আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
হাজবেন্ডের অসুস্থতার কারণে বেশ কিছুদিন হল বাসা থেকে একদমই বের হওয়া হয় না। শপিং করা আমার খুবই পছন্দের। আর বেশ কিছুদিন হল শপিং করা হয় না । আমার আবার কিছুদিন পরপর শপিং এ না গেলে ভালো লাগেনা। কয়েকদিন কেনাকাটা বন্ধ থাকলে মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে যে কি কেনা যায় কি? শপিংমলে না গেলেও অনলাইনে কেনাকাটা তো আছেই। প্রায় দিনই বাসায় কোন না কোন পার্সেল আসতে থাকে। কিছুদিন পার্সেল আসা বন্ধ থাকলে আমার হাজবেন্ড জিজ্ঞাসা করে কি হল তোমার আজকে কোন পার্সেল নেই 🙈🙈।
ছুটির দিন হওয়াতে চলে গেলাম শপিং করতে। যেহেতু আমার বাসার পাশেই যমুনা ফিউচার পার্ক সেজন্য এই শপিংমলে বেশি আসা হয়। কারণ এখানে সবকিছু পাওয়া যায়। বাইরে থেকে আর কিছু কেনার প্রয়োজন পড়ে না। আমার কাছে অবশ্য যমুনা ফিউচার পার্কের থেকে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স বেশি পছন্দের। কিন্তু এটি বাসা থেকে একটু দূর হওয়ার কারণে ওখানে যাওয়া খুবই কম হয় ।অনেকদিন পর শপিংয়ে যাওয়ায় ঘোরাঘুরি একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। অনেক ঘোরাঘুরির পর ক্লান্ত হয়ে কিছু খাওয়া দাওয়া করে বাসায় চলে আসলাম।
তাহলে আপনাদের সঙ্গে শপিংমল এর কিছু ছবি এবং আমি কি কেনাকাটা করলাম তা শেয়ার করছি।

---

---

এখানে একটি স্যান্টাক্লজ বানানো ছিল। এটি খুব সম্ভবত ক্রিসমাস এর সময় বানিয়েছিলো। আমরা চার তলায় দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। এটি প্রায় নিচ থেকে আমাদের চার তলার সমান চলে এসেছে। নিচ থেকে এটি চারতলা পর্যন্ত উঁচু করে বানানো।আর উপর দিয়ে কিছু গিফট বক্স ঝুলানো ছিল। দেখতে খুবই চমৎকার লাগছিলো।

উপরের দুটি ছবি বাটার শোরুম এর। যমুনা ফিউচার পার্কের বাটার শোরুমটা বিশাল বড়। অবশ্য এই শপিংমলের সবগুলো শোরুমই অনেক বড় বড়। হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যথা হয়ে যায়।

বাটা থেকে আমার দুই ছেলের জন্য জুতা, ছোট ছেলের জন্য একটি স্যান্ডেল এবং আমার হাজবেন্ডের জন্য একটি স্যান্ডেল কিনেছি।

তারপর চলে আসলাম খেলনার দোকানে। নিচের ডিসিসি মার্কেটে। বলেছিলাম আমার নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে ওদেরকে কিছু খেলনা কিনে দিব। সব সময় তো ওদের বাবাই ওদেরকে খেলনা কিনে দেয়। তাই ভাবলাম যে আজকে আমি কিছু খেলনা ওদেরকে কিনে দেই। আমার বড় ছেলে তো মার্কেটে যেয়ে ভেবে পাচ্ছিল না যে কি খেলনা কিনবে। সবসময় তার খেলনা আমাকে পছন্দ করে কিনে দিতে হয়। আজকে আমি তাকে বললাম যে আজকে আমি তাকে কোন খেলনা পছন্দ করে দিব না। আমি কিনে দিবো ওকে পছন্দ করে কিনতে হবে। পরে বেশ কিছু দোকান ঘোরাঘুরি করার পর তাঁর এই খেলনাগুলো পছন্দ হয়েছে তার এবং তার ভাইয়ের জন্য। এই খেলনা বাসায় নিয়ে আসার পর আরেক কাহিনী। সেটি অন্য একদিন বলব।

তারপরে আরেকটি খাবার দোকানে আসলাম। সেখানে এসে আমি বেশ কিছু মসলা, বাদাম এবং আখরোট আর বাচ্চার ডাইপার কিনলাম।

তারপর চলে আসলাম হোম টেক্স এর শোরুমে। যখন এই শোরুমে ঢুকেছিলাম তখন শোরুম বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছিল। তাই তাড়াহুড়ো করে চাদরগুলো কিনে ফেললাম।

সব কেনাকাটা শেষ করে চলে আসলাম ফুডকোর্টে। এখানে এসে চলে আসলাম আমাদের সকলের পছন্দের বিএফসি তে। যমুনা ফিউচার পার্কে যাব আর বিএফসির চিকেন খাবো না তা কি হতে পারে। ঝটপট চিকেন গুলো অর্ডার দিয়েছিলাম, কারণ মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছিল। তারপর তাড়াহুড়া করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাসায় চলে আসলাম।

এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার ব্লগটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। করোনাকালীন সময় সাবধানে থাকবেন। আর হ্যাঁ আমরা যতক্ষণ মার্কেটে ছিলাম অবশ্যই সবাই মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলাম। আপনারা সবাই মাস্ক পরে বাইরে বের হবেন।

ধন্যবাদ

@tania

Photography	@tania
Phone	oppo reno5

আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।