পূর্বাচলে ঘুরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে ছেলের স্কুলে স্পোর্টসের প্রোগ্রাম ছিল। প্রোগ্রামটি দুপুর ৩ টায় শুরু হয়েছিল। সন্ধ্যার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যার সময় বাসার ফেরার সময় ভাবলাম যে বিকালের খাবারটা বাইরে কোথাও থেকে খেয়ে যাই। যেহেতু পূর্বাচলের ওইদিকে স্কুল তাই নীলা বাজারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। নিলা বাজারে শীতের সময় হাঁসের মাংস এবং চিতই পিঠার খুব নাম রয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই বাজারে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছি। কিন্তু এরকম বিকেল বেলায় হাঁসের মাংস এবং চিতই পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। এবার নীলা বাজারের বেশ খানিকটা ভেতরের দিকে চলে গিয়েছিলাম। একেবারে নদীর পাশে। যাওয়ার পরে দেখলাম যে নদীর পাশে সারিসারি অসংখ্য রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এগুলো কিন্তু বর্তমান সময়ে ডেকোরেশনওয়ালা রেস্টুরেন্ট গুলোর মত না। একেবারে সাদাসিধা রেস্টুরেন্ট। বেশিরভাগ দোকানেই একই খাবারের আইটেম চিতই পিঠা, চাপড়ি এবং হাঁসের মাংস। এর বাইরে অন্য কোন আইটেম কোন দোকানেই দেখলাম না। এজন্য আমরা গাড়ি পার্কিং করা যায় এমন একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে এরকম একটি দোকানে ঢুকে পড়লাম খাওয়ার জন্য।


IMG_8559.jpeg


IMG_8464.jpeg


দোকানটিতে ঢুকে একেবারে আমরা নদীর সাইডে চলে গেলাম। এখানে বসে নদীর পরিবেশ দেখতে খুব ভালো লাগছিল। সন্ধ্যার সময় সূর্য ডোবার টাইম। তাই চারপাশে কেমন লালচে একটা ভাব ছিল। অসম্ভব ভালো লাগছিল এরকম পরিবেশে বসে থাকতে। তারপর আমরা খাবার অর্ডার দিয়ে দিলাম। মাটির চুলায় গরম হাঁসের মাংস, চাপরি আর চিতই পিঠা।


IMG_8462.jpeg


IMG_8460.jpeg


চিতই পিঠা আর চাপরি বানানো হয়ে গেলে আমাদের খাবার দিয়ে দিল। এখানকার চাপরিগুলো একটু অন্যরকমের। এরকম চাপরি আমি আগে কখনো খাইনি। আমার বড় ছেলে তো খুবই পছন্দ করেছে। খাচ্ছিলো আর আমাকে জিজ্ঞাসা করছিল আমি এরকম চাপরি বানাতে পারি কিনা। এত মজা করে তাকে আগে কখনো খেতে দেখিনি।


IMG_8470.jpeg


IMG_8471.jpeg


হাঁসের মাংসের সঙ্গে আমরা মুরগির মাংস অর্ডার দিয়েছিলাম। মুরগির মাংসের অবশ্য ছবি তুলতে মনে নেই। তাছাড়া তিন রকমের ভর্তা এবং আলু ভাজিও দিয়েছিল।


IMG_8472.jpeg


IMG_8473.jpeg


সন্ধ্যার সময় এরকম খাওয়া দাওয়া করে এক কাপ চা না খেলে চলে। এখানে বিভিন্ন ধরনের চা পাওয়া যায়। এরকম মাটির ভারে চা গুলো দেয়। মালাই চা যেহেতু অনেকবার খেয়েছি তাই তান্দুরী চা খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তান্দুরি চা আমি আগে কখনো খাইনি। খুবই ভালো লেগেছে এই চা আমার কাছে। এই চায়ের ভিতর বাদাম, হরলিক্স, গুড়া দুধ দেয়া থাকে। যার জন্য খেতে আরো বেশি ভালো লাগে।


IMG_8459.jpeg


IMG_8475.jpeg


খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিলাম। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 months ago 

ভ্রমণে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া আর ঘোরাঘুরির সুন্দর বর্ণনা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। বেশ অনেক কিছুই জানতে পারলাম আপনার এই পোষ্টের মধ্য থেকে। এদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশের দৃশ্যগুলো কিন্তু চমৎকার ছিল। সব মিলে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।

 6 months ago 

আমার পোষ্টের মাধ্যমে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 6 months ago 

নীল বাজারের রেস্টুরেন্ট এ দেখছি আপনি খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আপু।গরম হাসের মাংস,চিতই পিঠা, চাপড়ি,মুরগির মাংস,কয়েক রকমের ভর্তা। ওঃ অসাধারণ রাতের খাওয়া করেছেন আপু আপনি সন্তানদের নিয়ে।নদীর পাশে থেকে সূর্য ডুবার মুহূর্ত আরো বেশি ভালো লাগে আসলেই।আর তন্দুরি চা খেতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে।আপনি আসলেই একটি দারুন একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আপু। আর আমাদের সাথে তা শেয়ার ও করেছেন।ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া নদীর পাড়ে সূর্য ডোবার মুহূর্তগুলো খুব ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 6 months ago 

