আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব আলু দিয়ে শোল মাছের ভুনা। শোল মাছ খেতে খুবই মজা লাগে যদি এভাবে আলু দিয়ে ভুনা করা যায়। শোল মাছের উপকারিতা অনেক। শোল মাছ হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ছোট বেলায় অনেক বেশি শোল মাছ খাওয়ালে তাদের হাড় মজবুত হয়। শোল মাছ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, আবার রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আমাদের বাসায় প্রায় শোল মাছ খাওয়া হয় বাচ্চাদের জন্য। শোল মাছে খুব বেশি কাটা থাকে না। এজন্য খেতেও সুবিধা হয়। তাছাড়া একটু ঝাল ঝাল করে রান্না করলে তো আরো মজা লাগে। যদিও আমি বেশি ঝাল দিয়ে রান্না করতে পারি না কারণ বাচ্চাদের জন্য। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে আমার আজকে রেসিপিটি শুরু করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
শোল মাছ--১ টি
আলু-- ২ টি
পিঁয়াজ-- ৩ টি
কাঁচামরিচ-- ২ টি
পিঁয়াজ বাটা-- ৩ টেবিল চামচ
আদাবাটা--১ চা চামচ
রসুন বাটা--১চা চামচ
হলুদের গুঁড়া--১.৫চা চামচ
মরিচের গুঁড়া--১.৫চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া--১চা চামচ
জিরা গুড়া--১চা চামচ
লবণ-- পরিমাণ মতো
সরিষার তেল-- পরিমাণ মতো
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপেন বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেলগুলো গরম হলে এর মধ্যে আলু গুলো দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়ে উঠিয়ে রেখেছি।
ওই তেলের মধ্যে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি গুলো দিয়ে হালকা ভেঁজে তারপর বাটা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো দিয়ে সামান্য একটু কষিয়ে নিয়ে গুড়া মশলাগুলো সব দিয়ে দিয়েছি। তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ মসলাগুলো কষিয়ে নিব।
মসলাগুলো ভালোমতো কসানো হয়ে গেলে তার মধ্যে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
মাছগুলো মসলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর আবারো বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব। তারপর ভেঁজে রাখা আলুগুলো দিয়ে দিয়েছি।
আলু গুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে আবারও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব। তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য।
বেশ কিছুক্ষণ রান্নার পর আমার রান্না প্রায় শেষের দিকে। এখন জিরা গুড়া দিয়ে দিয়েছি।
যেহেতু আমি এটি ভুনা করবো সেজন্য আরো কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে ঝোল শুকিয়ে নিয়েছি। তারপর চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এভাবে আমার আজকের রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেল। এখন একটি বাড়িতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
শোল মাছের এতো গুন আছে আমি জানতাম না।আমি শোল মাছ খুব বেশি খাই না। তবে এর উপকারিতা দেখে মনে হচ্ছে খেতে হবে।আপনার রেসিপি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। শেষে ভাজা মশলার গুড়া দিয়েছেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
অবশ্যই আপু এত উপকারী মাছ না খেলে কি চলবে। বাচ্চাদের জন্য তো আরো বেশি উপকারী। খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু দিয়ে শোল মাছ ভুনা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। শোল মাছ দিয়ে ভাত মাখিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। আর ঝাল ঝাল হলে তো কোন কথাই নেই। আপনার রেসিপিটি দেখে খুব শোল মাছ খেতে ইচ্ছা করছে কারণ অনেকদিন যাবত এই মাছটি আমার খাওয়া হয় না। এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু শোল মাছ আলু দিয়ে ঝাল ঝাল করে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমার রেসিপিটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আলু দিয়ে মজাদার শোল মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। এই শোল মাছের রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে।এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া দেখতে যেমন সুস্বাদু হয়েছিল খেতেও তেমন সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু দিয়ে শোল মাছ সেই মজাদার একটা রেসিপি।আমার শোল মাছ খুব প্রিয় একটা মাছ ।ঠিক বলছেন আপু শোল মাছ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, আবার রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।মাছ রান্না করলে এমনি অনেক মজা হয়,তার সাথে শোল মাছ তাহলে কথা নাই।আপনার রেসিপি লুকটা সেই হয়েছে আপু ।
শুনে খুশি হলাম যে আপনার পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
শোল মাছের বিভিন্ন উপকারিতা শেয়ার করেছেন আপনি আপু। এতে আসলেই অনেক উপকারিতার দিক রয়েছে ।শোল মাছ এমনিতে আমার ভীষণ পছন্দ। আপনার রেসিপিটি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি কতটা মজার হয়েছে।
জি আপু শোল মাছের অনেক উপকারিতা আছে। এগুলো বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আলু দিয়ে শোল মাছের রেসিপি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। সত্যি বলতে গত কয়েকদিন আগে আমাদের একটি পুকুর ছেঁকেছিল সেখান থেকে কিছু শোল মাছ পেয়েছিলাম। আমার আম্মু রান্না করেছিল খেতে আসলে খুব সুস হয়েছিল। আপনার শোল মাছ দেখে মনে হচ্ছে মাছের পেটে ডিম হয়ে গিয়েছে। যাইহোক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনি পুকুর সেচে শোল মাছ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু শোল মাছের এত উপকারিতা তা জানা ছিল না। আমার কাছে শোল মাছ খেতে একদমই ভালো লাগে না। আপনার কাছ থেকে আজকে এত কিছু জানতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তাহলে মনে হচ্ছে এখন থেকে শোল মাছ খেতেই হবে। আপনার রেসিপি দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে মনে হচ্ছে খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু শোল মাছ এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন খুবই মজা লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আলু দিয়ে শোল মাছ ভুনা খেতে খুবই ভালো লাগে। আসলে আগে বিভিন্ন জলাশয়ে খালে বিলে অনেক শোল মাছ পাওয়া যেতো বর্তমানে অনেক কম পাওয়া যায়। আপনার শোল মাছ ভুনার রন্ধন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুব চমৎকারভাবে প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
বাজারে গেলে তো অনেক শোল মাছ পাওয়া যায়। আমার শোল মাছের রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন শোল মাছের উপকারিতা অনেক। শোল মাছ হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। আপনি খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে আপনার রেসিপিটি। সত্যি আমার ভীষণ ভালো লাগে শোল মাছ খেতে। আপনার রেসিপি দেখে আমার খুবই লোভ লেগে গেছে।
আমার আলু দিয়ে শোল মাছের রেসিপিটি আপনার কাছে লোভনীয় লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।