মোবাইল কেনা নিয়ে বিড়ম্বনা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে হাসবেন্ড এর মোবাইল কেনা যে বিড়ম্বনায় পরেছিলাম তা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বেশ কিছুদিন আগে আমার হাসবেন্ড একটি মোবাইল কিনেছিল apple gadgets থেকে। মোবাইলটি হলো গুগলের pixel 6। এই মোবাইলটি ৫২০০০ টাকা দিয়ে কিনেছিল। অনেকের কাছ থেকে শুনে, অনেক রিভিউ দেখে এই মোবাইলটি কিনেছিল। সবাই খুব ভালো বলেছিল মোবাইলটা সম্পর্কে। কিন্তু মোবাইলটি কেনার পর বাসায় আনার পর একটি সমস্যা শুরু হলো। নেটওয়ার্কের সমস্যা। নেটওয়ার্ক খুব কম পায়। মাঝে মাঝে ফোন করলে কথা শোনা যায় না, কেটে যায়। দুই সপ্তাহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে দেখেছে কিছুতেই কাজ হচ্ছিলো না। এত টাকা দিয়ে মোবাইল কেনার পর যদি আসল জায়গায় সমস্যা হয় তখন কেমন লাগে। যখন মোবাইলে এই সমস্যা শুরু হলো তখন অফিসের অনেকেই শুনে বলছে যে তাদের অনেকেরই এমন হয়েছে। কিন্তু কেনার আগে যাদের কাছে শুনেছে তারা সবাই ভালোই পেয়েছে। ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আরকি।
তারপর অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখলো যে এই মোবাইল দিয়ে চলবে না। এটা চেঞ্জ করতে হবে। যেখান থেকে কিনেছে সেখানে ওদের বললো যে আমার মোবাইল ভালো লাগছে না আমি এক্সচেঞ্জ করবো। মোবাইলে সমস্যার কথা বলেনি। তাহলে ওরা বলতো যে ঠিক করে দেই। নতুন মোবাইল খুলে একবার ঠিক করলে তা বেশিদিন ভালো থাকে না। যাই হোক ওরা জানালো যে এক্সচেঞ্জ করলে ৪০০০০ টাকা দিবে। ১২০০০ টাকা লস। তিন সপ্তাহের জন্য এতগুলো টাকা লস। কি আর করার বিপদে পরলে যা হয় আরকি। তাতেই রাজি হলো।
তারপর আমার হাসবেন্ড সিদ্ধান্ত নিলো যে one plus 9rt কিনবে। এই মোবাইলটিই আগে কেনার কথা ছিল। কি মনে করে আবার ওটা কিনে এই সমস্যায় পরলো। আমরা যখন গেলাম চেঞ্জ করতে ওখানে লোক তখন বলে যে ৩৬০০০ টাকা দিবে। তখন আমার হাসবেন্ড রাগ হয়ে বলে যে আমি তো কথা বলেই আসছি কাস্টমার কেয়ারে। তাহলে এখন আবার দামাদামি কেন করছেন। আমি কি মোবাইল বিক্রি করতে আসছি নাকি। কাস্টমার কেয়ারের ওই লোকের সঙ্গে কথা বলেন। হাসবেন্ড যখন অনেক রেগে গেছে তখন ভিতর থেকে আরেকজন এসে ওই ৪০০০০ টাকাতেই রাজি হলো।
এদের আবার অনেক ঝামেলা। চেঞ্জের জন্য এক জায়গা। আবার বিক্রির জন্য আরেক জায়গা। আমরা অনেকক্ষন অপেক্ষা করলাম ওদের সব ফর্মালিটিস পালন করা পর্যন্ত। তারপর মোবাইল চেক করে রিসিট দিলো।
রিসিট নিয়ে আবার গেলাম অন্য দোকানে মোবাইল নেয়ার জন্য। এই মোবাইলটি ওর জন্য আগেই বুকিং দিয়ে রেখেছিলো কাস্টমার কেয়ারের ওই লোক। তাই আমরা যাওয়ার সঙ্গেই দিয়ে দিলো।
অবশেষে one plus 9rt মোবাইলটি ৪৫০০০ টাকা দিয়ে কিনলো। আগে থেকে এইটা কিনলে তো আর এত টাকা ডেমারেজ দিতে হত না। যাই হোক অবশেষে এত গুলো টাকা ডেমারেজ দিয়ে অন্য মোবাইল নেয়া হলো। টাকা গেলেও এখন কিছুটা শান্তিতে মোবাইল ব্যবহার করতে পারছে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone 11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
কোনো কিছু কেনার পর যদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে তা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার হয়ে যায়। তার উপর এতো গুলো টাকার জিনিস। মাত্র কটা দিনের ব্যবধানে ১২ হাজার টাকা লস এটা মানতে অনেক কষ্ট হওয়ার কথা।এতকিছুর পরে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ফোন কিনতে পেরে ভাইয়া নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছিলো আপু? মোবাইল ফোন নিয়ে বিড়ম্বনার গল্প টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
তাইতো আপু এত অল্প দিনের ব্যবধানে এতগুলো টাকা লস দিতে ইচ্ছা করে। কিন্তু কি আর করার বিপদে পরলে তো দিতেই হয়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
