বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বাচ্চাদের স্কুলে দিলে চাইলেই কোথাও যাওয়া যায় না। স্কুল ছুটির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তাইতো পূজার ছুটি হওয়ার সাথে সাথেই বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম। বাবার বাড়ি কিন্তু বাবাই নেই। আব্বু মারা যাওয়ার পর আর বাসায় যাওয়ার সুযোগ হয় নি। গ্রীষ্মের ছুটিতে আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু স্কুলের ছুটি ক্যান্সেল করে দিলো জন্য আর যাওয়া হয়নি। যাদের বাবার বাসা আর শশুর বাড়ী একই এলাকায় তাদের জন্য কিছুটা সুবিধা। ছুটি পেলেই এক দিকে গেলেই হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের মত যাদের শশুর বাড়ী আর বাবার বাসা আলাদা তাদের খুব সমস্যা হয়। ছুটি পেলে একদিকে গেলে অন্য দিকে যাওয়া হয় না। এই জন্যই তো এত দিন আসা হয়নি।


IMG20231020142224.jpg


বাসস্ট্যান্ড এ আসার পর মনে হলো যে এখন যাওয়ার সিদ্ধান্ত একবারেই ভুল হয়েছে। এত ভিড় ছিলো যে এক ঘন্টা পরের টিকিট পেয়েছি। যেখানে ১৫ মিনিট পর পর বাস। আজকেই স্কুলগুলোতে ছুটি শুরু হয়েছে জন্য সবাই বাড়ির দিকে যাচ্ছে। একঘন্টা পর বাস আসলো। আমরা বাসে উঠার পর সায়েদাবাদ থেকে থেকে বাস ছাড়ার পর থেকে বেরোতে অনেক সময় লেগেছে।


IMG20231020115301.jpg


IMG20231020133615.jpg


অবশেষে আমরা পদ্মা সেতুর টোল দেয়ার জায়গায় চলে এসেছি। এখানে আসতে ১৫ মিনিট সময় বেশি লেগেছে জ্যাম থাকার কারণে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খুবই ভালো লাগে। এত চমৎকার রাস্তা চারপাশ দেখতে দেখতে সময় পার হয়ে যায়। তাছাড়া এবারে চারপাশের পরিবেশটা আরো বেশি সুন্দর ছিল। চারপাশ দিয়ে সাদা কাশফুলে ভর্তি ছিল।


IMG20231020133627.jpg


IMG20231020134107.jpg


দূরে রেল লাইন দেখা যাচ্ছে। নতুন রেললাইন একদম পরিষ্কার। তাছাড়া একটি রেলগাড়িও ছিল লাইনের উপরে। যদিও চলছিল না। রাস্তার মাঝখান দিয়ে এরকম ফুল গাছ লাগানো ছিল। ফুল গাছগুলোতে বিভিন্ন কালারের খুব সুন্দর ফুল ফুটেছিল। দেখতে ভালো লাগছিল।


IMG20231020134130.jpg


IMG20231020141437.jpg


পদ্মা সেতুর উপর থেকে পদ্মা নদী দেখে মনে হচ্ছিল যে সাদা মাঠ। পানিগুলো এত স্থির ছিল। খুব ভালো লাগছিল দেখতে। ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারলাম না। এত সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি না করে থাকা যায়।


IMG20231020135618.jpg


IMG20231020142232.jpg


কাশফুল, বিভিন্ন রকমের ফুল এবং চারপাশের প্রকৃতি দেখতে দেখতে আমরা অবশেষে সুস্থ মতো ফরিদপুরে পৌঁছে গিয়েছি।


IMG20231020142736.jpg


এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 9 months ago 

ডিসকর্ডে আলোচনা শুনছিলাম পোস্ট করার আগেই তাওহীদা ম্যাডাম বলছিল মন খারাপ 🥺কেন মন খারাপ? সে বললো তানিয়া তার বাবার বাড়ি গেছে আমাকে ছেড়ে। একা একা৷ জ্বি আপু কোথাও যেতে হলে এখন বাচ্চাদের স্কুল ছুটির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। যেমন আমার হচ্ছে কি পাঁচ মিনিট লাগে শ্বশুর বাড়ি যেতে 🫡🫡🫡।প্রথমে তো মনে হচ্ছে টিকিট নিয়ে একটু ভোগান্তিতেই পড়েছিলেন আপু। ইশ পদ্মা সেতু যে কবে দেখতে পাব নিজ স্বচক্ষে আপনি পদ্মা সেতুর ওপর পদ্মা নদীর পিকচার আমাদের মাঝে চলে দিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো

 9 months ago 

জ্বী ভাইয়া তৌহিদা আপু অল্প দিন থাকবো জন্য আসেনি। সে একবারে অনেকদিন থাকার জন্য আসবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 9 months ago 

অনেকদিন ধরে যাওয়া যাওয়া করছেন শেষ পর্যন্ত চলে গিয়েছেন ভালো হয়েছে । আমি তো গেলাম না আমি যখন যাব তখন আবার যাবেন । ঠিকই বলেছেন পদ্মা ব্রিজের ওই রাস্তাটা সত্যি অনেক ভালো লাগে । কোথা দিয়ে যে সময়টা চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না । আর এখন তো চারিদিকে কাশফুলের টাইম । এমনিতেই রাস্তা দিয়ে অনেক কাশফুল দেখা যায় । এখনতো কাশফুল ও অন্যান্য ফুল আরো বেশি দেখা যাবে ।

 9 months ago 

আসলেই অনেক দিন ধরে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। তেমন সুযোগ হচ্ছিল না তাই এবার আর মিস করলাম না। পরবর্তীতে একসঙ্গে যাব আশা করি।

