অবশেষে ছেলের নতুন স্কুলে ভর্তি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সেদিন আপনাদের সঙ্গে ছেলের নতুন স্কুলের একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন যে অবশেষে ছেলে চান্স পেল কিনা। গত দিন ছেলেকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম আবারও পরীক্ষা দেওয়ানোর জন্য। সকাল আটটার সময় বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। দূর হলেও গাড়িতে মাত্র ৩০-৩৫ মিনিট লাগে। পরীক্ষার জন্য ৮:৪৫ এ ডেকেছিল। ১০-১৫ মিনিট হাতে রেখে ৮ টায় বাসা থেকে বের হয়েছি। যথারীতি আমরা সময়ের আগেই পৌঁছে গিয়েছি। অনেক বেশি ভিড় না থাকলেও ভর্তি পরীক্ষার জন্য মোটামুটি অনেকে এসেছে। বিভিন্ন ক্লাসের ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছিল জন্য বিভিন্ন ক্লাসের বাচ্চারা এসেছিল। মজার বিষয় হল আমার পরিচিত আরো বেশ কয়েকজনকেও দেখলাম তাদের বাচ্চাদেরকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছে। তাদের বাসাও আমাদের বাসার পাশেই। তখন আরেকটু নিশ্চিত হলাম ছেলেকে ভর্তি করানো নিয়ে। যেহেতু অনেক দূর জন্য চিন্তা করছিলাম। পরিচিত লোকজনদেরকে দেখে অনেকটা ভালো লাগছিল।
যথারীতি ৮ঃ৪৫ মিনিটে বাচ্চাদেরকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেল। পরীক্ষা ৯ টায় শুরু হয়েছিল। এক ঘন্টা পর দশটার সময় বাচ্চাদেরকে নামিয়ে নিয়ে এসেছে। কিন্তু বাচ্চাদেরকে বের হতে দেয়নি কারণ ভাইবা নিবে। আবারো বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম তারপর ভাইবার জন্য আমাদেরকে একটি ক্লাস রুমে বসতে বলল। এখানে বাচ্চাদের পাশাপাশি বাবা-মায়েরও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে। এজন্য ভাইবার সময় বাবা মা সহ বাচ্চাকে ডাকে। স্কুল তো আগেই পছন্দ হয়েছিল। ক্লাসরুমগুলো আগে দেখা হয়নি। এইবার গিয়ে ক্লাসরুম গুলো দেখলাম বেশ খোলামেলা এবং বড় বড় ক্লাসরুমগুলো। তাছাড়া ছোট ছোট বেঞ্চ রয়েছে এক একজন বাচ্চার জন্য। কারো সঙ্গে কারো বেঞ্চ শেয়ার করতে হবে না।
আমার ছোট ছেলে ক্লাসে বসতে পেরে খুবই খুশি। বড় ছেলের ভর্তি হয়েছে এখন আর ছোট ছেলেকে নিয়ে ঝামেলা করতে হবে না। ওকেও সহজেই এই স্কুলে ভর্তি করানো যাবে।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদেরকে ডাকলো। ভিতরে যাওয়ার পর বাচ্চার পরীক্ষার খাতা প্রিন্সিপাল দেখে বলল যে গুড। সে মোটামুটি পরীক্ষায় ভালো করেছে। তাছাড়া তাকে ইংলিশে কিছু প্রশ্ন করল সে সেগুলোর উত্তর খুব ভালো মতো দিতে পেরেছে। তারপর বাচ্চার বাবার সঙ্গে কিছু কথা বলার পর আমাদের ভর্তি কনফার্ম করলো। তারা বলল চাইলে আমরা আজকেই ভর্তি হয়ে যেতে পারবো। এখানে একটা বিষয় আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে যে প্রিন্সিপাল নিজেই সবার ভাইবা নিচ্ছেন। তাছাড়া প্রিন্সিপালকেউ খুব হাসিখুশি এবং মিশুক মনে হলো। সবকিছু দেখার পর আমার হাজবেন্ড যেখানে একটু কনফিউজড ছিল সে খুব সহজে রাজি হয়ে গেল ভর্তি করানোর জন্য। আমরাও চাইলাম যে যেহেতু দূরে আজকেই ভর্তি করে রেখে যাই। কিন্তু সমস্যা হল আমরা টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম না। পরে আবার টাকা তোলার জন্য পাশে একটি বাজারে গেলাম। সেখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে এসে ভর্তি করালাম। তারপর ড্রেসের মাপ দিয়ে আসলাম। শীতের সোয়েটার এবং জুতা নিয়ে আসলাম। ভর্তি এবং ড্রেসসহ আমাদের ৫৭১০০ টাকা লেগেছে। অনেক বড় একটা এমাউন্ট। তারপরও চিন্তা করলাম বাচ্চার জন্য এটুকু করাই যায়। এখন বই খাতার জন্য আবার কত টাকা রাখে কে জানে। যাই হোক বাচ্চার ভর্তির ঝামেলা মিটেছে সেজন্যই অনেক খুশি।
