অনেক দিন পর বন্ধুদের সঙ্গে একটি সুন্দর মুহূর্ত কাটানো।(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
অনেকদিন পর ফ্যামিলি বন্ধুদের সঙ্গে খুব সুন্দর একটি সময় কাটালাম। আমরা আগে যখন রাজশাহীতে থাকতাম, তখন রাজশাহীতে আমাদের কোন আত্মীয় স্বজন ছিল না। সেজন্য আমার হাজবেন্ডের অফিসের কলিগের ওয়াইফদের সঙ্গে খুব ভালো একটা সম্পর্ক হয়ে যায়। ঠিক বন্ধুত্বের মত। আর তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে আমার বাচ্চাদের খুব ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। ওই সময়টা আমরা অনেক ভালো কাটিয়েছি। ঢাকায় চলে আসার পর সবার সঙ্গে তেমন একটা দেখা-সাক্ষাৎ হয় না। মাঝেমধ্যে হয়। সেরকম একটি দিন ছিল গত শুক্রবার। আমরা সবাই মিলে বাইরে একটু ঘুরাঘুরি করলাম। তারপর একটি রেস্টুরেন্টে যেয়ে আড্ডা এবং খাওয়া-দাওয়া করলাম। বাচ্চারা অনেকদিন পর একসঙ্গে হতে পেরে খুব খুশি। আমরা ভাবীরাও সুন্দর মুহূর্ত পার করলাম। আমি রেস্টুরেন্টের কিছু ছবি এবং আমরা কি কি খাবার খেয়েছিলাম তার কিছু ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। |
---|
যেহেতু সবগুলো ছবি একই জায়গার সেজন্য আমি একটি লিঙ্ক শেয়ার করলাম। বাকিগুলোতে আর লিঙ্ক শেয়ার করিনি। |
---|
এখানে বসুন্ধরা আবাসিক এর ভেতরের দিকে অনেক খোলা জায়গা আছে। সেখানে আমাদের একটি প্লট আছে। আমরা ঐ প্লটটি দেখতে গিয়েছিলাম এবং ওই জায়গাটি অনেক ফাঁকা থাকার কারণে দেখতে খুব ভালো লাগে। আমরা বেশ কিছুক্ষণ এখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিয়েছি । |
---|
আবাসিকের ভিতরে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল আমরা ওই রেস্টুরেন্টে গিয়েছি খাওয়ার জন্য। সেখানে ছাদের উপরে খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা ছিল। দেখতে এতো চমৎকার লাগছিলো লাইটিংসহ। তাই আমি বেশ কিছু ছবি তুললাম |
---|
তারপর আমরা খাবারের অর্ডার করলাম।প্রথমে আমরা অন্থন এবং স্যুপ খেলাম। তার কিছুক্ষণ পর রেস্টুরেন্ট এর স্পেশাল কাবাব এর প্লেট চলে আসলো। রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো খুব মজাদার ছিল। আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। তারপর নিচে এসে টং দোকানে দাঁড়িয়ে চা খেলাম। তারপর আমরা যে যার বাসায় চলে এসেছি। আসার পরেই আমাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছিল। সেটি হল আমার হাজবেন্ডের শরীর খারাপ করে এবং হালকা জ্বর আসে। পরের দিন তার করোনা পজিটিভ আসে। আনন্দের পর এই রিপোর্ট পাওয়ার পর মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। বিশেষ করে যারা আমাদের সঙ্গে ছিল তাদের জন্য। যাইহোক খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমরা কাটিয়েছি অনেক দিন পর। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। |
---|
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
বাহারি খাবার দেখে আমার খিদে লেগে গেলো আপু।
অপরিচিত মানুষ কে বন্ধু বানিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহুর্ত অয়ার করেছেন আপনাদের এই সম্পর্ক অটুট থাকুক সেই কামনা করি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
বন্ধুদের সাথে আপনি খুব ভালো সময় পার করেছেন সেটি দেখে বোঝাই যাচ্ছে। আর সত্যি বলতে আসলেই ডেকোরেশন গুলো খুব দারুন করে সাজানো ছিল। আর আপনার তারিখ না করলেও নয় খুব দারুণ করে ফটোগ্রাফিও করেছেন বটে।🖤
