গ্যাংটক শহরের তাসি ভিউ পয়েন্টে ঘুরাঘুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম গ্যাংটক সিটি ট্যুরের নতুন একটি জায়গা নিয়ে। গত পর্বে প্লান্ট কনজারভেটোরি সেন্টারে ঘুরাঘুরি শেয়ার করেছিলাম। সেখান থেকে বের হয়ে আমরা চলে গিয়েছিলাম তাসি ভিউ পয়েন্টে। এটি গ্যাংটক শহরের অন্যতম একটি ভিউ পয়েন্ট। গ্যাংটক শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণীয় জায়গা এটি। কারণ এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং সিনিওলচু পাহাড়ের চমৎকার দৃশ্য দেখা যায়। এটি বেশ খানিকটা উপরে। অনেক দূর সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। একবারে ওঠা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আমরা কিছুটা রেস্ট নিয়ে উঠছিলাম। সবথেকে ভালো বিষয় ছিল যে আমার ছোট ছেলে পুরো সিঁড়ি হেটে উঠেছে। যেখানে আমাদেরই কষ্ট হচ্ছিলো সেখানে ও কষ্ট করে হলেও উঠেছে। কিন্তু আমাদের ভাগ্য খুব একটা ভালো ছিল না। অনেক কষ্ট করে ওঠার পর মেঘ এবং বৃষ্টির কারণে চারপাশের কিছুই দেখতে পারিনি। নিচ থেকে যাও দূরের পাহাড় এবং মেঘ দেখা যাচ্ছিলো, উপরে ওঠার পর তা একদমই দেখা যাচ্ছিল না। তারপরও জায়গাটি বেশ সুন্দর মনে হলো। আকাশ পরিষ্কার থাকলে অসম্ভব চমৎকার একটি জায়গা দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো। তাছাড়া এখানে গ্যাংটকের বিভিন্ন ধরনের পোশাক ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছিলো। সবাই সেগুলো পরে ছবিও তুলেছিলো।
গ্যাংটক শহরের যে জিনিসটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। পুরো শহরের কোথাও একটু ময়লা দেখা যায় না। তাছাড়া রাস্তার পাশ দিয়ে ছোট ছোট টবে সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ লাগানো। যদিও এখন ফুলের সিজন না জন্য সব টবে ফুল ছিল না। কিন্তু কিছু কিছু টবে ফুল ফুটেছিলো। শীতকালে এই ফুলগুলো ফুটলে আরো বেশি চমৎকার লাগবে দেখতে।
এই ছবিগুলো তাসি ভিউ পয়েন্টে যাওয়ার সময় তুলেছি। রাস্তার চারপাশ দিয়ে এত ফুল গাছ লাগানো যে ছবিগুলো না তুলে থাকতে পারলাম না। তাছাড়া ভিউ পয়েন্টের তেমন ছবি তুলতে পারিনি জন্যই যাওয়ার রাস্তার ছবিগুলো শেয়ার করলাম।
আমরা তাসি ভিউ পয়েন্টে চলে এসেছি। নিচ থেকে এরকম আকাশ দেখে ভেবেছিলাম উপরে উঠে আরো চমৎকার দেখতে পাবো। এত সুন্দর মেঘের খেলা পাহাড়ের মধ্যে দেখতে কার না ভালো লাগে।
নিচ থেকে আকাশ বেশ পরিস্কারই ছিল। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে উপরে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। মেঘের জন্য চারপাশে কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। কিছুক্ষণ থেকে চলে এসেছি অন্য ভিউ পয়েন্টে।
আজ এ পর্যন্তই পরবর্তীতে নতুন কোন ভিউ পয়েন্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো, থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