আমার বাচ্চার জন্য সবাই দোয়া করবেন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
জেনে অনেক খুশি হলাম আপনার বাবু ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।ইদানিং প্রায় স্কুলে বাচ্চাদের ইন্টারভিউর পাশাপাশি গার্ডিয়ানদের পরীক্ষা নিরীক্ষা নিচ্ছেন।এটাও আমার কাছে ভালো লেগেছে খারাপ না কারণ অনেক সময় অনেক অভিবাক আছেন যারা স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে সেজন্যই এই ব্যবস্থা রেখেছেন।তবে বাচ্চার ভর্তি হওয়ার জন্য অনেক বড় একটি এমাউন্ট খরচ হলো।আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল আপনার বাবু যাতে ভালোভাবে লেখাপড়ার সুযোগ পায়।বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালবাসা অভিরাম।
এই টাইপের স্কুলগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গার্জিয়ানদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে।গার্জিয়ানদের ব্যাকগ্রাউন্ডের উপরে অনেকটা নির্ভর করে বাচ্চার ভর্তি হওয়া। যাই হোক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুব ভালো লাগলো শুনে আপনার সন্তানকে ভালো একটি স্কুলে ভর্তি করাতে পেরেছেন। তবে নিয়ম কানুন বেশ ভালো মনে হয়েছে আমার কাছে। আর সন্তানের সাথে পিতা-মাতার ভাইভা নেয়ার বিষয়টি দারুন লাগলো। মোটামুটি ভর্তি করতে অনেক টাকা লাগলো দেখলাম। যাক আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক এই কামনা করছি।
জি ভাইয়া এই স্কুলের নিয়ম কানুন অনেক ভালো জন্য আবারো স্কুল চেঞ্জ করলাম। বারবার স্কুল চেঞ্জ করা খুবই বিরক্তিকর। তারপরও ভালোর জন্যই করা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার বাচ্চাকে পছন্দমত স্কুলে ভর্তি করাতে পেরেছেন জেনে ভাল লাগল। স্কুলের বেপারে আপনার আগের পোস্টে অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম। আজ স্কুলের ভর্তি এবং টিচারদের সম্পর্কে জানতে পেরেছি। ক্লাসরুম গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব বড় এবং গোছানো। সব কিছু মিলিয়ে ভাল মনে হচ্ছে যদিও এডমিশন ফি এবং ড্রেসবাবত বেশ ভাল টাকা গুনতে হচ্ছে। আপনার বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপু।
কিছু করার নেই ভাইয়া ঢাকার ভালো ভালো স্কুলগুলোতে এডমিশন ফি এর থেকেও অনেক গুণ বেশি। সে তুলনায় এই স্কুলে মোটামুটি কম। যাই হোক কি আর করার বাচ্চা ভবিষ্যতের জন্য করতেই হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছেলেকে এই স্কুলে ভর্তি করাতে বেশ ভালই খরচা হল আপনার। যাইহোক স্কুলের পরিবেশ বেশ ভালই লাগলো। আর আগের পর্বটি আমি দেখেছিলাম। আমার কাছেও প্রিন্সিপাল স্যারের কথা শুনে বেশ ভালো লাগলো। বাচ্চাদের সাথে এভাবে হাসি খুশি ভাবে কথা বললে বাচ্চারাও পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করবে।
জ্বি আপু স্কুল ভালো জন্যই এত খরচ করে ভর্তি করানো। বাচ্চার কথা চিন্তা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাবুকে নতুন স্কুলে ভর্তি করতে পেরেছেন জেনে ভীষণ খুশি হলাম। নতুন নতুন স্কুলের এমনিতে ভয় পাওয়ার কথা এখন যেহেতু আপনার চেনাজানা লোকও আছে তাহলে তো কোন সমস্যা হবে না আমার মতে। প্রিন্সিপাল স্যারের কথা শুনে আমার কাছেও কিন্তু খুবই ভালো লেগেছে। আপনার বাবুর জন্য অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। সে যেন তার জীবনকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই কামনা করি।
আমার ছেলে আবার খুবই মিশু প্রকৃতির। তার নতুন জায়গায় অ্যাডজাস্ট করতে একটুও কষ্ট হয় না। নতুন লোকজন দেখলে সে আরো উৎসাহ নিয়ে তাদের সঙ্গে মিশে । এজন্য খুব একটা সমস্যা হয় না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।