দীর্ঘদিন পর নানু বাড়ি যাওয়ার আনন্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে কয়েক বছর পর নানু বাড়ি যাওয়ার আনন্দ শেয়ার করবো। বিয়ের পর মেয়েদের বাপের বাড়ি যাওয়ারই সময় হয় না সেখানে তো নানুবাড়ি অনেক দূরের ব্যাপার। যাইহোক তারপরেও দীর্ঘ কয়েক বছর পর নানু বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। আপনারা তো জানেনই আমার দুলাভাই লন্ডন থেকে এসেছে। আমরা যখন ফরিদপুরে গিয়েছিলাম তখন তিনিও গিয়েছিলেন। ভাইয়া এসে বলল যে নানীকে দেখতে যাবে। তো আমরাও সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে নিলাম। নানীকেউ দেখা হয়ে যাবে এবং নানু বাড়িতেও ঘোরা হয়ে যাবে। এই নানু বাড়িতে ছোটবেলায় কত স্মৃতি রয়েছে সেগুলো একটু মনে করে আসা যাবে। নানু বাড়িতে যাওয়ার সময় এবং গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করছি। সেগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
আমরা ফরিদপুরে যাওয়ার পর থেকেই প্রচণ্ড রকম গরম পড়ছিল। কিন্তু ভাইয়া যেদিন আসলো সেদিন থেকেই এমন বৃষ্টি শুরু হয়েছে যে আর কোথাও যাওয়ার মত অবস্থা ছিল না। তারপরও আমরা বৃষ্টিতে ভিজে নানু বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাই যাওয়ার পথে তেমন ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। নানুবাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে এই ছবিগুলো তুলেছি।
নানু বাড়িতে গিয়ে মনে হল যে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আমার মামাতো বোনের আবার ফুল গাছের খুব শখ। সে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ লাগিয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে গাছগুলো আরো বেশি চমৎকার লাগছিল।
এই গাছটির নাম আমি জানিনা। কিন্তু পাতাগুলো এত সুন্দর লাগছিল যে ছবি না তুলে পারলাম না।
নানু বাড়ির সঙ্গে কুমার নদী বয়ে যাচ্ছে। ছোটবেলায় এই নদীতে যে কত গোসল করেছি তার কোন হিসাব নেই। আমি অবশ্য পাড়ে বসেই বেশি গোসল করতাম। কারণ সাঁতার জানতাম না। আর বাকিরা যারা সাঁতার জানতো তারা পার হয়ে নদীর ওপারে চলে যেত। ভেবেছিলাম যে নানু বাড়িতে গিয়ে সেই নদীর পাড়ে একটু যাব। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আর যাওয়া হয়নি। তাই আসার পথে নদীর কিছু ছবি তুলেছি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ । সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
আপনি ঠিক বলেছেন আপু,ছোটবেলাকার মামাবাড়িতে অনেক স্মৃতি জড়িত থাকে।তাছাড়া আপনার নানু বাড়ি অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল রয়েছে, ফুলের বাগান করতে আমার ও খুব ভালো লাগে।দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা,সাঁতার কাটতে আমার ও ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
সাঁতার তো কাটতেই পারি না ভালো লাগে কিনা জানিনা। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে নানু বাড়ি অনেক আদরের একটি জায়গা।। ছোটবেলায় অনেকবার গেছি অনেক থাকছি খেয়েছি।। কিন্তু এখন আর তেমন যাওয়া হয় না নানা নানু মারা যাওয়ার পরে।। আপনি আপনার নানু বাড়িতে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে খুব সুন্দর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।। আপনার নানুর সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। এভাবেই সব সময় পাশে থাকবেন।
আপু আপনার নানু বাড়িতে তো অনেক ফুল গাছ আছে। বারান্দায় দাড়িয়ে এত গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন,বৃষ্টি না থাকলে আরো কত কিছু দেখতে পারতাম। আচ্ছা আপু এখন কি সাতাঁর শিখেছেন..?
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বৃষ্টি না থাকলে আরো সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করতে পারতাম। আর আমি এখনো সাঁতার শিখিনি।
একদম ঠিক বলেছেন আপু নানা বাড়িতে বিয়ের পরে যাওয়ার তেমন একটা সুযোগই হয় না অনেক বছর পরও সবাই মিলে আসলেই অনেক সুন্দর একটা সময় কাটানো গেল। আর কুমার নদীতে গোসলের স্মৃতিগুলো মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। ফুল গাছের ছবিগুলো সামনাসামনি দেখতে অনেক সুন্দর ছিল খুবই ভালো সময় গুলো আবার মনে করিয়ে দিলেন ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু ফুলের ছবিগুলো সামনাসামনি আরো সুন্দর লাগছিল। বৃষ্টির জন্য ভালোমতো ছবিগুলো তুলতে পারিনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
মনে হচ্ছে আপনার ভাইয়া বৃষ্টিকে নিয়ে এসেছে হা হা হা। আসলে আপু নানু বাড়িতে যাওয়ার অনুভূতিটা সবসময় খুবই আনন্দের হয়। আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া বৃষ্টিকে নিয়ে এসে ভালো কাজ করেছিলেন। তা না হলে প্রচণ্ড গরমে খারাপ অবস্থা হচ্ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।।