গ্রাম বাংলার কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে গ্রাম বাংলার কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। গ্রাম আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এই জন্যই তো শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা উঠলেই আমি এক পায়ে রাজি হয়ে যাই। শহরের কোলাহল থেকে কিছুদিন মুক্তি পাওয়া যায়। চারিপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। ঢাকায় তো সবুজ খুঁজেই পাওয়া যায় না। তাছাড়া কচি ধানের সিজনে গেলে একরকম ভালো লাগে আবার পাকা ধানের সিজনে অন্যরকম সৌন্দর্য। কোনো সৌন্দর্যই কম নয়। একবার সবুজের সৌন্দর্য তো আরেকবার সোনালী ধানের সৌন্দর্য। এইবার যখন গিয়েছিলাম তখন সবুজ ধানের সিজন ছিল। যেদিকে তাকাই সেদিকেই সবুজ। চোখ জুড়িয়ে যায় দেখলে। আমার শ্বশুর বাড়ির সামনে যেই রাস্তাটি আছে সেই রাস্তার দুই সাইড দিয়ে ধান ক্ষেত লাগানো। বিকেল বেলায় এই রাস্তার উপরে গিয়ে বসতে এত ভালো লাগে যে কি আর বলবো। শহরের রাস্তার মতো এতো যানবাহনে থাকেনা। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন সূর্য ডুবতে বসেছিলো। সূর্য ডোবার সময় যে লাল আভা প্রকৃতিতে পরে সেই মুহূর্তে প্রকৃতি দেখতে আরো বেশি চমৎকার হয়ে যায়। সেরকম কিছুই ফটোগ্রাফি করেছি। তাই ভাবলাম যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
দুই ধান ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে চিকন রাস্তা। এই রাস্তাটি দেখে মনে হচ্ছে যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে অনেক দূরে চলে যাই। অসম্ভব সুন্দর লাগছিল দেখতে।।
উপরের ছবিটি বাড়ির পাশে একটি বাগানের ছবি। এই বাগানে গিয়ে বসে থাকলে এত মিষ্টি বাতাস এসে গায়ে লাগে খুব খুব ভালো লাগে তখন। নিচের ছবিটি বাড়ির উঠানে বসে তুলেছি। আকাশ এবং নারিকেল গাছটি দেখতে এত ভালো লাগছিল যে সাথে সাথে ছবি তুলে ফেলেছি।
এই সেই রাস্তা যেখানে বিকাল বেলায় বসে থাকলে সামনে বিশাল ধান খেতে পাওয়া যায়। আর ধানক্ষেত থেকে যে হালকা বাতাস ভেসে আসে তা একদম শরীর শীতল করে দেয়।
আমরা যখন রাস্তার পাড়ে বসে ছিলাম তখন এক সাইডে সূর্য লাল হয়ে ডুবে যাচ্ছিল এবং অন্য সাইডে চাঁদ আকাশে উঠে গিয়েছিল। এক পাশে চাঁদ এবং এক পাশে সূর্য দেখতে অসম্ভব ভালো লাগছিল।
রাস্তায় যখন যাচ্ছিলাম তখন সামনে এরকম একটি পুকুর দেখলাম। পুকুরের পরে সূর্য ডোবা দেখতে খুব ভালো লাগছিল এবং দুই গাছের ফাকা দিয়ে দেখতেও খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিল।
এই ছিল আমার এলোমেলো গ্রাম বাংলার কিছু ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Hi, @tania69,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
যখন গ্রামে থাকতাম প্রত্যেকদিন সকালবেলা হাঁটতে যেতাম এবং এরকম সূর্য ওঠা দেখতাম। কতদিন আর গ্রামে এলোমেলো পথে হাঁটা হয় না। পথের দু'ধারে এরকম ফসলে ভরপুর ছিল এবং দেখতে খুবই ভালো লাগতো সকালবেলায় শিশির ভেজা রাস্তায় ঘাস।ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিলো আপু।
সকালবেলায় সূর্য ওঠা দেখতে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু শহরে আর সেটা দেখার সুযোগ কই। যাই হোক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গ্রামে ঘুরতে যেতে আমারও অনেক ভালো লাগে কিন্তু আপনার মত আমার সেই সুযোগটা নেই। আপনার তো শ্বশুরবাড়ি গ্রামে হওয়ার কারণে আপনি মাঝে মাঝে যেতে পারেন আমরা তো তাও পারি না। ঠিকই বলেছেন পাকা ধানের সিজনে এক রকম সৌন্দর্য আর কাঁচা ধানের সিজনে একরকম সৌন্দর্য দুটোই অসাধারণ লাগে আমার কাছেও। আপনার ছবিগুলো কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছে। বিশেষ করে প্রথম ছবিটা খুবই চমৎকার হয়েছে। রাস্তাটা দূর পর্যন্ত চলে গিয়েছে দেখতে খুবই ভালো লাগছে। রাস্তার পাড়ে বসে এক সাইডে সূর্য ডোবা অন্য সাইডে চাঁদ ওঠার দৃশ্যটা কিন্তু চমৎকার উপভোগ করেছেন।
