ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এবছরের বেশ ভালোই ছুটি পাওয়া গিয়েছে। দুই দিন ছুটি নেওয়ার কারণে এই লম্বা ছুটি পাওয়া গিয়েছে। এই দুই দিন ছুটি নেওয়ার আরেকটা কারণ আছে যাতে রাস্তাঘাটে জ্যাম শুরু হওয়ার আগেই আমরা বাড়িতে পৌঁছে যেতে পারি। কারণ রাস্তায় জ্যাম হলে যেতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। এই প্রথম ঈদের সময় এত আরামে বাড়িতে আসতে পেরেছি। তা না হলে প্রতিবার কোন না কোন সমস্যা বেঁধেই যায়।
এর আগের বার বাসে করে গিয়েছিলাম। বাসে করে যেতে হলে রাতের বেলায় ছাড়া উপায় নেই। দিনের বেলায় সময় আরো বেশি লাগে। তাছাড়া একটা দিন নষ্ট হয়ে যায়। গতবার ঈদের সময় ফেরার দিন খুব কষ্ট হয়েছিল। তাই এবার আগে থেকে বলে রেখেছিলাম যে বাসে করে যেতে পারবো না। গাড়ি নিয়ে গেলে যাব না হলে যাব না। গাড়ি নিয়ে আমার হাজবেন্ডের খুব একটা যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কারণ এত দূরের রাস্তায় ছোট গাড়িতে অনেক রিস্ক হয়ে যায়। যেহেতু আমরা ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই যাচ্ছি সেজন্য পরে গাড়ি নিয়ে যাতে রাজি হয়েছে।
পরে ঠিক করলাম যে ফজরের নামাজ পড়েই আমরা বের হয়ে যাবো। তখন রাস্তাঘাটে গাড়ির তেমন একটা ভিড় শুরু হয় না। তাই সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে সেহরি খেয়ে রওনা দিয়ে দিলাম। বাচ্চারা দাদু বাড়ি যাবে জন্য খুব উৎসাহ নিয়ে সকালবেলা উঠে গিয়েছে। খুব একটা ঝামেলা করেনি। আগের দিন রাতে ড্রাইভারকে রাজশাহী থেকে আনিয়ে রেখেছিলাম। এর ড্রাইভার খুব ভালো গাড়ি চালায়। তাছাড়া আমাদের পরিচিত জন্য আর অন্য কোন ড্রাইভার খুঁজিনি। ওনাকেই রাজশাহী থেকে নিয়ে এসেছি । সকালে রাস্তাঘাটে অন্যান্য গাড়ির থেকে ট্রাকই বেশি ছিলো।
রাস্তাঘাট এতই ফাঁকা ছিল যে আমরা সাড়ে তিন ঘণ্টায় ফুডভিলেজ এ পৌঁছে গিয়েছিলাম। অনেক দূরের রাস্তায় বমি হওয়ার ভয় থাকে। এজন্য বাচ্চারা সহ আমি বমির ঔষুধ খেয়ে নিয়েছিলাম। বমির ঔষুধ খেলে খুব ঘুম হয়। তাই এক ঘুমেই ফুডভিলেজে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ঘুম ভেঙে তাকিয়ে দেখি ফুডভিলেজে চলে এসেছি। এখানে এসে একটু ফ্রেশ হয়ে কিছুটা রেস্ট নিয়ে আবারও রওনা দিলাম আমরা। তখন ঘড়িতে বাজে নটা।
রাস্তার কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তারপরও রাস্তাঘাটে খুব একটা গাড়ি ছিল না। আমরা বারোটার সময় রংপুর শহরে পৌঁছে গেলাম। ওখান থেকে ড্রাইভারকে ছেড়ে দিলাম। কারণ ড্রাইভার বাসস্ট্যান্ড নামতে পারলে সে বাসে করে রাজশাহী চলে যেতে পারবে। আর এই অল্প রাস্তা আমার হাজবেন্ডই চালিয়ে যেতে পারবে। যতই গ্রামের দিকে যাচ্ছিলাম ততই সবুজের ভিতরে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় চারপাশে কচি ধান লাগিয়েছে। অসম্ভব ভালো লাগছিল চারপাশে দেখতে। ওখান থেকে ৩০-৩৫ এ মিনিটের মধ্যে আমরা বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। ঢাকা থেকে রংপুর বাড়িতে পৌঁছাতে আমাদের মাত্র ৭ থেকে সাড়ে ৭ ঘন্টার মত সময় লেগেছে। এত দ্রুত এর আগে কখনো আসতে পারিনি। এত আরামে আসতে পেরে ভালোই লাগছে এবার।
এখন এই কয়দিন বাচ্চারা খুব আনন্দে কাটাতে পারবে। আমাদেরও বেশ ভালোই যাবে দিনগুলো। যাই হোক সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। আর সেই যদি পরিবারের সাথে না কাটানো হয় তাহলে তো আর সে আনন্দ টুকু খুঁজে পাওয়া যায় না। যাইহোক তাহলে ঈদের ছুটিতে বাসায় এসেছেন জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। হ্যাঁ আপু নিজ দেশে যত আনন্দে দুটো উপভোগ করা যায় অন্য দেশে হয় না। যাইহোক ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন এবং খুব দারুণ একটা সময় অতিবাহিত করবেন আশা করি ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ভালোমতোই ছুটিতে আসতে পেরেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপু, আমিও কোথাও বাইক ট্যুরে গেলে সব সময় ফজরের নামাজের পরপরই বের হই। তাতে করে রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা ও নিরিবিলি থাকে। যার কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাওয়া যায়। আর তাই সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আপনারা সকাল সকাল রওনা হওয়ার কারণে খুব অল্প সময়ে ঢাকা থেকে রংপুরে পৌঁছাতে পেরেছেন। কেননা এ সময় যানবাহনের ভিড় খুব কমই দেখা যায়। যাইহোক আপু, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন, তাই পরিবারের সকলে মিলে ঈদের অনাবিল আনন্দ উপভোগ করবেন এই প্রত্যাশাই করছি।
ওই সময়টা একেবারেই ফাঁকা থাকে। রাস্তাঘাটে গিয়ে আরাম লাগে। ওয়েদারও ঠান্ডা থাকে। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
আপনারা খুব তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হয়েছেন বলেই রাস্তা ঘাটে তেমন একটা ভীড়ের মধ্যে পড়েননি। একটু দেরি করলে হয়তো সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো।আর জ্যামের মধ্যে পড়লে অনেক বিরক্ত লাগে। আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে রংপুর চলে এসেছেন। এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া একটু দেরিতে রওনা দিলে অনেক বেশি জ্যামে পড়তে হতো। এজন্যই সকাল সকাল রওনা দেয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
নিজেদের গাড়ি থাকার কারনে খুব তারাতারি সুন্দর ভাবেই গ্রামের বাড়িতে পৌছে গেলেন। সকাল সকাল যাওয়ার কারনে তেমন জানজটের জামেলা পোহাতে হয়নি। আশা করি খুব সুন্দর ভাবে ঈদ পালন করে সুস্থ ভাবেই ঢাকায় ফেরত আসবেন। ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া এবার গাড়ি নিয়ে আসার কারণে খুব একটা ঝামেলা হয়নি। ঝামেলা ছাড়াই পৌঁছাতে পেরেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।