অনেক দিন পর নানু বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ছেলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। স্কুলও বেশ কিছুদিনের জন্য বন্ধ দিয়েছে। তাই বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। এবার আগে থেকেই ঠিক করে এসেছিলাম যে নানু বাড়িতে বেড়াতে যাব। অনেক বছর হলো নানু বাড়িতে যাওয়া হয়না। আসলে বিয়ের পর মেয়েদের বাপের বাড়িতেই ঠিকমতো যাওয়ার সময় হয় না সেখানে নানু বাড়িতো দূরের কথা। তাছাড়া মামা-মামীরাও শীতের পিঠা খাওয়ার জন্য ডাকছিল। সেজন্য ভাবলাম এবার যেহেতু বেশ কয়েক দিনের জন্য আছি তাহলে নানু বাড়িতে গিয়ে ঘুরেই আসি। নানিকেও দেখা হয়ে যাবে। এবার তৌহিদা আপু আর আমি ঢাকা থেকে একসঙ্গে এসেছি। এখানে ওয়াহিদা আপু থাকে। তিনজনে নানু বাড়িতে যাওয়ার প্লান করলাম। আমাদের বাসার পাশে বড় মামীও থাকে। তাকেও যাওয়ার কথা বললাম। কারণ সবাই মিলে গেলে অনেক বেশি মজা হয়। অপেক্ষা করছিলাম বৃষ্টি থামার জন্য। বৃষ্টি থামতেই আমরা নানু বাড়ি দিকে রওনা দিলাম।
গাছে বেগুন ধরেছে। বেগুনগুলো মাত্র ছোট ছোট । তাছাড়া গ্রামে গেলে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি একসঙ্গে দেখা যায়। নানাবাড়িতে বেশ কতগুলো কবুতরের দেখলাম। কবুতরগুলোর নিচে খাবার খাচ্ছিলো। তাছাড়া একটি কুকুরকে দেখলাম বেশ কতগুলো ছোট বাচ্চা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কুকুরের বাচ্চা গুলো এত কিউট লাগছিল যে কি আর বলব। ঘুমন্ত অবস্থায় কুকুরের বাচ্চাকে আরো বেশি সুন্দর লাগছিল।
ওপরে একটি পেয়ারা গাছ। এই পেয়ারা গাছের সঙ্গে অনেক স্মৃতি আমাদের জড়িয়ে আছে। আগে সব খালাতো ভাইবোনেরা মিলে যখন নানী বাড়িতে ঢুকতাম তখন সবাই আগে দৌড়ে এই পেয়ারা গাছের কাছে যেতাম। কারণ এই পেয়ারা গাছে অনেক বেশি পেয়ারা থাকতো এবং খুব মজাদার ছিল। কে আগে গাছে উঠে পেয়ারা পারতে পারবে সেই প্রতিযোগিতা চলতো। অনেক বছরের পুরনো পেয়ারা গাছটি। নিচে মেহগনি গাছের একটি বাগান। এখানে আগে অবশ্য ক্ষেত ছিল। বিভিন্ন ধরনের সবজি লাগানো হতো।
এটি কুমার নদী। পদ্মা নদীর একটি শাখা। এই নদীর সঙ্গে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আগে নানু বাড়িতে গেলে সবাই মিলে এই নদীতে গোসল করতে নামতাম। আমি অবশ্য সাঁতার পারতাম না। যারা সাঁতার পারতো তারা সাঁতরে নদীর ওপারে চলে যেত। নদী দেখে পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। এখন অবশ্য নদীর উপর একটি ব্রিজ তৈরি করছে ওপারে যাওয়ার জন্য। এই ব্রীজটি হলে অনেকের বেশ উপকার হবে।
চারপাশে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এসে আমরা খেতে বসলাম চিতই পিঠা এবং মাংস দিয়ে। তাছাড়া পোলাও, বেগুন ভাজা,ছোট মাছের চচ্চড়ি এবং আরো অনেক খাবার ছিল। বিকেল বেলায় আবার ভাপা পিঠা, চা, নাস্তা খেয়ে রাতে আমরা বাসায় চলে এসেছি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন দেখছি। আসলে এই জাতীয় ফটোগুলো আর আত্মীয়র বাড়ির স্মৃতিটা সারা জীবন হয়তো ধরে রাখা যাবে এভাবে পোস্ট করে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি সুন্দর ভাবে মোবাইলে ধারণ করে দেখলাম। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট।
আমার পোস্টটি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সবাই এক সাথ হয়ে কোথাও গেলে এমনিতেই খুব ভালো সময় কাটানো যায়। আর তেমনি আপনিও আপনার নানু বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সাথে আপুরাও গিয়েছিল শুনে আরো বেশি ভালো লেগেছে। পেয়ারা গাছ নিয়ে তো দেখছি আপনাদের ছোটবেলার বেশ মজার স্মৃতি রয়েছে। আর মজার এই স্মৃতি পড়ে খুব ভালো লেগেছে। যাই হোক নানু বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন আপনি। সব মিলিয়ে আপনাদের ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালোই উপভোগ করেছি।
নানু বাড়িতে গেলে অনেক মজার মজার স্মৃতি মনে পড়ে। ছোটবেলা অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