বাংলাদেশের সব জায়গায় বিড়ম্বনা, কোন কাজ সহজে হয়না। মানুষ মনে হয় কিছুটা সুযোগ পাবার জন্য অপেক্ষায় থাকে। আপনাদের সমস্যাটা খুব সহজেই মিটিয়ে ফেলতে পারতে, কিন্তু বেশ কিছুটা বিড়ম্বনা দিয়েছে আরকি। যাক শেষ পর্যন্ত স্বস্তির ফোন কিনতে পেরেছেন আপনারা এটাই বড় বিষয়।
এখানে দোকানদারদের কোন সমস্যা ছিল কিনা বুঝতে পারিনি। কারণ এরা ইনটেক দিয়েছিলো। ভাগ্য খারাপ সেজন্যই এমন হয়েছে হয়তো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৫২০০০ টাকা দিয়ে মোবাইল ফোন কেনার পরে যদি এত পরিমাণে ঝামেলা হয় তাহলে কষ্ট লাগা স্বাভাবিক। আসলে আপু কিছু অসৎ লোকের কারণে মানুষকে এরকম বিরম্বনার শিকার হতে হয়।সব শেষে ৪৫০০০ টাকা দিয়ে one plus 9rt মোবাইলটি কিনেছেন।
এই ঝামেলার জন্যই তো এতগুলো টাকা লস দিয়ে আবার অন্য আরেকটি কিনতে হল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
এভাবে যে কোন জিনিস কেনার আগে সবাই বলে ভালোই ছিল কিন্তু কেনার পর যদি বলে খারাপ তাহলে তো ভীষণ রাগ হওয়ারই কথা। তিন সপ্তাহের জন্য এত টাকা লস হয়ে গিয়েছে।। কিছু করার নেই যেহেতু কিনে ফেলেছিলেন তাই টাকা লস হওয়ার কথা। এখন যে মোবাইলটি কিনেছেন ওটা মনে হচ্ছে ভালোই চলবে তাহলে। এভাবে মোবাইল কেনার সময় যদি বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয় তাহলে সবারই মাথা গরম হয়। যাই হোক শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
আমারও শুনে খুবই রাগ হয়েছিল যাদের সমস্যা তারা আগে কেন বলেনি। যাইহোক লস হয়ে হলেও ঝামেলা সমাধান হয়েছে তাই অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে।
৫২০০০ টাকা দিয়ে মোবাইল কিনে বেশ ভালোই বিপদে পড়েছিলেন দেখছি। তিন সপ্তাহ ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু আসল জায়গাতেই সমস্যা হয়েছে। পরে ১২০০০ টাকা লস হয়েছে আপনাদের এটা জেনে খারাপ লাগলো। আশাকরি এবারের মোবাইলটি সুন্দরভাবে চলবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো এ বিষয়টি। এরকম কাজে যদি বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয় তাহলে তো খারাপ লাগার কথা।
কি আর করার আপু ঝামেলা পুষে রেখে তো লাভ নেই। লস করে হলেও সমাধান করাই ভালো হয়েছে। এখন অনেকটা আরামে মোবাইল ইউজ করছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার হাজব্যান্ড মোবাইল কিনে দেখছি অনেক বড় একটা সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল আসলে এত টাকা দিয়ে ফোন কেনার পরে যদি ভালো নেটওয়ার্ক না থাকে তাহলে নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে। বিশেষ করে পছন্দের কিছু যদি হঠাৎ করেই নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আরও বেশি খারাপ লাগে আপনার হাসবেন্ড হয়তোবা খুবই কষ্ট পেয়েছিল যাইহোক অবশেষে কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে তাদের সঙ্গে একরকম বিড়ম্বনা করেই অন্য আরেকটি মোবাইল নিয়েছে। এটা ভালোমতো ব্যবহার করতে পারছে জেনে খুবই খুশি হলাম।
মোবাইলের আসল জায়গায় সমস্যা পাওয়া গেছে অন্য কোন সমস্যা হলে তাও ম্যানেজ করা যেত। কিন্তু নেটওয়ার্ক সমস্যা হলে তো আর কিছু করার নেই। এজন্যই চেঞ্জ করা। ধন্যবাদ আপনাকে।
জানেন তো আপু ইলেকট্রনিক কোন জিনিস আমার কপালে ভালো টিকে না। বেশ কয়েকটা ফোন চেঞ্জ করতে হয়েছে। তাই আমি চিন্তা করেছি আমি বেশি দাম দিয়ে কখনোই ফোন কিনব না। কোন রকম চললেই হলো। তবে এত দাম দিয়ে ফোন কেনার পর যদি এমন সমস্যায় ভুগতে হয় , এই দুঃখ রাখার যেন আর জায়গা হয় না। লস হলেও ফোনটা যে চেঞ্জ করতে পারছেন এটাই বড় কথা। আশা করি ওয়ান প্লাসের সার্ভিসটা অনেক ভালো হবে। আর হ্যাঁ, ছোট ভাগ্নেকে খুব মিষ্টি লাগছিল ❤️।