বার্গার ল্যাব রেস্টুরেন্টে একদিন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এর আগেই বলেছি আমি বাচ্চাদের জন্মদিন ওইভাবে অনুষ্ঠান করে কখনো পালন করি না। বড় ছেলের ছোটবেলার দু-একবার করেছিলাম কিন্তু ছোট ছেলের ক্ষেত্রে একবারও করিনি। আসলে এই জন্মদিন পালন করা ঠিক না। এজন্যই যেদিন থেকে জেনেছি বিষয়টি সেদিন থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছি। আর বাচ্চাদের কেউ ওভাবেই শিখিয়েছি। এজন্য ওরা খুব একটা জন্মদিনের বায়না করে না। তাছাড়া আমি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে খুব একটা যাইও না খুব বেশি বাধ্য না হলে। কারণ অন্যের কেক কাটতে দেখলে বাচ্চারাও কেক কাটতে চায়। যদিও ছোট ছেলে জন্মদিনের কথা শোনার পর থেকেই বলছিল যে আমি কেক কাটিনি। তাই ওকে ভোলানোর জন্য রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিলাম।
ওকে জিজ্ঞাসা করলাম যে কি খাবে। সঙ্গে সঙ্গে বললো বার্গার খাব। তাই ভাবলাম যে বার্গার ল্যাব এ চলে যাই। এখানে খুব ভালো বার্গার পাওয়া যায়। সন্ধ্যার পর ওর বাবার অফিস শেষ হওয়ার পরে আমরা বসুন্ধরার গেটের ঐদিকে চলে গেলাম। ওইখানে এই রেস্টুরেন্টটি। এখানে এত রেস্টুরেন্ট যে বার্গার ল্যাব খুঁজে পেতে বেশ কষ্ট হয়েছে। কারণ এর আগে এই রেস্টুরেন্টে কখনো যায়নি।
আমরা একটু রাত করে গিয়েছিলাম। রেস্টুরেন্টটি তখন বেশ ফাঁকা ছিল। তা না হলে তো বিকালের দিকে এসব রেস্টুরেন্টে বসার জায়গা পাওয়া যায় না। বেশ সাজানো গোছানো লাগলো।তারপর মেন্যু দেখে আমরা খাবার অর্ডার দিয়ে দিলাম। যদিও বার্গার খাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু বাচ্চাদের পছন্দের ফ্রেন্স ফ্রাই না দিলে কি চলে।
একটি স্পাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সাথে চিকেন বার্গার ও প্যান ফ্রাই চিকেন অর্ডার দিয়েছিলাম। এই প্যান ফ্রাই চিকেন খুবই মজাদার ছিল। তাছাড়া বার্গারগুলো অনেক বড় বড় সাইজে ছিল জন্য দুইটি বার্গার অর্ডার দিয়েছিলাম। বাচ্চারা এত বড় বার্গার একটি খেতে পারেনা। তারপরও সব খাবার শেষ করতে পারিনি আমরা। পরিমানে বেশ ভালোই ছিল। সবগুলো খাবার খুব মজা ছিল।
খাওয়া-দাওয়া শেষে চলে আসলাম বাসায়। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আমিও আপনার সাথে একমত। জন্মদিন আসলেই পালন করতে হয় না। আরও ভালো লাগলো যে আপনি ছেলেদের কে বেশ সুন্দর করে এই বিষয়টি শিক্ষা দিতে পেরেছেন। এতে করে ওরাও বেশ সুন্দর শিক্ষা পেয়েছে। তবে আপনার বার্গার ল্যাবটি কিন্তু বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু বাচ্চাদেরকে যেভাবে শেখানো হয় বাচ্চারা সেভাবেই শিখে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী জন্মদিন পালন করা ঠিক না। যেটা ভালো লাগলো ছেলেদেরকে বিষয়টা ভালোভাবে বুঝিয়ে বড় করে তুলছেন। রাতের বেলায় রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন আর যেহেতু একটু বেশি রাতে গিয়েছিলেন তাই রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা একদম ফাঁকা পেয়েছেন। অনেক মজাদার সব খাবার অর্ডার করেছিলেন তবে রেস্টুরেন্টের নামের সাথে বার্গারের টেস্ট মনে হয় বেশি জনপ্রিয়।