যাক ছেলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ, আর বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। কিছুদিন আগে তাওহিদা ম্যাডাম এসেছিলেন, আপনার আসা হয় নাই আজকে আপনি মজা করে চলে এসেছেন বেশ ইনজয় করবেন। মামা মামীরা পিটা খাওয়ার জন্য ডাকছিল এবং চলে এসেছেন ভীষণ ভালো লাগলো আশা করি খুব সুন্দর মুহূর্ত উদযাপন করবেন এবং গ্রামের পরিবেশ গুলো অনেক সুন্দর লাগে, অনেক কিছু দেখতে পারতেছেন আশা করি। ভীষণ ভালো লাগলো আপনার মুহূর্তটি পড়ে
কিছুদিন আগে তৌহিদা আপু আসেনি তো। আমি এসেছিলাম। তৌহিদা আপু আসতে পেরেছিল না। এজন্য এবার দুজন একসঙ্গে এসেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনারা সবাই মিলে নানুর বাড়ি দারুণ সময় উপভোগ করেছেন।আসলেই সবাই মিলে গেলে আলাদা মজা পাওয়া যায়।অনেক ধরনের পিঠা খেয়েছেন দেখছি।আর নদীর নাম কুমার হওয়ার কারণ কি?নদীর কি বিয়ে হয়নি,হি হি।
একদম ঠিক ধরেছেন আপু নদীটির বিয়ে হয়নি জন্য এখনো কুমার রয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
নানু বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে চমৎকার সব ফটোগ্রাফি মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করে ফেলেছেন দেখছি। এ জাতীয় ফটোগ্রাফি এবং আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত খুবই মধুর হয়ে থাকে। অবশ্যই স্মৃতি হয়ে থাকবে এই পোস্ট।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পোস্ট করে রাখার জন্য এগুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে। আরো কয়েক বছর পর এগুলোও মনে করতে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সবার ক্ষেত্রে একই রকম আপু। বড় হয়ে গেলে সবাই জীবনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেজন্য তেমন একটা কোথাও যাওয়া হয় না। মেয়েদের ক্ষেত্রে সেটা একটু বেশি নিজের বাপের বাড়ি তেমন একটা যাওয়া হয় না আবার নানুর বাড়ি কথাটি ভালো লেগেছে । খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন এর আগের পোস্টেও দেখতে পেয়েছি । গ্রাম্য পরিবেশের কিছু দৃশ্য শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।
অনেকদিন নানু বাড়িতে যাওয়া হয় না জন্য এবার প্ল্যান করে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
তাহলে নানুর বাড়িতে গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন। এটি ঠিক বিয়ের পরে মেয়েরা বাবার বাড়িতে ঠিকমতো যেতে পারে না সেখানে আবার নানুর বাড়িতে কিভাবে যাবে। যাই হোক আপনার নানুর বাড়িতে মামা শীতের পিঠা খাওয়ার জন্য ডেকেছে। তবে নানুর বাড়িতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে যারা নদীর পাশে আত্মীয়-স্বজন বা বাড়ি থাকে তাদের নদী নিয়ে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। যাই হোক খুব সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর নানু বাড়িতে গিয়ে বেশ মজা হয়েছিল এবং শীতের পিঠাও খাওয়া হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে অনেকদিন পরে সেদিন সবাই মিলে নানা বাড়িতে গিয়ে ভালো লেগেছিল । ওই পেয়ারা গাছটার কথা তো আমার মনেই ছিল না গাছটা এখনো আছে । আর এই নদীর সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে । সবাই সাঁতরে ওপারে চলে যেত আমি আর আপনি চুপচাপ বসে বসে দেখতাম অনেকদিন পরে সেই স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল ।
কি বলেন পেয়ারা গাছটি দেখেননি? আমি তো পেয়ারা গাছের নিচে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। এখন আর আগের মতন নেই গাছটি। মনে হয় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এটা একদম বাস্তব সত্য আপু, মেয়েদের বিয়ের পর বাবার বাড়ি বলেন, নানুর বাড়ি কোনো জায়গাই যাওয়ার সুযোগ হয়না। যাক, এবার বন্ধু যেহেতহ পেয়েছেন এজন্য তিন বন্ধু মিলে সময়টা কাজেও লাগালেন! নানুর বাড়ির দৃশ্য দেখে আসলে ভালোই লাগছে আপু। কুমার নদীতে আপনারা সাতারঁ শিখতেন এটা জেনে ভালো লাগলো আপু 🌼
ভাইয়া তিন বন্ধু কোথায় পেলেন? আমরা তো তিন বোন মিলে নানুর বাসায় গিয়েছিলাম। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।