ছেলেদের স্পোর্টস ডে তে একদিন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে ছেলেদের স্কুল স্পোর্টসের কিছু আয়োজন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। ছোটবেলায় এরকম স্পোর্টস ডে হলে খুব মজা হত। সকাল বেলায় বাসা থেকে যেতাম আর ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যেত। সারাদিনের প্রোগ্রাম থাকতো। বাচ্চাদের স্কুলে গিয়ে ছোটবেলায় সেই অনুভূতিটা ফিরে পেয়েছিলাম। খুব ভালো লাগছিল বিষয়টা।এখন চাইলেইতো ছোটবেলার সেই দিনে ফিরে যাওয়া যায় না, তাই বাচ্চাদের মাধ্যমে আবার সেই দিনের স্মৃতিগুলো মনে করা যায়।
ঢাকার ভিতরে বেশিরভাগ স্কুলগুলোতে মাঠের অভাবে এ ধরনের খেলাধুলার আয়োজন খুব কম করা হয়। এই স্কুলের বড় একটি সুবিধা এদের বিশাল বড় মাঠ আছে। এজন্যই এ ধরনের আয়োজন এরা করতে পেরেছে। প্রোগ্রামটি শুরু হয়েছিল দুপুর তিনটায়। সন্ধ্যার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। কারণ এরা বেশিরভাগ খেলাধুলা আগের দুই দিনে কমপ্লিট করে রেখেছিল। ওই দিন শুধু দুই একটা কম্পিটিশন হয়েছে এবং যেমন খুশি তেমন সাজোর অনুষ্ঠানটি হয়েছে। আর কিছু বাচ্চাদের পুরষ্কার দিয়েছে। বাকি পুরস্কার গুলো পরে ক্লাসের মাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্যই খুব দ্রুতই অনুষ্ঠানটি শেষ হয়ে গিয়েছিল।
বড় ছেলে যেহেতু ডিসপ্লেতে ছিলো তাই তাকে সকাল সাড়ে এগারোটা স্কুল বাসে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। বাচ্চাদের স্পোর্টস ডে উপলক্ষে বাচ্চাদের বাবাও হাফ বেলা ছুটি নিয়েছিল। সেও খুব এক্সাইটেড ছিল বাচ্চাদের এরকম অনুষ্ঠান দেখার জন্য। তাই আমরা তিনটার মধ্যেই স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিলাম। বড় ছেলে আগে গিয়ে ডিসপ্লে এর প্রিপারেশন নিয়েছিল। ডিসপ্লের জন্য বিভিন্ন ক্লাসের বাচ্চাদের আলাদা ড্রেস দিয়েছিল। যার জন্য দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছিল।
প্রধান অতিথি আসার পর কোরআন তেলাওয়াত এবং জাতীয় সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হল। তারপর প্রধান অতিথিকে দিয়ে বেলুন আকাশে ওড়ানো এবং ভিডিও করার জন্য ড্রোন উড়ালো। তারপর মশাল জ্বালিয়ে পুরো মাঠে চক্কর দেওয়া হল।
তারপর বিভিন্ন ক্লাসের একটি করে নিয়ে খেলা হলো। প্রথমে দৌড়, তারপরে মার্বেল ব্যালান্সিং দৌড়, স্কিপিং দৌড়, ব্যাঙ দৌড় প্রতিযোগিতা হলো। প্রতিযোগিতা গুলো হওয়ার পর শুরু হল বিভিন্ন ক্লাসের ডিসপ্লে। বাচ্চারা বিভিন্ন গানের সঙ্গে পারফরম্যান্স করছিল। এভাবে সব ক্লাস মিলে চারটি ডিসপ্লে হয়েছে। খুব ভালো লাগছিল দেখতে ডিসপ্লেগুলো।
ডিসপ্লে শেষ হওয়ার পর যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা শুরু হলো। এখানে অবশ্য কাউকে বিজয়ী করা হয়নি সবাইকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বাচ্চারা খুব সুন্দর সুন্দর ভাবে সেজেছিলো। পরবর্তী দিন আপনাদের সঙ্গে সেগুলো শেয়ার করবো।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
বাচ্চাদের জন্য এ ধরনের মাঠের আসলে অনেক বেশি প্রয়োজন । স্কুলে গেলে ওরা খেলাধুলা করতে অনেক বেশি পছন্দ করে আর মাঠ না থাকলে এই সুযোগটা থেকে ওরা বঞ্চিত হয় । আর এই স্কুলে এত বড় একটি মাঠ থাকার কারণে এ ধরনের স্পোর্টস প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে যেটার মাধ্যমে বাচ্চারা সব ধরনের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছে । ভালোই লাগলো আমারও তো এটা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ।
এই বড় মাঠের জন্যই বাচ্চাদেরকে এই স্কুলে ভর্তি করেছি। তা না হলে এত দূরে ভর্তি করাতাম না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।