লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে চিংড়ি দিয়ে লাউ এর রেসিপি শেয়ার করবো। শীতকাল আসলে লাউ খেতে খুবই ভালো লাগে। যদিও লাউ এখন বারোমাস পাওয়া যায়। কিন্তু শীতকালীন লাউয়ের যে মজা তা অন্যান্য সিজনে পাওয়া যায় না। সেদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম পূর্বাচলের ঐদিকে।পূর্বাচলের ঐদিকটায় গ্রামের একেবারে টাটকা সবজি পাওয়া যায়। সবজি গুলোর দাম তুলনামূলকভাবে এখানের সবজি থেকে অনেক বেশি। একটি লাউ সেদিন কিনেছিলাম ১২০ টাকা দিয়ে। বাসায় এনে লাউ রান্না করার মনে হল যে ১২০ টাকা দিয়ে কিনেও এমন লাউ খাওয়া যায়। এত কচি ছিল লাউটি। লাউ চিংড়ি মাছ দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। এ জন্য চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রান্না করেছিলাম। খুবই মজা হয়েছিল রেসিপিটি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
লাউ
পিঁয়াজ
কাঁচামরিচ
পিঁয়াজ বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
ধনিয়া গুড়া
জিরা গুড়া
ধনিয়া পাতা
লবণ
সরিষার তেল
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি। পিঁয়াজ,মরিচ কুচি ভেঁজে বাটা মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে গুড়া মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর সব মশলা ভালোমতো কষিয়ে নিয়ে চিংড়ি মাছগুলো দিয়েছি।
চিংড়ি মাছ গুলো মসলার সঙ্গে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে লাউ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
জিরা গুড়া দিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করেছি।
লাউ থেকে যে পানি বের হয়েছে তা দিয়ে লাউ অনেকটা সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি পুরোপুরি সিদ্ধ হওয়ার জন্য। বেশ কিছুক্ষণ রান্নার পর রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে। এ পর্যায়ে ধনিয়া পাতা দিয়ে দিয়েছি।
আরো কিছুক্ষণ রান্নার পর ঝোল কমে আসলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এভাবে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেল। এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি খেতে খুবই মজাদার হয়,লাউ এবং চিংড়ির মধ্যে আলাদা একটি সম্পর্ক রয়েছে । আমাদের বাড়িতে প্রায়ই এই রেসিপিটি তৈরি করা হয়। শীতকালীন লাউ এর তরকারি খেতে এমনিতেই অনেক সুস্বাদু লাগে। চমৎকার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
একদিন এভাবে লাউ খাওয়ার পর এত মজা লেগেছে এখন মাঝেমধ্যেই এভাবে রান্না করি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের।আর লাউ ঠান্ডা জাতীয় তরকারী তাই বেশ ভালোই লাগে খেতে।আপনার রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে।এটা দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু শীতকালে লাউ খেতে অন্যরকম মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন শীতকালীন সময়ে লাউ সবজি খেতে খুবই মজা লাগে। আজকে দারুন একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউয়ের সবজির। তাছাড়া ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ ঘন্টো করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে । আমার কাছে আপনার রেসিপি তৈরি খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শীতকালীন সময়ে এই ধরনের গরম গরম রেসিপি একদম পারফেক্ট।
আসলেই ছোট মাছ দিয়ে লাউয়ের ঘন্ট খেতে অন্যরকম মজা লাগে। অনেকদিন হল এভাবে ঘন্ট করে খাওয়া হয়না। আপনার কথা শুনে মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আসলে আপনি ১২০ টাকা দিয়ে লাউ কিনেছিলেন। তবে লাউটি অনেক কচি ছিল যার কারণে রেসিপিটা খেতে বেশি মজা হয়েছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন থেকে আমার খুবই ভালো লাগলো।
দাম বেশি হলেও লাউটি খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
একটা লাউ এর দাম ১২০ টাকা, একসময় ১৫-২০ টাকা দিয়েও লাউ কিনতে দেখেছি। যাই হোক লাউ আর চিংড়ি মাছের কম্বিনেশনটা খুবই লোভনীয় হয়। পরিবেশন করা রেসিপিতে চিংড়ি মাছ গুলো দেখে তো আরো বেশি লোভ লেগে গেল।
সেই দিন কি আর আছে। এখন সবকিছুই দাম বেশি। প্রতিটি সবজির দাম তো আকাশছোঁয়া। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
লাউ এর সাথে যেন চিংড়ি মাছের আলাদা একটা সম্পর্ক রয়েছে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি লাউ এর সাথে চিংড়ি মাছ রান্না করলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে এই ধরনের রেসিপি গুলো সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু লাউ আবার চিংড়ি মাছের কম্বিনেশনটাই অন্যরকম। খেতেও তেমন সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু আমরা যদি কোন কিছু দাম বেশি দিয়ে কিনে ফেলি, পরবর্তীতে ওই জিনিসটা যদি ভালো লাগে তাহলে সেই দামের কথাটা আর মনে থাকে না। তাছাড়া পরবর্তীতে কিন্তু আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার চিংড়ি মাছ দিয়ে কচি লাউ রান্নার রেসিপি দেখে তো আমার লোভ লেগে গেল। আসলে চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রান্না করলেই সব থেকে বেশি ভালো লাগে খেতে। আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
দাম বেশি দিয়ে ভালো জিনিস খেতে সমস্যা নেই। কিন্তু দাম বেশি দিয়ে কেনার পর ভালো না হলে তখনই সমস্যা। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু লাউ দিয়ে আপনার চিংড়ি মাছের রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে। চিংড়ি মাছগুলো বেশ বড় মনে হচ্ছে ।তবে অনেকদিন হয় লাউ খাই না। লাউয়ের দাম এত হয়েছে তা তো জানতাম না ।তবে আপনার রেসিপিটি কিন্তু বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু চিংড়ি মাছগুলো একটু বড় সাইজের ছিল। এজন্যই খেতে বেশি ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
লাউ ভীষণ সুন্দর একটি সুস্বাদু সবজি।শীতকালে যেন এই সবজিটির সুস্বাদ দ্বিগুণ বেরে যায়।আর আপনি এই সুস্বাদু সবজিটিতে লোভনীয় চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করেছেন। নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল খেতে রেসিপিটি।ধাপে ধাপে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
শীতকালে যেরকম কচি লাউ পাওয়া যায় অন্য সময় এরকম লাউ পাওয়া যায়না জন্য শীতকালে খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।