আজকে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম একটি ভাঁজির রেসিপি নিয়ে। আজকে আমি চিংড়ি দিয়ে চালকুমড়া ভাঁজি করেছি। সেটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। চালকুমড়া বাসায় আনলে কিভাবে রান্না করবো খুজে পাইনা। ভাঁজি খেতেও তেমন একটা ভালো লাগে না। কিন্তু আমার হাসবেন্ড বাজারে গেলেই কেন যেন একটা করে চালকুমড়া নিয়ে আসে। তার যে খেতে খুব পছন্দ তা কিন্তু না। আনার পরে বিপদে পড়ি আমি। এটিকে কিভাবে কি রান্না করবো সেই চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। সব সময় ভাঁজি করেই খাই। তাই আজকে ভাবলাম যে একটু অন্যরকমভাবে রান্না করি। বাসায় ছোট চিংড়ি ছিল সেই ছোট চিংড়ি দিয়ে এই চালকুমড়া ভাঁজি করলাম। করার পরে দেখলাম যে শুধু ভাঁজির থেকে এই চিংড়ি দিয়ে ভাঁজি করাতে এর স্বাদ অনেক বেড়ে গিয়েছে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
চালকুমড়া--ছোট একটি
চিংড়ি--ইচ্ছা মত
আলু-- ১টি
পিঁয়াজ-- ৩ টি
রসুন--১টি
কাঁচা মরিচ-- ৭টি
হলুদের গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
লবন-- পরিমাণমত
সরিষার তেল-- পরিমাণমত
ধনিয়া পাতা--পরিমাণমত
প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে এখন পিয়াজ এবং মরিচ কুচি গুলো দিয়ে দিব। তারপর ছোট চিংড়ি গুলো এর মধ্যে দিয়ে দিব।
সবকিছু ভালোমতো ভেঁজে নিব বেশ কিছুক্ষণ।
চিংড়িগুলো ভাঁজা হয়ে গেলে এখন আগে থেকে ধুয়ে রাখা চাল কুমড়া এবং আলু এর মধ্যে দিয়ে দিব। তারপর গুড়া মশলা গুলো সব দিয়ে দিব।
তারপর কিছু রসুন কুচি দিয়ে দিব।
এখন সবকিছু ভালোমতো মিশিয়ে নিব ।সামান্য একটু পানি দিয়ে দিব চাল কুমড়া গুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
এ পর্যায়ে আমার রান্না প্রায় শেষের দিক।আমি কিছু ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষণ ভাঁজা ভাঁজা করে চুলা বন্ধ করে দিব।
সবশেষে একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপিটি। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photography | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
এভাবে কখনো চিংড়ি দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি করে খাওয়া হয়নি কিন্তু রান্না করে খেয়েছি। আপনার রেসিপিটা দেখতেই ভালো লাগছে। আমার আবার যেকোনো ভাজি রেসিপিগুলো খেতে ভালো লাগে। তাছাড়া যে কোন রেসিপি সাথে চিংড়ি দিলে তার একটু স্পেশাল হয়ে ওঠে। দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে যেকোন ভাজিতে চিংড়ি দিলে খেতে আরো ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু চিংড়ির যেকোনো রেসিপি খেতে বেশ ভালো লাগে। তাই চিংড়ি মাছ দিয়ে জালি কুমড়া ভাজার কারণে তার সাধ গুণ বেড়ে গেছে। রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু মজার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
ঠিক বলেছেন আপু চিংড়ির যেকোনো রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে আপু চাল কুমড়া আমারও তেমন পছন্দ না। তবে আম্মু এটি বেশি রান্নাই করে, ভাজি করতে দেখি। যাই হোক আপনি বিপদে পড় এত সুন্দর একটি আইডিয়া মাথায় এলো। চিংড়ি দিয়ে মনে হচ্ছে আসলেই চাল কুমড়া ভাজি অনেক মজার হবে। নেক্সটাইম আমিও আম্মু কিভাবে তৈরি করতে বলব। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
অবশ্যই আপু আপনার আম্মুকে নিয়ে নেক্সট টাইম চিংড়ি দিয়ে রান্না করতে বলবেন। খেতে খুবই ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চিংড়ি দিয়ে যেকোনো তরকারি বানালে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনি আজকে চিংড়ি দিয়ে চাল কুমড়ার ভাজি রেসিপি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। আসলে দেখতে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে খেতে তো অবশ্যই হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া চিংড়ি দিয়ে যেকোন তরকারি রান্না করলে খেতে খুবই মজা লাগে। বিশেষ করে ভাজির মধ্যে ছোট চিংড়ি দিলে তো কথাই নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
চিংড়ি দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কালার টা দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুধু কালার নয় আপু খেতে অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
চাল কুমড়া দিয়ে সরিষা কিংবা ইলিশ মাছ দিয়ে ভালো লাগো ।চিংড়ি দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি কখনো খাওয়া হয় নি।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
চালকুমড়া দিয়ে সরিষা বা ইলিশ কখনো খাইনি। এরপরে রান্না করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
চিংড়ি দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি করলে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনার রান্নাটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিললো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি পরিবেশন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য। আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
চিংড়ি দিয়ে চালকুমড়া ভাঁজির রেসিপি কখনো খাওয়া হয় নাই। আমার অনেক ভালো লাগে আপনার প্রতিটি রেসিপি। আজকের রেসিপি বিশেষ করে অনেক ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
চিংড়ি দিয়ে চালকুমড়া ভাজি খেতে খুবই ভালো লাগে। একবার খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!