কালকে খুঁজে খুঁজে অনেক হয়রানি হলাম তাহলে এই ব্যাপার। পূর্বস্থলী গিয়েছেন ঘোরাঘুরিও খাওয়া-দাওয়া করতে। আমাকে রেখেই চলে গেলেন। নদীর সাইডের দৃশ্যটি বেশ চমৎকার ছিল। এখানে বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটানো যাবে। হাঁসের মাংস তো আমার ভীষণ প্রিয়। আপনারা দেখছি বেশ সুন্দর খাওয়া দাওয়া করেছেন এবং সব আইটেমগুলো বেশ দারুন ছিল। দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন মুহূর্তগুলি।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

কালকে যায়নি তো। অনেকদিন আগে গিয়েছিলাম। শেয়ার করা হয়নি। এজন্য দেরি করে শেয়ার করলাম।

 6 months ago 

পূর্বাচলের নীলা মার্কেটে বেশ কয়েকবার গিয়েছি তবে হাঁসের মাংস খার ভাগ্য এখনো হয়নি। তবে আবার ইচ্ছা আছে শীতের সিজনে নীলা মার্কেটে গিয়ে হাঁসের মাংসের রেসিপি খাওয়ার। নীলা মার্কেটে গিয়ে হাঁসের মাংসের রেসিপি সহ তান্দুরি চা খেয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 6 months ago 

কি বলেন ভাইয়া নীলা বাজার তো হাঁসের মাংসের জন্যই বিখ্যাত। এর পরেরবার গেলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। খুব ভালো লাগবে আশা করি।

 6 months ago 

আমিও বেশ কিছুদিন আগে এখানে গিয়েছিলাম চাপরি, হাঁসের মাংস ,তান্দুরি চা খেয়েছিলাম ।আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার সেই পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। খাবারগুলো বেশ ভালই লাগে খেতে ।তবে নদীর পানিতে প্রচুর গন্ধ থাকে ।তাছাড়া সব কিছু ভালই ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।

 6 months ago 

জি আপু আপনিও গিয়েছিলেন দেখেছি। কিন্তু আমরা যেখানে বসেছিলাম সেখানে পানিতে গন্ধ ছিল না।

 6 months ago 

আপনি পূর্বাচলে ঘুরাঘুরি করে পছন্দের মজার খাবার খেলেন। তবে হাঁসের মাংস দিয়ে চাপরি আর চিতই পিঠা খেতে খুব মজা লাগে। আসলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজার খাবার গুলো খেলে নিজের কাছে অন্যরকম তৃপ্তি লাগে। তবে বর্তমানে অনেক ধরনের চা রেস্টুরেন্টে দেখা যায়।তান্দুরী চা এর নাম প্রথম শুনলাম আমি। তবে তান্দুরী চা আপনি প্রথম খেয়েছেন। আর যাই হোক পূর্ব অঞ্চল ঘুরাঘুরিও খাওয়া-দাওয়া মুহূর্ত আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন।

 6 months ago 

আমিও তান্দুরি চা প্রথম খেয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিল আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।

 6 months ago 

নদীর ধারে রেস্টুরেন্টগুলো মানুষকে বেশি মুগ্ধ করে। আপনারা পূর্বাচলে ঘোরাঘুরি এবং মজার খাবার খেলেন। তবে হাঁসের মাংস দিয়ে শীতল পিঠা এবং অন্যান্য পিঠা ও রুটি খেতে বেশ মজা লাগে। আর গরম গরম হাঁসের মাংস দিয়ে পিঠা খেতে অন্যরকম তৃপ্তি পাওয়া যায়। তবে আপু খুব মজা করে রেস্টুরে খাওয়া খেলেন এবং চা প্রাণ করলেন। সত্যি আপু আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা গেল খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং পছন্দের খাবার খেলেন।

 6 months ago 

নদীর ধারে রেস্টুরেন্ট হওয়ার কারণে খুব ভালো একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

 6 months ago 

আমিও কিছুদিন আগে পূর্বাচলে গিয়েছিলাম। ঐদিকে হাসেঁর মাংসটা বেশি পাওয়া যায়। আমি অবশ্য হাসেঁর মাংস খায়নি। আমি বাদে আমার সাথে যারা ছিল সবাই হাঁসের মাংস খেয়েছে। আমি গরুর মাংস আর রুটি খেয়েছিলাম। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। অনেক কিছু খেয়েছেন। ধন্যবাদ।

 6 months ago 

ওখানকার হাঁসের মাংসই তো বেশি মজা। আর আপনি সেটাই মিস করে ফেলেছেন। এর পরের বার গেলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। ভালো লাগবে।

 6 months ago 

নীলা বাজারের হাঁসের মাংস চিতই পিঠার গল্প শুনে আমার তো খেতেই মন চায় । শীতের সময় আপনাদের ওদিকে গেলে কখনো খাওয়া হবে জানি না কবে । আপনার আজকের খাবার গুলো দেখে তো আমার কাছে খুব খেতে ইচ্ছা করছে । ভালোই ঘোরাফেরা করেছেন আর খাওয়া-দাওয়া করেছেন সাথে আমাদেরকে লোভ দিয়ে দিলেন ।

 6 months ago 

আসেন এইদিকে একদিন আপনাকে নিয়ে যাবো। ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 66181.33
ETH 2700.56
USDT 1.00
SBD 2.88