আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকে আমি গুলশা টেংরা ভুনা করেছি। এই গুলশা টেংরা মাছের সাইজগুলো অনেক বড় বড়। আমার হাসবেন্ড যেদিন বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসলো তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে এত বড় টেংরা মাছ হয়। ও তখন বলল যে এগুলোর নাম গুলশা টেংরা। তবে এগুলোকে ‘গুইল্লা টেংরা’ বা ‘লাইট্ট টেংরা’ও বলে। এগুলো একটু বড় সাইজের হয়। খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু। এই মাছগুলো কাটা কম থাকায় বাচ্চাদের জন্যও খেতে অনেক সুবিধা হয়। এই গুলশা টেংরা মাছগুলো আমি এই দিনই প্রথম খেয়েছি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এই মাছগুলো। এই মাছগুলো সচরাচর বাজারে খুব বেশি পাওয়া যায় না। তা হলে কথা না বাড়িয়ে আজকে আমি এই গুলশা টেংরা মাছ কিভাবে রান্না করেছি তা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
গুলশা টেংরা-- ৮ টি
পিয়াজ --৩ টি
কাঁচামরিচ--৪ টি
পেঁয়াজ বাটা--২ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া--১চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া --১চা চামচ
জিরা গুঁড়া--১চা চামচ
লবণ --পরিমাণ মতো
সরিষার তেল-- পরিমাণ মতো
ধনিয়া পাতা --পরিমাণ মতো
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমত তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুঁচি দিয়ে দিয়েছি। পিঁয়াজ মরিচ কুচিগুলো একটু ভেঁজে নিয়ে তার মধ্যে বাটা মসলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
সামান্য একটু পানি দিয়ে মশলাগুলো ভালোমতো কষিয়ে নিয়েছি। তারপর গুড়া মশলাগুলো সব দিয়ে দিয়েছি। এখন আবারও ভালোমতো মসলাগুলো কষিয়ে নিব।
মসলাগুলো ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। মাছগুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিব।
আবারো সামান্য একটু পানি দিয়ে মাছগুলো কষিয়ে নিব।
মাছগুলো ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিবো মাছগুলো রান্না হওয়ার জন্য।
এ পর্যায়ে রান্না প্রায় শেষের দিকে। প্রথমে জিরাগুড়া দিয়ে দিব। তারপর ধনিয়া পাতা দিয়ে দিব।
মাছের ঝোল কমে আসলে চুলা বন্ধ করে দিব।
এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপিটি। এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি।আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photography | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
টেংরা মাছ আমার সব থেকে বেশি পছন্দের একটি মাছ। ওয়াও সত্যি বলতে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অসাধারণ লাগবে। কিছুদিন আগে আমি টেংরা মাছ খেয়েছিলাম সত্যি বলতে টেংরা মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
টেংরা মাছ আপনার সব থেকে বেশি পছন্দের মাছ জেনে ভালো লাগলো । আপনার পছন্দের রেসিপি শেয়ার করেছি জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
টেংরা মাছ আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে টেংরা মাছের ঝোলের রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বড় বড় টেংরা মাছ আমার কাছেও খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাহ্ বেশ মজাদার লাগছে আপনার গুলশা টেংরা মাছের রেসিপিটি।আসলে এই মাছটি খেতে খুবই সুস্বাদু। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি পরিবেশনটা ও খুব চমৎকার হয়েছে আপু। এত সুস্বাদু একটি রেসিপি এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
গুলশা টেংরা মাছের রেসিপির প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
গুলশা টেংরার রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। বড় বড় টেংরা মাছগুলো আমার অঞ্চলেও গুলশা টেংরা মাছ নামে পরিচিত। ধন্যবাদ আপনাকে এই মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই মাছগুলোর নাম যে গুলশা টেংরা আমি এইবারই প্রথম জেনেছিলাম। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
টেংরা মাছের রেসিপি আমার অনেক ভালো লাগে। আমি মাংসের রেসিপি থেকে মাছের রেসিপি বেশি পছন্দ করি। টেংরা মাছ খাওয়ার মাঝে একটা আলাদা মজা লাগে। আপনার রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে।
আপনি মাংসের থেকে মাছ বেশি পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গুলশা টেংরা মাছ এই প্রথম শুনলাম। গুলশা টেংরার রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
আমিও প্রথম শুনেছিলাম এই মাছের নাম। খেতে খুবই মজাদার এই মাছগুলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপিগুলা বরাবরই অতুলনীয় অন্য সবার থেকে নতুনত্ব খুঁজে পাই আমি।। আপনার রেসিপিটি দেখেই দিবেদন চলে আসলো খুব করে খেতে ইচ্ছে করতেছে ক্ষুধায় ধরে গেল পেট।। রেসিপিটি সম্পর্কে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।।
আমার রেসিপি গুলো আপনার কাছে অন্যরকম লাগে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
টেংরা মাছ পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে বিশেষ করে আলু এবং বেগুন দিয়ে যদি টেংরা মাছের ঝোল রান্না করা হয় তাহলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় লাগে আমার কাছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া টেংরা মাছ খেতে বেশ ভালই লাগে ছোট হোক আর বড় হোক। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
সত্যি বলতে এতো বড় টেংরা আমিও কখনো দেখিনি। নামটা বেশ দারুণ গুলশা প্রথমবার শুনলাম এটা। যদি টেংরা নামটার সঙ্গে পরিচিত আছি। দারুণ তৈরি করেছেন রেসিপি টা আপু। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে রেসিপি টা। ভালো তৈরি করেছেন আপু। সুন্দর উপস্থাপনা ছিল।।
এই টেংরাগুলো বড় বড় সাইজের দেখে নাম গুলশা টেংরা । খেতে বেশ মজাদার।