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি কথা বলতে কি অনেক দিন পর কোন বন্ধু-বান্ধব অথবা খুব কাছের মানুষের সাথে দেখা হলে আনন্দটা একটু বেশি হয়। আর অনেকদিন পরে পরিচিত আপনার ভাবি এবং ছেলেমেয়েগুলো আনন্দের সীমা ছিল না এতে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় ছিল আপনারা অনেক সুন্দর সুন্দর খাবার অর্ডার করেছেন। এবং একটার পর একটা খেয়েছেন, আর এই খাবারগুলো আমারও খুব পছন্দের এবং আমারও খুব প্রিয়। তবে দুঃখের বিষয় যখন আপনার হাজবেন্ডের কথা শুনলাম তখন সত্যিই খারাপ লেগেছে। কারণ আমি নিজে আপনার সাথে অনেক সময় ভাইয়াকে নিয়ে অনেক মজা করেছি। দোয়া করি ভাইয়া কে আল্লাহ তাড়াতাড়ি সুস্থ দান করুন। আজকে আর তেমন কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না। খবরটা শুনে খুবই খারাপ লাগছে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোষ্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার দোয়া যেন আল্লাহ খুব দ্রুতই কবুল করেন। আমিন। শুভকামনা রইল আপনার জন্যও।
আপু আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো আপনারা ভালোই আনন্দ করেছেন।আর অনেক দিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা হলে পুরনো সব স্মৃতিগুলো এক সাথে কাটানো সময় গুলো মনে পড়ে।এখন আমাদের যেই ব্যস্ততা কারো সাথে ঠিক মতো ৫ মিনিট কথা বলার সময় নেই।এভাবে অনেক সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে।শুভকামনা থাকলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ও।
আসলেই ভাইয়া রেস্টুরেন্টের পরিবেশ টা চমৎকার ছিল। বিশেষ করে ছাদের উপরে হওয়ার কারণ আরও বেশি আকর্ষণীয় ছিল। খাবার গুলো খুব সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন। বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট এর প্রত্যেকটা খাবার খুবই ভালো লাগলো। কাবাবের প্লেটটা বেশি অসাধারণ লেগেছিল। আর আপনি সবগুলো ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন। প্রত্যেকটা জায়গার ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ। সবার সাথে অনেক মজা করলেন দেখতে পেলাম। আপনার এরকম একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপু অনেকদিন পর অনেক ভালো একটি সময় কাটিয়েছিলাম। খাবার গুলো খুব মজাদার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু কেমনে খেলেন আপনি এতগুলো খাবার আদেরকে রেখে বলেনতো ।আমার তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন আপু। আসলে পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা হলে এমনিতেই মনটা ভালো লাগে। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্তটাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
একা খাইনি তো আপু অনেক লোক ছিল সাথে। আপনি আসেন আপনাকে খাওয়াবো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্তটাই অনেক ভালো লাগে। আপনার নিশ্চয়ই অনেক মজা করলাম বন্ধুদের সাথে আপু। বন্ধুদের সাথে কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া আর আড্ডা দিতে কি যে আনন্দ লাগে। আমারও খুব ভালো লাগে বন্ধুদের সাথে কোথাও আড্ডা দিতে যেতে। তেমনি বন্ধুদের সাথে কাটানোর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে এখন ব্যস্ততার কারণে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো খুব মুশকিল। তারপর মুহূর্তটা অনেক আনন্দের ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত সবসময় নিঃস্বার্থভাবে সুন্দর হয়। খুব ভালো লাগলো সবটা দেখে। রাস্তাঘাটের চারপাশের খোলামেলা ছবি, রেস্তোরাঁর ফটোগ্রাফি তার সাথে লোভনীয় সব খাবার, এককথায় ফাটাফাটি ছিল।
তবে আপনার হাজবেন্ডের খবরটা পেয়ে খারাপ লাগছে। দেখে শুনে রাখবেন এবং আপনারা সবাই সাবধানে থাকবেন। আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি দিদি।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আসলে করোনা এখন এমন অবস্থায় চলে গিয়েছে যে যতই সাবধানে থাকা হোক না কেন এর থেকে বাঁচার উপায় নেই। যাইহোক অল্পের মধ্যে দিয়ে সেরে গেলেই বাঁচি।