চারপাশের সবাই যে হারে জন্মদিন পালন করে বাচ্চারা মাঝেমধ্যে দেখে করতে চায়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার সাথে আমি সহমত আপু জন্মদিন এভাবে পালন করা আমাদের মুসলিমদের জন্য মোটেও কাম্য নয়। আপনি ঠিকই করেছেন আপনার ছোট বাচ্চা যখন কেক কাটতে চেয়েছিল আপনি রেস্টুরেন্টে গিয়ে তার ইচ্ছামত তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। আমার সাথে খাওয়া-দাওয়া করার সুন্দর অনুভূতি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। প্যান ফ্রাই চিকেন দেখে মনে হচ্ছে খুবই টেস্ট যুক্ত হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু আপনার সন্তানদের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া খাবারগুলো আসলেই বেশ মজাদার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ছোট থেকেই বাচ্চাকে এটা শিখিয়ে ভালো করেছেন। যেহেতু কেক কাটবেন না তাই বাচ্চাকে বিষয়টা ভুলানোর জন্য রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর সবাই মিলে মজা করে খাবার খেয়েছিলেন শুনে ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা খাবার দেখে আমার মনে হচ্ছে অনেক ভালো মানের খাবার ছিল এগুলো। যেহেতু অনেক খাবার ছিল তাই বুঝতে পারছি শেষ করতে পারেননি। যাই হোক আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা ভালোভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপনার ছোট ছেলে জন্মদিনের কথা শোনার সাথে সাথেই কেক কাটেনি বলেছিল। আর তাকে কথাটা ভুলানোর জন্য রেস্টুরেন্টের নিয়ে গিয়েছিলেন, তার ইচ্ছেমতো খাওয়ানোর জন্য বিষয়টা ভালো লেগেছে। আর সে বার্গার খাবে বলেছিল দেখে, বার্গার ল্যাব রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লেগেছে আপু। বার্গার সহ আরো মজার মজার খাবার খেয়েছেন দেখছি সবাই একসাথে। দেখে তো আমার নিজেরও অনেক বেশি লোক লেগে যাচ্ছে এখন। মনে হচ্ছে খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু ছিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খাবারের মান অনেক ভালো ছিল।
এখানে সবগুলো খাবারই বেশ মজা ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাচ্চারা যদি চোখের সামনে না দেখে তাহলে আর এ ধরনের বায়না করে না । দেখতে থাকলে তো তাদেরকে কিছুতেই ভোলানো যায় না । তারপরও বাচ্চাদেরকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে । আর বাচ্চারা তো এ ধরনের খাবার খুব পছন্দ করে । বিশেষ করে আমার কাছেও বার্গার ফ্রেন্স ফ্রাই এগুলো খেতে খুব ভালো লাগে । ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখা যাচ্ছে ।
আপু আমার বাচ্চারাও স্কুলে দেখে সবাই জন্মদিনে কেক নিয়ে আসে। তারপরও খুব একটা বায়না করেনি আমরা জন্মদিন পালন করি না জন্য। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
জন্মদিন মানেই বাচ্চাদের মনে কেক কাটার ইচ্ছা ।যদিও জন্মদিন ওভাবে পালন করেন না তারপরেও বাইরে যেয়ে বাচ্চাদের নিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু ছিল ।বেশ ভালো লাগলো আপনাদের মুহূর্তটি দেখে ।ধন্যবাদ।
জন্মদিনের ধুমধাম করে কেক না কেটে বাচ্চাদেরকে এভাবে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলেও তারা বেশ খুশি থাকে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।