গল্প - "সম্পর্ক"

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি গল্প নিয়ে। চাইলে তো গল্প বানিয়ে লেখা যায়, কিন্তু সেগুলো বাস্তব সঙ্গত কতটুকু হয়?সেটাই চিন্তার বিষয়। এজন্যই মানুষের জীবনের সত্যিকারের কাহিনীকে গল্প আকারে লিখতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এগুলো থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। তাই আজকেও একজন মানুষের জীবনের সত্যিকারের কাহিনী নিয়ে এসেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।


rakshabandhan-2717519_1280.jpg
Link



সম্পর্ক


তিতলিরা পাঁচ বোন, এক ভাই। তিতলি ভাইবোনদের মধ্যে সবথেকে ছোট। তিতলি ভাই-বোনদের থেকে বয়সে বেশ খানিকটা ছোট। বয়সে ছোট হওয়ার কারণে বেশ আদরের সবার। তার সব বোনদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে বেশ ভালো ছেলের সাথে। ভাই কে বাবা বিদেশে পাঠিয়েছেন।এভাবেই তিতলির ও বিয়ে হয়ে যায়। তিতলির ভাই বিদেশ থেকে বেশ ভালো ইনকাম করছেন এবং বাবাকেও সাহায্য করছিলো। বাবাও ভালো চাকরি করাতে স্বচ্ছলভাবেই কাটছিল তিতলিদের।। বাকি বোনদেরও খুব ভালো ফ্যামিলিতে বিয়ে হয়েছিলো। তাই তাদের কোন পিছুটান ছিল না।

তিতলির বাবা এরই মাঝে ঢাকায় একটি জায়গা কেনে। কিছুদিন পর সে ভাবে যে জায়গাটি ফেলে রেখে লাভ কি। গ্রাম থেকে কিছু জমি বিক্রি করে নিয়ে বাড়ি করলেও থাকার একটা জায়গা হবে। আর ভাড়া বাসায় থাকতে হবে না। তাছাড়া মাসে মাসে ছেলে তো বেশ ভালোই টাকা পাঠাচ্ছে। তাই তিতলির বাবা গ্রামের কিছু জমি বিক্রি করে তার জায়গাতে ছয় তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে দোতলা পর্যন্ত কমপ্লিট করেন। দোতলায় তারা থাকেন। আর বাকি ফ্লাটগুলো ভাড়া দেয়া। তিতলির শশুর বাড়িও কাছেই। বাকি বোনদের বাসা দূরে। তাই তিতলির বাবা মায়ের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। এভাবেই তাদের ভালো দিন কাটছিল। তিতলির বাবার বয়স হয়েছে তিনিও মারা যান।

তিতলির মা তখন একা হয়ে পড়ে। তারও বয়স হয়েছে দেখাশোনা করার মানুষ নেই। তিতলির শুশুর শাশুড়িরা যেহেতু ভাড়া বাসায় থাকে তাই তিতলির ভাই বোনেরা চাচ্ছিলো তিতলি যেন তাদের বাড়িতেই একটা ফ্ল্যাটে উঠে যায়। তার মা যে ফ্লাটটিতে থাকে সেই ফ্ল্যাটটি বড়। সেটি ছেড়ে পাশের ফ্লাটটিতে যেতে চায় তার মার। তিতলির বড় বাসা দরকার তাই। কিন্তু তিতলি শশুর শাশুড়িসহ এক সঙ্গে বসবাস করে। তাই তাদের শশুর শাশুড়ি চাচ্ছিলো না যে ছেলের শশুর বাড়িতে উঠুক।

তিতলির মা অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে গিয়েছেন এবং তাকে দেখাশোনা করার জন্য কাছের কেউ নেই। তাই তারাও বাধ্য হয়ে রাজি হয়ে যায় ছেলের শ্বশুরবাড়িতে ফ্ল্যাটে ওঠার জন্য। যেহেতু বাবার ফ্ল্যাট তাই তিতলিকে ভাড়া দিতে হতো না। বেশ বড়সড়ো একটি ফ্লাটে তারা থাকতো। তাছাড়া পাশের ফ্লাটে মা থাকে। তাকেও সে দেখাশুনা করতো। দূর থেকে রোজ রোজ আসতে হতো না। ভাই বোনরাও এখন মাকে নিয়ে নিশ্চিত তিতলি কাছে থাকাতে।এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর তিতলির মাও একদিন মারা যান।


পরবর্তীতে কি হয়েছিল তা জানতে অবশ্যই পরের পর্ব পড়তে হবে। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

তিতলির বাবার বুদ্ধিটা বেশ ভালো লেগেছে। কারণ গ্রামে জায়গা ফেলে না রেখে,বিক্রি করে বিল্ডিং করাতে খুব ভালো হয়েছে। তবে সুখ বেশিদিন সহ্য হলো না তিতলির বাবার কপালে। পরপারে চলে গেলেন এবং বেশ কিছুদিন পর তিতলির মা ও চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। তিতলি এবং তার ভাই বোনেরা এতিম হয়ে গেল। বাস্তব গল্পগুলো পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন আমাদের সাথে।

 last year 

বাবাদের ক্ষেত্রে এমনই হয় সুখের সময় আসলে তাদের চলে যাওয়ার সময় হয়ে যায়। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

