নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছানো

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম ইন্ডিয়া ট্যুরের গল্প দিয়ে। এর আগের দিন আপনাদের সঙ্গে ট্রেনে ওঠা পর্যন্ত শেয়ার করেছিলাম। আজকে তারপরে কিভাবে জলপাইগুড়িতে পৌঁছলাম তা শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে যদি কেউ ট্রেনে জলপাইগুড়িতে যেতে চান।
সেদিন ট্রেন চালু হওয়ার পর কিছুক্ষণ পরেই বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়েছিল। কেবিন নেওয়ার কারণে বাচ্চারা বেশ আরামেই ঘুমিয়েছিলো। পুরো রাস্তা আমাদের মোটামুটি ভালই ঘুম হয়েছিল। যদিও মাঝখানে বেশ কয়েকবার ঘুম ভেঙেছে ট্রেনের ঝাকিতে। কিন্তু তারপরও আমার মনে হয় যে বসে বসে জার্নি করার থেকে রাতের বেলায় শুয়ে জার্নি করাই আরামের। কিছুটা হলেও ঘুমানো যায়। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে কোন টেনশন করতে হয় না। চেয়ারে বসে বাচ্চারা ঘুমালে বারবার পড়ে যাওয়ার চিন্তা করতে হয়। কেবিনে এই ঝামেলাটা নেই। আমরা রাতে কম ঘুমালেও সকালে জার্নি করতে পারবো। কিন্তু বাচ্চারা রাতে কম ঘুমালে সারাদিন বিরক্ত করবে। কারণ ট্রেন থেকে নামার পর দীর্ঘ জার্নি ছিল আমাদের।


1000007696.jpg


1000007695.jpg


সকালে ঘুম ভাঙার পর প্রকৃতি দেখতে দেখতে আমরা ইন্ডিয়ার বর্ডারে চলে আসি। আটটার দিকে আমরা ইন্ডিয়ার বর্ডার পার করেছি। এ সময় ট্রেনের বাংলাদেশী কর্মীরা সব নেমে গিয়েছিল বাংলাদেশ বর্ডারে। তারপর ইন্ডিয়ায় ঢোকার পর ইন্ডিয়ার ট্রেনের কর্মীরা উঠেছিল। ইন্ডিয়া ঢোকার পর ইন্ডিয়ান টিটির কাছে বাংলাদেশী টিটি সকল যাত্রী ডিটেইলস দিয়ে এবং প্রতিটি কেবিন চেক করে তারপর নেমে যায়।


1000007694.jpg

1000007699.jpg

1000007698.jpg


ইন্ডিয়া বর্ডারে ঢোকার পর খুব বেশি সময় লাগেনি নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছাতে। দুই ঘন্টা সময় লেগেছিল। বেশ কয়েকটি ছোট বড় স্টেশন পার হয়ে আমরা নিউ জলপাইগুড়ি জংশনে পৌঁছাই। নিউ জলপাইগুড়ি জংশন অসম্ভব বড়। এত বড় জংশন আমি আগে কখনো দেখিনি।


1000007701.jpg


1000007703.jpg


এখানে নামার পর লম্বা লাইন ধরতে হয় ইমিগ্রেশন এর জন্য। আমাদের ভাগ্য ভালো আমরা যেখানে নেমেছি তার পাশেই লাইন শুরু হয়েছে। এজন্য আমরা লাইনের শুরু দিকেই দাঁড়াতে পেরেছি। তা না হলে দূরে নামতে হলে কয়েকশো লোকের পিছনে পড়তে হতো। বাচ্চাদের নিয়ে লম্বা সময় দাঁড়িয়ে থাকে বেশ কষ্টকর হত। শুরুর দিকে হলেও মোটামুটি এক দেড় ঘন্টা লেগেছে আমাদের ভিতরে ঢুকতে।
ভিতরে ঢোকার পর কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমাদের সিরিয়াল আসে। খুবই বিরক্ত লাগছিল। বাইরে কয়েকশো লোক দাঁড়িয়ে আছে আর তাদের মধ্যে কোন জলদিই নেই। খুব হেসে খেলে তারা কাজ করছে এজন্য আরও বেশি সময় লাগছে।


1000007697.jpg


ইমিগ্রেশন এর কাজ শেষ হওয়ার পর সবচেয়ে কষ্টকর বিষয়টি ছিল ষ্টেশনের একপাশ থেকে অপর পাশে যাওয়ার। প্রায় তিন চার তলা উঁচু ওভারব্রিজে উঠতে হয়েছে তারপর অনেক দূর পর্যন্ত হেঁটে পার হতে হয়েছে। যেহেতু আমাদের গাড়ি আগে থেকেই ঠিক করা ছিল সেজন্য খুব একটা ঝামেলা হয়নি। আমরা নেমেই গাড়িতে উঠে গিয়েছি গ্যাংটক যাওয়ার উদ্দেশ্যে।


1000007704.jpg


1000007705.jpg


আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব গ্যাংটক যাওয়ার পথের অভিজ্ঞতা এবং খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

আমিও একবার গিয়েছিলাম নিউ জলপাইগুড়ি। তবে বাংলাদেশ থেকে এভাবে ট্রেনে করে সরাসরি ইন্ডিয়া যাওয়া হয় নি কখনোই। দুই দেশের দুই পাশে ইমিগ্রেশন টা না হয়ে যদি এক পাশে হলেই কাজ হয়ে যেতো তাহলে মানুষের দুর্ভোগ কিছু টা হলেও কমতো। তবু ভালো যে আপনাদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় নি আপু। সত্যি বলতে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া যেভাবেই যাওয়া হোক না কেন, একটু না একটু ঝামেলা পোহাতেই হয়। প্লেনে গেলেও তিন ঘণ্টা আগে গিয়ে বসে থাকা। বাসে গেলেও আরেক ধকল। সেদিক থেকে ট্রেন জার্নি টা বেশ সস্তির আর আরামদায়ক।

 10 months ago 

একপাশে হলে ভোগান্তিটা আরো কিছুটা কম হতো। যাই হোক কিছু তো আর করার নেই। এভাবেই যেতে হবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 10 months ago 

হ্যাঁ আপু যারা ট্রেনে চড়ে ইন্ডিয়া যাবে, তারা আপনার এই পোস্ট পড়ে বেশ উপকৃত হবে। যাইহোক কেবিন নেওয়াতে বেশ সুবিধা হয়েছে আপনাদের। আরামে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যেতে পেরেছেন। ইন্ডিয়ার বর্ডার ক্রস করে তো তাহলে বেশি সময় লাগে না নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছাতে। তবে নিউ জলপাইগুড়িতে তো দেখছি বেশ লম্বা সিরিয়াল দিতে হয় ইমিগ্রেশন এর কাজ শেষ করতে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 10 months ago 

জি ভাইয়া বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার জন্যই আলাদাভাবে কেবিনের টিকিট কেটেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59834.01
ETH 2665.66
USDT 1.00
SBD 2.46