বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরির শেষ পর্ব
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরির আরেকটি পর্ব শেয়ার করবো। সেদিন ঘুরতে ঘুরতে কোন কিছু কেনার না পেয়ে আমরা ভাবলাম যে যেহেতু কিছু কেনা হচ্ছেনা তাহলে বিকাল হয়ে গেছে কিছু নাস্তা খাওয়া যাক। নাস্তা খাওয়ার জন্য ভালো কোন দোকান খুঁজছিলাম। কারণ মেলার দোকানের খাবার খুব একটা ভালো হয় না। ঘুরে ঘুরে একটা দোকানে ঢুকে পড়লাম ফুচকা চটপটি খাওয়ার জন্য। দুই ভাবীর জন্য দুই প্লেট ফুচকা এবং আমার জন্য চটপটি অর্ডার দিলাম। কিন্তু ফুচকা চটপটি আসার পর এক চামচ খেয়ে অবস্থা খারাপ। এত খারাপ ফুচকা চটপটি আমি কোনদিন খাইনি। দেখে মনে হচ্ছিল অনেক দিনের পুরনো খাবার। কোন রকম স্বাদ নেই। এক এক প্লেটে এর দাম নিয়েছিল ১০০ টাকা করে। আমরা এক চামচ খেয়ে উঠে চলে এসেছি টাকা দিয়ে। খাই আর না খাই অর্ডার করেছি টাকা তো দিতেই হবে। কিন্তু এরকম খাবার আমি জীবনে কোনদিন খাইনি। দোকানদারকে বলার পর সে খুবই বিরক্ত হলো। কেউ নাকি তার এই খাবারের কমপ্লেইন আগে করেনি।
চটপটি মুখে দেয়ার পর বমি আসছিল। তাই ভাবলাম যে চা খেয়ে মুখের টেস্টটা ঠিক করা যাক। সামনে দেখলাম যে খুবই বিখ্যাত রাজা চা। এই চা এর রিভিউ আগেও আমি দেখেছি। তাই খাবার আগ্রহ বেড়ে গেল। চা এর বিল দিয়ে টোকেন নিতে হয়। তারপর টোকেন জমা দিলে চা দেয়। মাটির ভাঁড়ে করে চা দেয়। চা এর মধ্যে এরা হরলিক্স, বাদাম এবং গুঁড়া দুধ দেয়। এ জন্য খেতে ভালোই লাগে। কড়া লিকার না হলেও চা টা বেশ ভালোই লেগেছিল। চটপটি খাওয়ার পর মুখের যে খারাপ অবস্থা হয়েছিলো তা অনেকটা কেটে গিয়েছিল এই চা খাওয়ার পর।
চা খাওয়ার পর আবারো ঘুরাঘুরি শুরু করলাম। বিভিন্ন ধরনের কাটার বিক্রির দোকানের সামনে দাঁড়ালাম। এরা এত সুন্দর করে সবজি কাটে দেখতেই ভালো লাগে। কিন্তু এই জিনিসগুলো বাসায় নিয়ে আসলে আর ওদের মত এত সুন্দর করে কাটা যায় না। প্রতিবার এই টার্কিশ ল্যাম্পের দোকানে একবার হলেও যাই। কারণ এত সুন্দর সুন্দর ল্যাম্পের কালেকশন দেখতেই ভালো লাগে। কিন্তু কেনা যায় না, দাম আকাশছোঁয়া।
ঘুরতে ঘুরতে এই চপস্টিক নুডুলসে এর দোকানে এসে দাঁড়ালাম। এখানে নুডুলস বিক্রি করছিল। বেশ ক্ষুধা পেয়েছিল। এজন্য নুডুলসের দোকানে দাঁড়িয়ে নুডুলস খেলাম। নুডুলসগুলোর দামও মোটামুটি কম ছিল। এরা মূলত নুডুলস এর প্যাকেট বিক্রির জন্য কম দামে এই নুডুলস গুলো দিচ্ছিল।
আমরা দুপুরের দিকে মেলায় গিয়েছিলাম। ঘুরতে ঘুরতে প্রায় সন্ধ্যা পার হয়ে গিয়েছে। ততক্ষণে আমরা টুকটাক কেনাকাটা করেছি। বিশেষ করে রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো। তারপর আবারও জ্যাম ঠেলে রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে। ৩০০ ফিটে ওঠার পর মোটামুটি রাস্তা ফাঁকা। খুব দ্রুত চলে আসতে পেরেছি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone 11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপনারা তাহলে শেষের দিকে ফুচকা চটপটি খাওয়ার খারাপ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।এত দাম দিয়ে খাবার সুন্দর না হলে ভালো লাগে না মন।যাইহোক মেলাটি বেশ সুন্দর আর চায়ের নতুনত্ব জেনে ভালো লাগলো।টার্কিশ ল্যাম্পগুলি বেশ আকর্ষণীয় দেখতে।সবমিলিয়ে আপনারা ভালো সময় -ই পার করেছেন,ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু এরকম বাজে ফুচকা খাওয়ার অভিজ্ঞতা আগে কখনো হয়নি। ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি তো দেখছি বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরি ভালোভাবে করেছিলেন। আর আজকে এটার শেষ পর্বটা পড়ে ভালো লেগেছে। ঘুরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে। আর যদি হয় মেলায় তাহলে তো কোন কথা নেই। তবে চটপটি এবং ফুচকার কথাটা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। ফুচকা এবং চটপটির মান খুব একটা ভালো ছিল না বুঝতেই পারতেছি। তবে চা খাওয়ার পর একটু ভালো লেগেছিল জেনে ভালো লাগলো। এরপর আবার নুডুলস খেয়েছিলেন। নিশ্চয়ই নুডুলস গুলো অনেক মজাদার ছিল। খুব ভালো লাগলো আপনার ঘুরাঘুরি করার শেষ পর্ব পড়ে।
জি আপু নুডুলস গুলো বেশ মজা ছিল। এজন্য একবার খেয়ে আবারও কিনেছি পরে।
প্রতিনিয়ত আপনি বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরি করার অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করছেন৷ আজকেও সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করেছেন এবং এই পর্বটি এই ভ্রমণের শেষ পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ এই শেষ পর্বের মধ্যে আপনি খুব সুন্দর কিছু বিষয় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন এবং খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷
আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়ে কিছু কিনতে না পারলেও, ঘুরাঘুরি করেছিলেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিলেন দেখছি। তবে ফুচকা এবং চটপটি খেয়ে বাজে একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে শুনে একটু খারাপ লেগেছে। খাবারের মান যদি ভালো না হয়, তাহলে খেতে একটুও ভালো লাগে না। চা নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছেন। আপনি যে চা টার কথা উল্লেখ করেছেন, এটা আমার কখনো খাওয়া হয়নি। যাই হোক শেষ পর্যায়ে নুডুলস খেয়েছিলেন, আর পরবর্তীতে সবাই মিলে বাসায় চলে এসেছিলেন, সব মিলিয়ে ভালোই ঘুরাঘুরি হয়েছে তাহলে।
শেষের দিকে বেশ কিছু জিনিস কিনেছিলাম । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মেলার ভিতরে ওরা চটপটি ফুচকা বিক্রি করা ঠিকই অনেক বেশি দাম লিখে রাখে । কিন্তু সেই সব খাবার খেতে একটু ভালো লাগে না । বাসী হওয়াটাই স্বাভাবিক কারণ প্রতিদিন সব খাবার তো আর বিক্রি হয় না । কি এমন খাবার খেলে যে সাথে সাথে বমি চলে আসলো আমার তো শুনেই বমি আসছে । মাটির ভারে চা টা মনে হয় ভালই হয়েছিল । এ ধরনের চা গুলো খেতে ভালই লাগে । ভালো লাগলো আপু আপনার মেলায় ঘুরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া দেখে ।
জি আপু চা খেতে খুব মজা ছিলো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাহ বেশ ভালই বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরি করেছেন বেশ সময় নিয়ে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার আবার সেই বাণিজ্য মেলার ঘুরাঘুরির মুহূর্ত মনে করে গেল ।তবে চটপটি অতটা খারাপ জেনে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো। তবে চায়ের দোকান কোথায় ছিল আমি তো সেটা দেখতে পাইনি ।আর ওই ল্যাম্পগুলো সত্যিই চমৎকার। দেখে মুগ্ধ হওয়ার মত ।বেশ ভালো লাগলো আপনার বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরি দেখে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরি দেখে আপনার ঘুরাঘুরির কথা মনে পড়েছে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।