রয়েল টিউলিপ হোটেলের সামনে ঘুরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম কক্সবাজারের অন্য একটি জায়গার কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব রয়েল টিউলিপের সামনের বীচের কিছু ফটোগ্রাফি। আমার প্রথম থেকে অনেক ইচ্ছা ছিল রয়েল টিউলিপে থাকার। কিন্তু এটি অনেক দূরে হওয়ার কারণে আমার হাজবেন্ড কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। পরে আর কি করার দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য এর সামনে থেকে ঘুরে এসেছি। সেই সামনের জায়গাটি এত সুন্দর করে সাজানো দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য জায়গাটি খুবই চমৎকার। কক্সবাজারের মত এত ভিড় এখানে নেই। এখানে আপনারা কাপল গেলে খুবই এনজয় করবেন। সামনে যারা সিঙ্গেল থেকে মিঙ্গেল হবেন তারা অবশ্য এখানে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। খুব ভালো সময় কাটাতে পারবেন😜😝। আমরা যেদিন ইনানী বিচে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেদিন ফেরার পথে এই জায়গায় থেমেছিলাম এবং কিছু সময় কাটিয়ে ছিলাম। আমার বাচ্চারাও খুবই মজা করেছে জায়গাটিতে। আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছে জায়গাটি। তাহলে কথা না বাড়িয়ে আপনাদের সঙ্গে এর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করি। তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন জায়গাটা নিরিবিলি কত সুন্দর ছিল।
উপরের ছবি তিনটি রয়েল টিউলিপের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তুলেছি। যেহেতু আমরা ভিতরে যায়নি বাইরে থেকেই দাঁড়িয়ে দেখলাম হোটেলটি। খুব সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। ভিতরে নিশ্চয়ই আরো অনেক বেশি চমৎকার হবে।
এখানে এ রকম একটি নৌকা সাজানো ছিল। সবাই ওখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল। আমারও খুব ইচ্ছা ছিল একটি ছবি তোলার। কিন্তু লোকজনের কারণে তুলতে পারিনি। কি আর করার দূর থেকে একটি ছবি তুলে নিয়ে চলে এসেছি।
বাচ্চাদের জন্য এরকম কিছু জায়গা ছিল। আমার বড় ছেলে উঠেছে এখন ছোটটার না উঠলে তো চলবে না। ভাইয়া উঠেছে ওখানে ওকে তো বসতেই হবে। অনেক বুঝিয়ে বড়টাকে নামিয়ে তারপর ছোটটাকে বসিয়ে দিলাম।
দূরে যে ব্রিজের মত দেখতে পাচ্ছেন সেটি কিন্তু ইনানী বিচের ও অনেক পরে। কিন্তু এখান থেকে দেখে মনে হচ্ছে যে কত কাছে।
এখানে এরকম সিঁড়ি দেওয়া ছিল সিঁড়ি দিয়ে নেমে আপনারা বীচে যেতে পারবেন।
সবশেষে এভাবে বসে বসে চা খেতে কিন্তু ভুলবেন না। চা খেতে খেতে অবশ্যই এরকম একটি ছবিও তুলতে হবে🤭🤭।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার ব্লগটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
@tania
| Photography | @tania |
|---|---|
| Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
রয়েল টিউলিপ হোটেলের সামনে অনেক সময় কাটিয়েছেন দেখা যাচ্ছে। অনেক মজা করেছেন বোঝা যাচ্ছে দেখে। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ও করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কাটানো একটা সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্যও।
কক্সবাজারের এই সৌন্দর্যময় জায়গায় ভ্রমণ এবং সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্যি ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে ছোট বাবু সুন্দর ভাস্কর্যের উপর বসে আছে এবং ব্যঙ গুলোর ভাস্কর্য দেখে আমি খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল।
ব্যাঙগুলোর ভাস্কর্য দেখে আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছিল। কি স্টাইলে বসে আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি সুন্দর ছিল। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ব্যাংগের ছবিগুলো 😁😁। সত্যি দেখে খুব হাসি পাচ্ছিল। আপনার ছেলেকে ভাল লেগেছে দেখে খুব খুশি খুশি মনে হচ্ছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
ব্যাঙগুলো আসলে হাস্যকর ছিল। এত সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছিলো যে দেখতে ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কক্সবাজারের এই সৌন্দর্য সত্যিই খুবই ভালো লাগে। আপনার মত আমিও এই জায়গাটা আমি গিয়েছিলাম। একটা কথা ঠিক বলেছেন লোকজনের জন্য সেই ভাবে ছবি তোলা যায় না। আমারও কিরকম একটা আনইজি ফিল হয়। কিন্তু নৌকাটা সাজানো বেশ ভালো লাগলো। আপনি নৌকার ছবি তুলতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো। মুহূর্তটা অনেক এনজয় করছিলেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমরা দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারিনি। তাই শুধু নৌকার ছবিটি তুলতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য।
জায়গা টা আসলে খুবই সুন্দর যা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আর আপনি খুবই সুন্দর করে এর ফটোগ্রাফি করেছেন সত্যি বলতে এত সুন্দর লাগছে প্রশংসা করার ভাষা আসলে নেই। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
রয়েল টিউলিপের আপনার থাকার ইচ্ছে থাকলেও থাকতে পারেননি। হোটেলটি অনেক সুন্দর ছিল আপু। কাপলদের জন্য এবং যারা সিঙ্গেল থেকে মিঙ্গেল হয়েছেন তাদের থাকার জন্য হোটেলটি বেস্ট হবে। হোটেলের খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছে। হোটেলের সামনের ব্যাকগ্রাউন্ড আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত অগণিত বার যাওয়া হলেও ইনানী বীচে কখনো যাইনি। এমনকি এই রয়েল টিউলিপ হোটেল ও দেখা হয়নি। আমার দৌড় ওই লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত। তবে আপনার তোলা ছবিগুলো বেশ ভালো লাগলো। সাগরের মধ্যে দূরে একটা সেতুর মতো কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম ওটা কি ছিল বুঝতে পারলাম না।
আসলে ওটা কি ছিল আমিও জানিনা। বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসা করার পরেও জানতে পারিনি কি ছিল। আমার ইচ্ছা ছিল সেতুরতে যাওয়ার কিন্তু যাওয়ার রাস্তা বন্ধ ছিল। এইজন্য আর যাওয়া হয়নি। এর পরের বার কক্সবাজার গেলে অবশ্যই ভাইয়া এসব জায়গায় ঘুরে আসবেন খুবই ভালো লাগবে।