আপু আপনি চাইলে আমার সঙ্গে আমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ভালো লাগবে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় কাটালে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গ্রামের এমন ধান ক্ষেত দেখেই তো যেতে ইচ্ছা করতেছে আপনার শ্বশুর বাড়িতে।আহা!!এমন জায়গায় যদি বিকেল বেলায় বসে আড্ডা দেওয়া যায় কিযে মজা হবে বলে বোঝাতে পারবো না আপু।দুই ধারে ধান ক্ষেত এমন দৃশ্য দেখি না অনেকদিন হচ্ছে আপু।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরেরবার যাওয়ার সময় আপনাকে নিয়ে যাব রেডি হয়ে থাইকেন। ঠিক বলেছেন আপু বিকেলবেলায় আমরা এখানে বসে আড্ডা দেই। খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেক খুশি হলাম আপু ধন্যবাদ
চমৎকার কিছু গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। গ্রামের দৃশ্য গুলো আমার অনেক পছন্দের তাছাড়া উত্তরবঙ্গ মানেই সবুজে ঘেরা জনপদ।
আপনার মত গ্রামের প্রকৃতি আমারও খুবই পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
গ্রামের এই সবুজ পরিবেশ কার না ভালো লাগে!! শহরে আর মনই টিকে না এখন। কেমন যেন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি দিনদিন। ছবি গুলো দেখে ইচ্ছে করছিল, ধানক্ষেতের ঐ রাস্তা টা দিয়ে যদি আমিও হাঁটতে পারতাম!! হিমেল হাওয়ায় যদি নিজেকে মেলে ধরতে পারতাম! কতোই না ভালো লাগতো! চমৎকার কিছু মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন আপু। ভালো থাকবেন।
গ্রামের এই প্রকৃতি খুব ভালো লাগে আমার কাছে। কিন্তু বেশি দিনের জন্য না। অল্প কিছুদিন যাওয়ার পর আর থাকতে ইচ্ছা করে না । নিজের বাসায় ফিরে আসতে ইচ্ছা করে তখন। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে কার না ভালো লাগে বলুন। প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমরা যারা শহরে থাকি তারা এই প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো তেমন দেখি না এবং নির্মল বাতাস আমরা পাইনা। আপনার প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই মনমুগ্ধকর ছিল। সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে আমার কাছে ধানক্ষেতের ফটোগ্রাফি নারকেল গাছের ফটোগ্রাফি এবং সূর্য ডোবার ফটোগ্রাফিটি খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু শহরে থাকলে এই প্রাকৃতিক দৃশ্য তেমন দেখা হয় না আর নির্মল বাতাসও পাওয়া হয় না। এজন্যই তো মাঝেমধ্যে ছুটে যাই এ প্রকৃতির মাঝে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই গ্রাম বাংলার প্রকৃতি যেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে ফসলের মাঠের দৃশ্য এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।
গ্রাম বাংলার এত সৌন্দর্য কি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। তারপরও চেষ্টা করেছি ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন, আমিও যখন গ্রামে যাই পাকা রাস্তার দুই পাশ দিয়ে বিস্তীর্ণ ধান খেত দেখতে খুব ভালো লাগে। এই সময়ে চারিদিকে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এরকম সবুজের মাঝে বসে থাকতে কখন যে সবুজে হারিয়ে যাই বুঝতে পারি না। অনুভূতিগুলো খুব ভালো লাগলো পড়তে সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে আপনাদের উঠানে নারিকেল গাছের উপর দিয়ে আকাশ দেখে আমিও চোখ সরাতে পারছিনা। আর সূর্যাস্তের দৃশ্য তো সবসময় অসাধারণ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া রাস্তায় দাঁড়ালে চারপাশে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। ধান ক্ষেত শেষ হলেই শুরু হয়ে যায় আকাশ। খুব ভালো লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আরে বাহ অসাধারণ গ্রাম বাংলার প্রতিটি ফটোগ্রাফি ৷ আপনি শশুর বাড়ি এসে গ্রামের প্রকৃতির সাথে বেশ চমৎকার সময় পার করেছেন ৷ আর এটা ঠিক যে গ্রামের প্রতিটি জায়গা যেন মনকে সতেশ করে তুলে ৷
অনেক ভালো লাগলো সবুজ শস্য শ্যামলা রুপ সৌন্দর্য তুলে ধরার জন্য ৷
গ্রামের চারপাশে এত সবুজ প্রকৃতির মনকে সতেজ তো করবেই। সেজন্যই গ্রামের গেলে মনটা অনেক ফ্রেশ হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।