পড়ে বেশ ভালই লাগলো গল্পটি।বেশ সুখী পরিবারের গল্প। ভাই বোনদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। সুন্দর থাকে যেনো ভাই বোনের সম্পর্ক । স্বার্থের কারনে বর্তমান সময়ের গল্প যেন না হয়। তাই পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

ছোটবেলায় ভাই-বোনদের সুখী পরিবারই থাকে। পরবর্তীতে দেখা যায় সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

 last year 

তিতলির বাবা তো অনেক বুদ্ধি মান ছিলেন। আর তিতলির বাবা শহরে বাড়ি করলো কিন্তু সেই বাড়িতে বেশি দিন থাকতে পারল না।তাকে পরপারে পারি দিতে হলো। যাইহোক তিতলি তো দেখছি শশুর বাড়ির লোকজনকে নিয়ে বেশ ভালোই মাকে দেখাশোনা করল।তবে তার মা মারা যাওয়ার পর তিতলির কি হলো তা জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

আসলে তিতলির বাবা বুদ্ধি করে বাড়িটি করেছিল জন্য তাদের ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 last year 

গল্পটা ভালোই লাগছিল, তিতলীর বাবা ঢাকায় জমি কিনে ধীরে ধীরে সেখানে বাড়ি করে। তিতলীর মা অসুস্থ হওয়া তারা সেই বাসায় সিফট হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তিতলীর মা মারা যায়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

অবশ্যই পরবর্তী পর্ব পড়ে মন্তব্য করে সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

গল্পের এই পর্যন্ত পড়ে তো বেশ ভালোই লাগলো আপু। বেশ সুখী কাহিনি। পরের পর্বে এই বাসা বা জমি নিয়ে পারিবারিক অশান্তি না লাগুক সেটাই কাম্য।কারণ বাস্তবতাই এমন যে জমি-জমা বা অর্থ সম্পদ নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা লেগে যায় এক সময়ে... এখন পরবর্তী পর্ব পড়েই জানতে হবে পরে কী হলো আসলে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু বাস্তব ক্ষেত্রে এই জমি জমা নিয়েই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

প্রত্যেক মানুষের সম্পর্ক মাঝে বেঁচে থাকে। পরিবার এবং ভাইবোন সবাই সম্পর্কের মধ্যে থাকে।তিতলি পরিবারে পাঁচ বোনের মধ্যে ছোট তাদের একটি মাত্র ভাইও আছে। যদিও সবার বিয়ে হয়ে গেছে।তিতলির বাবা মারা গেছে তবে আমার মনে হয় শহরে যে বাড়িটির মধ্যে তিতলি আছে এই বাড়ি নিয়ে কোন রহস্য হবে। যদিও এদিকে তার মা ও মারা গেল। দেখা যাক আপনার পরের পর্বে কি হয় সেই অপেক্ষায় রইলাম। তবে পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

দেখা যাক ভাইয়া এই বাড়িটি নিয়ে কোন রহস্য আছে কিনা। ধন্যবাদ গল্পটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

গল্পটি মনে হয় সামনে বেশ জমে উঠবে। কিন্তু কথা হলো একেবারে প্রসিদ্ধ লেখকদের মত করে এমন জায়গায় দাড়ি টেনে দিলেন যে মনের ভিতর বাইকুম বাইকুম করছে। সেই ছোট বেলার টিভির ধারাবাহিক নাটকের মত করে। তবে তিতলির জন্য কেন জানি আমার খারাপ লাগছে। সব ভাইবোন দূরে থাকে বিদায় বিচারির উপর সব কিছুই পড়লো।

 last year 

এমনিতেই গল্প কেউ পড়তে চায় না। তার উপরে যদি এরকম আকর্ষণ দিয়ে না রাখি তাহলে কি আর পরবর্তী পর্ব কেউ পড়বে? ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

 last year 

সম্পর্ক এমন একটি জিনিস যেই সহজে ফেলে দেওয়া যায় না। তবে তিতলি পরিবারের ছোট এই কারণে হয়তো সবার আদর বেশি পেয়েছে। তবে এখানে কোন কাহিনী হবে দ্বিতীয় পর্বে। কারণ বাবা-মা দুইজন মারা গেল। এবং তিতলি বাবা-মায়ের ফ্লাটে থাকে। এবং বোন ও বেশি কোন বড় ধরনের জামিলা হতে পারে। দেখা যাক পরে পড়বে কি হয় সেই অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি গল্পটি তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।

 last year 

পরিবারের ছোট সন্তান গুলো সবার থেকে একটু আদর বেশিই পায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.17
JST 0.028
BTC 68754.67
ETH 2469.20
USDT 1.00
SBD 2.37