 9 months ago 

বাচ্চাদের স্কুলে দিলে আর কোথাও যাওয়া হয় না। ছুটির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।আর এটা ঠিক ই বলেছেন বাবার বাড়ি,শ্বশুর বাড়ি দুজায়গায় হলে খুব সমস্যাই হয়ে যায়। ব্রিজটি সুন্দর করেছে খুব।ফুলগাছগুলোর জন্য আরো বেশী ভালো লাগছে।ঢাকার মধ্যে ই যত জ্যাম।সবাই ছুটি কাটাতে যাচ্ছে। তাই হয়তো এতো জ্যাম।আশাকরি সুস্থভাবে পরিবারকে নিয়ে বাবার বাড়ি পৌঁছে যাবেন। ধন্যবাদ আপু।

 9 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের স্কুলে দিলে তাদের ছুটির জন্য বেড়ানোর শিডিউল করতে হয়। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।

 9 months ago 

আপু আপনার পোস্টের টাইটেল দেখেই কেমন যেন বুকের মধ্যে করে উঠল ।আসলে আব্বু চলে যাওয়ার পরে এবারই আপনার প্রথম আশা ।বাবার বাড়িতে আসার পর বাবাকে দেখতে না পাওয়া টা কতটা কষ্টের তা আমি জানি। তবে বেশ ভালোভাবেই পৌঁছেছেন জেনে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ।

 9 months ago 

ধন্যবাদ আপু আমার পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 

আসলেই আপু এটা ঠিক বলেছেন, ছুটির সময় বাবার বাড়ি গেলে শ্বশুর বাড়ি যাওয়া হয়না। আপনার বাবা নেই জেনে খারাপ লাগলো, উনার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। তবে আপনার সুবাধে পদ্মা সেতু দেখার একটা ফিল পেলাম আপু। পদ্মা সেতুর চারপাশটা আসলেই অনেক সুন্দর আপু। পাশেই রেললাইন। তবে আপনি কি ভালোভাবে পৌঁছেছেন আপু?

 9 months ago 

শ্বশুরবাড়ি আর বাবার বাড়ি দুই জায়গায় হলে এই এক সমস্যা। এক জায়গায় গেলে অন্য জায়গায় যাওয়া হয় না। আপনি হয়তো পোস্টটি শেষে পড়েননি। ভালোভাবে পৌঁছেছি লিখেছিলাম।

 9 months ago 

আসলে বাচ্চারা যখন স্কুলে ভর্তি হয় তখন আর বাবা-মায়েদের সহজে কোথাও যাওয়া হয় না। তাই বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হলেই সবাই বেরিয়ে পড়ার চেষ্টা করে কোথাও না কোথাও। তার জন্যই মূলত বাচ্চাদের স্কুল ছুটি দিলে বাসস্ট্যান্ডে অনেক ভিড় দেখা যায়। যাই হোক পদ্মা সেতুর পরিবেশটা দেখে বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

পূজার ছুটিতে সবাই বাড়ি যাচ্ছিল জন্য এত ভিড় ছিল। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 9 months ago 

হ্যাঁ আপু যাদের বাবার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি আলাদা জেলায় তাদের জন্য বাচ্চাদের ছুটি পেলে বেড়াতে যেতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এটা ঠিক বলেছেন যাদের বাবা নেই তাদের বাবার বাড়ি শুধুই নামে বাবার বাড়ি। যাই হোক আপনি অবশেষে পদ্মা সেতু দিয়ে বাবার বাড়ি যাচ্ছেন দেখে ভালো লাগলো। এখন সব জায়গায় পূজোর ছুটি চলছে বলে টিকেট কেটে বাসের জন্য বসে থাকতে হয়। আপনার যাত্রা শুভ হোক। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 9 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু পূজার ছুটি চলছে জন্যই এত ভিড় ছিল রাস্তাতে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

 9 months ago 

ডিসকর্ডে তৌহিদা আপুর কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম আপনি ফরিদপুর যাচ্ছেন বাবার বাসায়। পূজার ছুটি তো সেজন্য বাস, ট্রেন, লঞ্চে ভিড় হওয়াটা স্বাভাবিক এখন। পদ্মা সেতু উদ্ভোদনের কিছুদিন পর সরাসরি দেখার সুযোগ হয়েছিল। বেশ সুন্দর লেগেছিল দেখতে, একেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। যাইহোক চারপাশের এতো সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে সুস্থভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

জি ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়েছিলাম পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 

বাবার বাড়ি কিন্তু বাবাই নেই।

কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো আপু। বাবা না থাকলেও বাবার বাড়ির নামটা ঠিকই থেকে যায়।

যাইহোক,পদ্মা সেতুর ওই রাস্তাটা সত্যিই অনেক সুন্দর। রাস্তার দুইপাশে অনেক অনেক কাশফুল এবং রাস্তার মাঝখানেও অনেক রংবেরঙের ফুল ও দেখা যায়। আমিও কিছুদিন আগে এই পদ্মা সেতু হয়ে আমার বাবার বাড়ি গিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির সাথে বাবার বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

পদ্মা সেতু হয়ে আপনাদের বাড়ি যেতে গেলে তো অনেক দূর ঘুরতে হয়। যাই হোক তারপরও ফেরির ঝামেলায় পরতে হয় না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 9 months ago 

আমার বাবার বাসা তো যশোর।ঢাকা থেকে যশোর যেতে হলে তো পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে বেশি সুবিধা হয় আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64599.25
ETH 3467.96
USDT 1.00
SBD 2.55