গ্যাংটক সিটি টুরের কয়েকটি পর্ব আমি দেখেছিলাম আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। জায়গাটি যদি আমি উপভোগ করতে পারতাম। নিজেকে ধন্য মনে করতাম। রাস্তাটি অনেক ভালো লাগছিল। গাছপালায় ঘেরা অনেক সুন্দর। ছবিগুলি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। তাসি ভিউ পয়েন্টে যাওয়ার সময় যে ছবিগুলো তুলেছেন চমৎকার ছিল পরিবেশটা। সুন্দর মেঘের খেলা পাহাড়ের মধ্যে অপরূপ।সত্যি বলতে আপনার এই ফটোগ্রাফি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো এবং আমি মনকে প্রশান্ত দিতে পারলাম। নিচ থেকে আকাশটা বেশ পরিষ্কারই ছিল এবং এই মুহূর্তটি আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন জানিনা যদি কখনো সৌভাগ্য হয় তাহলে আমরা খুব কম খরচের মধ্যে সাজেক ঘুরে আসবো। আমার খুব শখ আকাশটি দেখা। অনেক ভালো লাগলো
ইনশাআল্লাহ ভাইয়া একদিন আপনিও উপভোগ করতে পারবেন। ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপু কি ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন বলেন তো? ছুটে চলে যেতে মনে চাইছে প্রকৃতির এমন সুন্দর জায়গায়। তাসি ভিউ পয়েন্টের প্রকৃতি কিন্তু সত্যিকারের অর্থে বেশ সুন্দর। যদিও আপনারা বেশ উপরে উঠে গিয়েছিলেন কিন্তু তাতে কি কোন কিছুই তো ভালো দেখতে পেলেন না। তার চেয়ে তো নীচেই ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপু তাসি ভিউ পয়েন্টের এত সুন্দর দৃশ্য শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফিতে তো তেমন সুন্দর লাগছে না। সামনাসামনি আমার কাছে মনে হয় এর থেকে বেশি সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আপনার ছেলে দেখছি আপনাদের থেকেও সাহসী বেশি। এতোদূর পর্যন্ত সিড়ি বেয়েই উপরে উঠে গেল। মেঘের দেখা না পেলে আশেপাশের পরিবেশটা এনজয় করতে পারতেন। তবে চারপাশের পরিবেশটা আমার কাছে ভালোই লেগেছে আপু 🌼
আসলেই ভাইয়া এবারের ট্যুরে বাচ্চারা খুবই সাপোর্ট করেছে। তা না হলে এরকম পাহাড়ে ওঠা সম্ভব ছিল না।
হ্যাঁ উপরের ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে রাস্তাগুলো কতটা পরিষ্কার আর রাস্তার দুই পাশের ছোট ছোট গাছগুলো সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে। উপরে উঠে যেন মেঘের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা দারুন ছিল পুরো দৃশ্যগুলো।
উপরে গিয়ে আমরাও বেশ হতাশ হয়েছিলাম। নিচে থেকে খুব ভালো লাগছিল দেখতে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার ছেলের তো দেখছি বেশ ভালোই সাহস। যেখানে আপনাদেরই কষ্ট হচ্ছিলো সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে, সেখানে আপনার ছেলে উঠে গিয়েছে। এই ট্যুরের অন্যান্য পর্বের মতো এই পর্বটিও বেশ উপভোগ করলাম। আকাশে মেঘের খেলা দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক গ্যাংটক শহরের তাসি ভিউ পয়েন্টে ঘুরাঘুরি করে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। ফটোগ্রাফি গুলোও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বিশেষ করে ছোট ছেলে বেশি উৎসাহ নিয়ে সিঁড়িগুলোতে উঠেছে। বড় ছেলে যদি একটু বিরক্ত করেছে। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গ্যাংটক শহরের তাসি ভিউ ঘুরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো আবার সুন্দর সুন্দর ছবিও দিয়েছেন আমরাও দেখে নিতে পারলাম । পোশাক ভাড়া নিয়ে আপনারাও দুই একটা ছবি তুলতে পারতেন আমরা একটু দেখে নিতাম ।তাসি ভিউ পয়েন্টের আকাশের ছবি অসাধারণ হয়েছে মেঘের ভেতরের অসাধারণ কিছু ছবি তুলেছেন সত্যি অপূর্ব লাগছে।
আসলে বৃষ্টির মধ্যে এরকম পোশাক নিয়ে পড়তে ইচ্ছা করল না। এজন্য আর আগ্রহ দেখায়নি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।