পরিবেশ আমাদের বড়দেরও অনেক বেশি পছন্দের। আর এরকম জায়গায় যদি এত সুন্দর রাইড থাকে তাহলে তো বাচ্চারা খেলাধুলা করবেই। তবে পুরো জায়গাটা আপনারা ঘুরে এসেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। পার্কের পরবর্তী ফটোগ্রাফি গুলো দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
আসলে এখানকার পরিবেশটা খুবই চমৎকার ছিল। চারপাশে খোলামেলা হওয়ার কারণে আরো বেশি ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
ছোট বাচ্চারা এরকম জায়গা গুলো অনেক বেশি পছন্দ করে। আমি তো আমার মেয়েকে নিয়ে মাঝে মাঝে চেষ্টা করি এই ধরনের জায়গা গুলোতে যাওয়ার। আর সে যখন এরকম জায়গা দেখে তখন তো সে আসতেই চায়না। তবে ও খেলাধুলা করার সময় আমার কাছে দেখতেও ভালো লাগে। তেমনি আপনার বাচ্চারাও এরকম জায়গায় গিয়ে আর আসতে চাচ্ছিল না। শেষে ব্যথা পাওয়ার কারণে চলে এসেছিল। যাইহোক অনেক সুন্দরভাবে মুহূর্তটা অতিবাহিত করেছেন মনে হয়।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোট বাচ্চারা এরকম খেলার জায়গায় গেলে খুবই খুশি হয়। আসতেই চায়না। এজন্যই তো চেষ্টা করি ওদেরকে এরকম জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
জলশিড়ি নামটা শুনেছি কিন্তু এটা কোথায় অবস্থিত দেখতে কেমন সেটা আমার কিন্তু পূর্বে জানা ছিল না। তবে আজ আপনি এই পার্কে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। অনেক সুন্দর একটি জায়গা দেখে মন ভরে গেল।
জলসিড়ি পার্কটা খুবই চমৎকার। সময় হলে একবার গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
জলসিরি সেন্ট্রাল পার্ক নামটা আমার কাছেও নতুন। পার্কটি নতুন করেছে সে জন্য তেমন পরিচিতি নেই। ধীরে ধীরে পরিচয় হয়ে যাবে। আপনার ছবিতে দেখলাম অনেক রোদ আর গমের জন্য মানুষ ছায়ার নিচে দাড়িয়ে আছে। ধন্যবাদ আপু।